শাজি এন করুণ। ইনস্টাগ্রাম থেকে
শাজি এন করুণ। ইনস্টাগ্রাম থেকে

নির্মাতা শাজি এন করুণ মারা গেছেন

মালয়ালম সিনেমার প্রখ্যাত নির্মাতা ও চিত্রগ্রাহক শাজি এন করুণ মারা গেছেন। গতকাল তিরুবনন্তপুরমে নিজ বাড়িতেই ৭৩ বছর বয়সী নির্মাতার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

১৯৮৮ সালে ‘পিরাভি’ দিয়ে পরিচালনায় অভিষেক হয় করুণের। আইএমডিবি

ভারতের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে সিনেমাটোগ্রাফি বিভাগে স্বর্ণপদক পাওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন করুণ। ১৯৭৫ সালে পড়াশোনা শেষে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। জি আরবিন্দান, কে জি জর্জের মতো নির্মাতাদের সঙ্গে ‘থাম্পু’, ‘এসথাপ্পান’ ইত্যাদি সিনেমায় কাজ করেন।

১৯৮৮ সালে ‘পিরাভি’ দিয়ে পরিচালনায় অভিষেক হয় করুণের। এই এক সিনেমা দিয়েই সমালোচকদের মনে দাগ কাটেন নির্মাতা। ভারতের জরুরি অবস্থার সময় টি ভি এচারা ওরিয়রের অন্তর্ধানের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ক্যামেরা ডি’অরসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পায়।

‘স্বাহম’ সিনেমার পোস্টার। আইএমডিবি

১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর দ্বিতীয় সিনেমা ‘স্বাহম’ তাঁকে আরও খ্যাতি এনে দেয়। সিনেমাটি কান উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বার্ণপামের জন্য লড়েছিল। এভাবেই করুণ হয়ে ওঠেন ভারতীয় সিনেমার প্রভাবশালী নির্মাতাদের একজন। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে মোহনলাল অভিনীত ‘বনপ্রস্থম’। এটিও কান উৎসবে প্রদর্শনের পর ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

নিজে সিনেমা নির্মাণ ছাড়াও মালয়ালম সিনেমাকে পরের ধাপে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর হাত ধরে কেরালার সিনেমা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি পায়। কেরালা রাজ্য সরকারের চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ২০১১ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে। পরিচালক, চিত্রগ্রাহক ও প্রযোজক হিসেবে সাতবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে ফরাসি সরকার তাঁকে অর্দ্র দেজ আর এ দে লেত্র সম্মানে ভূষিত করে।