ডোনাল বিশট। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
ডোনাল বিশট। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রকল্পের অভাব নেই, কিন্তু...

পেশাগত জীবনের শুরুর দিকে একটি জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক ছিলেন ডোনাল বিশ্‌ট। পরে দূরদর্শনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান চিত্রহার-এ সঞ্চালক হিসেবে নজর কাড়েন। তারপর ধীরে ধীরে তিনি ছোট পর্দায় সু–‍অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ‘কলস এক বিশ্বাস’, ‘এক দিওয়ানা থা’, ‘দিল তো হ্যাপি হ্যায় জি’র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে সাফল্য পান। বিগ বস ১৫-তে অংশ নিয়ে আরও পরিচিত হয়ে ওঠেন। এবার সিনেমায় পা রাখতে যাচ্ছেন ডোনাল। সামনে দুটি দক্ষিণি ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে।

সঠিক প্রকল্প বাছাইটা জরুরি
ডোনাল মনে করেন, প্রথম প্রকল্পই ক্যারিয়ারের পথ নির্ধারণ করে দেয়। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সঠিক প্রকল্প বেছে নেওয়াটা তাই জরুরি। আমি ‘লাল সিং চাড্ডা’ এবং ‘রামায়ণ’-এর মতো দুটি বড় ছবির জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলাম। কিন্তু পরে চরিত্রগুলো অন্য কাউকে দেওয়া হয়। আমাকে বলা হয়েছিল, ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁরা আমার চেয়ে বেশি উপযুক্ত। তবে আমি খুশি যে অন্তত তাঁরা আমার কথা ভেবেছিলেন, তাঁদের ছোট তালিকায় আমার নাম ছিল।’

ডোনাল বিশট। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

বড় দুটি প্রকল্প হাতছাড়া হওয়াটা তাঁর জন্য মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। ডোনাল বলেন, ‘আমি তখন খুবই হতাশ ছিলাম। কিছু বছর আগেও ভাবতাম, আমি কেন “নেপো কিড” নই? তারকা-সন্তানেরা বিশেষ সুযোগ সুবিধা পান—এটা অস্বীকার করা যায় না। আমার নিজের ব্যবসা থাকলে আমিও চাইব, আমার সন্তান তার দায়িত্ব নিক। তবে প্রতিভাই শেষ কথা। প্রতিভা থাকলেই আপনি এখানে টিকে থাকতে পারবেন।’

চাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই সামনে এগোতে পারেন ডোনাল। তাঁর ভাষায়, ‘সব সময় বলি, কখনোই আশা ছেড়ো না। দুচোখে যদি স্বপ্ন থাকে, তাহলে অর্ধেক যুদ্ধ জিতে গেছ। এগিয়ে যেতে আর নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে এই ইতিবাচক ভাবনাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি শুধু সেটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, যা আমার হাতে আছে। প্রকল্পের অভাব নেই, কিন্তু এমন কাজ করতে চাই, যা আমার শৈল্পিক

সংবেদনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
মাঝে কিছু বছর হাতে কাজ ছিল না। সে সময়টাকেও অপচয় মনে করেন না ডোনাল, ‘ওই সময় নিজের প্রতিভা আরও শাণিত করার চেষ্টা করেছি। আমি এখন অনেক বেশি সচেতন ও সমৃদ্ধ। তখন অভিনয়ের ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলাম, কারণ আমার সব সময় মনে হতো, আমার প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই, বিশেষ করে সিনেমার অভিনয়ে। অভিনয় ভীষণই সংবেদনশীল ও পবিত্র এক কলা। একজন অভিনেতার জীবন যাপন করার সুযোগ পাওয়াটাই আমার কাছে সৌভাগ্যের।’

ডোনাল বিশট। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ছোট থেকে বড় পর্দা
ছোট থেকে বড় পর্দায় আসার এ যাত্রায় নিজেকে তাঁকে বদলাতে হয়েছে। ডোনাল বলেন, ‘টেলিভিশনের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংলাপ মুখস্থ রাখতে হয়, একটা টেকে নিখুঁতভাবে বলতে হয়। কিন্তু সিনেমার ক্ষেত্রে সেটি ভুলে যেতে হয়। টেলিভিশনে নতুন দর্শকের জন্য পুনরাবৃত্তি জরুরি, কারণ অনেকে আগের পর্ব মিস করেন। কিন্তু সিনেমা আলাদা, এটা এক ম্যাজিক। খুব শিগগিরই জাদুকরি এই দুনিয়ার অংশ হতে চলেছি।’