‘আর্টিকেল ৩৭০’ ছবিতে বন্দুক হাতে এনআইএ এজেন্টের চরিত্র করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ইয়ামি গৌতম। এবার বাস্তবের এক সাহসী চরিত্রে দেখা দিলেন অভিনেত্রী। ১৯৮৫ সালের ঐতিহাসিক সাহো বানু বেগম মামলাকে ভিত্তি করে সিনেমা বানিয়েছেন সুপর্ণ ভার্মা। ‘হক’ নামের সেই সিনেমাতেই ইয়ামিকে সাহো বানুর ভূমিকায় দেখা গেছে। আর সাহো বানুর স্বামী আহমেদ খানের চরিত্রে আছেন ইমরান হাশমি। ছবিটি গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। এর আগে গত সোমবার মুক্তি পায় ছবির ট্রেলার। ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে ছিলেন ইমরান, ইয়ামি, শিবা চাড্ডা ও পরিচালক সুপর্ণ ভার্মা। সেই অনুষ্ঠানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছু কথা ভাগ করে নেন ইয়ামি।
‘জাতীয়তাবাদী’র তকমা
ইয়ামি গত কয়েক বছরে এমন সব সিনেমা নির্বাচন করেছেন, যার কারণে তাঁর গায়ে ‘জাতীয়তাবাদী’র তকমা লাগানো হয়েছে বলে জানান এক সাংবাদিক। এ বিষয়ে ইয়ামির প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী হেসে এই তকমাকে খারিজ করে দেন। ‘এ রকম তকমা আছে? আমি কিছুই জানি না। আর যদি–বা থাকেও, মানুষের কাজ হলো কিছু না কিছু বলা। মানুষ কোনো না কোনো তকমা দিতেই থাকে। আগে আমার গায়ে “আন্ডাররেটেড” তকমা লাগানো ছিল। তার আগে অন্য কিছু ছিল। এটা বদলাতেই থাকে। সত্যি বলতে, আমি এসব কিছু বুঝি না,’ বলেন তিনি।
বিনোদনই মূল উদ্দেশ্য
সিনেমার মাধ্যমে বিচিত্র কাহিনিকে তুলে ধরেছেন ইয়ামি। কিন্তু তিনি মনে করেন, সবচেয়ে জরুরি হলো মানুষের বিনোদন। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমি মনে করি, যে ধরনের কাহিনি বলার সুযোগ আমি পেয়েছি, তার অস্তিত্ব আছে। এ ধরনের কাহিনি বলাটা জরুরি। কিন্তু সব সময় বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের কাছে কাহিনি পৌঁছে দিতে চেয়েছি। হককে নিয়ে আমরা একটা তথ্যচিত্র বানাতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। সিনেমা একটা ব্যবসা। এখানে নানা ধরনের মানুষ আছে। সব সময় মানুষকে এক সুতোয় গাঁথতে চেষ্টা করে এসেছি, নতুন কোনো কাহিনি আনতে, ব্যতিক্রম কিছু করতে। আমি ভাগ্যবতী, এমন সব কাহিনি বলার সুযোগ পাচ্ছি, তার নিজস্ব একটা পরিচিতি আমার আছে। তবে বিনোদনের মাধ্যমে সিনেমা নির্মাণ করা সবচেয়ে জরুরি। তাহলেই আমরা সবাইকে একসঙ্গে জুড়তে পারব।’
দর্শকের মতামতকে সম্মান
ইয়ামি মনে করেন যে সিনেমা ঘিরে প্রত্যেক দর্শকের ভিন্ন প্রতিক্রিয়া আছে। কারও কোনো ছবি ভালো লাগে, আবার কারও হয়তো ভালো লাগে না। তাঁর ভাষ্যে, ‘নানা ধরনের দর্শক আছে। আর প্রত্যেকের প্রতিক্রিয়া এক রকম হয় না। তবে আমি প্রত্যেক দর্শকের মতামতকে সম্মান করি।’সাহো বানুর মতো সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে দারুণ উৎফুল্ল ইয়ামি। ছবিতে দেখা যাবে ইয়ামি আর ইমরানের রুদ্ধশ্বাস আইনি যুদ্ধ। আর এই ছবির মাধ্যমে সবচেয়ে বড় চেষ্টাটা করেছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
তাঁর ভাষ্যে, ‘এই ছবিতে আমার ৮-১০ মিনিটের লম্বা দৃশ্য আছে। আমি যা কাট ছাড়াই শুট করেছি। এখন পর্যন্ত এটা আমার সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টা। সাহো বানুর সংগ্রাম আর ন্যায়ের জন্য লড়াইকে আমি সম্মান করি। আমার অভিনীত এই চরিত্র সেই সব নারীর কণ্ঠ, যাঁরা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন।’