Thank you for trying Sticky AMP!!

জয়া আহসান

করোনাকালেই জয়ার নতুন সিনেমা

নাম না জানা এই সিনেমার গল্প লিখেছেন পিপলু আর খান ও নুসরাত মাটি। পিপলু আর খানের ‘অ্যাপলবক্স ফিল্মস’, আবু শাহেদ ইমনের ‘বক্স অফিস মাল্টিমিডিয়া’ ও জয়া আহসানের ‘সি তে সিনেমা’ এই ছবিটির প্রযোজনা করেছে।

‘কোয়ারেন্টিন শর্টফিল্ম ফেস্ট ২০২০’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানের দিনেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল সুখবরের। লকডাউনের ঘরবন্দী দিনগুলোতে আস্ত একটি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন জয়া আহসান। অথচ ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে নানা কিছু নিয়ে গত ছয় মাসের প্রায় পুরোটা সময় সক্রিয় ছিলেন তিনি। নানা খবর হয়েও এসেছেন গণমাধ্যমে। কিন্তু সিনেমার ব্যাপারে কোথাও এতটুকু আভাস মেলেনি।

ছবিটি নিয়ে বিস্তারিত জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে। জানালেন, ছবি নিয়ে বিস্তারিত বলা নাকি বারণ। কেন এই সিনেমায় অভিনয় করলেন? উত্তরে উল্টো প্রশ্ন করে জয়া আহসান বলেন, ‘মাছ কি ডাঙায় বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে? অভিনয়শিল্পীও তাই। অভিনয় ছাড়া বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। করোনার শুরুর দিনগুলোতে ঘরে থেকে ছোটখাটো নানা কাজের প্রস্তাব আসছিল। কিন্তু ওসবে আবার আমার পোষায় না। এখানে... ব্যাটে বলে মিলে গেল।’

জয়া আহসান

জয়া জানান, অভিনয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিলেন। করোনাকালের শুরুতে কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। ঘরে থেকে সবাই এক ধরনের অনিশ্চয়তা আর ভয়ের জীবন যাপন করছিল। এমন সময় নির্মাতা পিপলু আর খান জয়া আহসানকে জানান, তিনি এই ভয়ের সামনাসামনি দাঁড়াতে চান। এই সময়টা ধরে ‘কিছু একটা’ করতে চান, বলতে চান। সেই ‘কিছু একটা’ শেষমেষ দাঁড়াল হাসিনা: আ ডটার’স টেলখ্যাত এই নির্মাতার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

জানা গেল, মাত্র ১০ জন শিল্পী আর কলাকুশলী নিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ দিনে হয়েছে ছবির শুটিং। জয়া আহসান বলেন, ‘আমরা যে বিরাট আয়োজন করে হাতিঘোড়া মারব, এমনটা ভেবে শুরু করিনি। প্রস্তুতি তো ছিলই। এক এক ছবির একেক রকম আয়োজন। এই ছবিটা এই কজন লোকবল এবং এই পরিমাণ সময়ই দাবি করে। এই সিনেমাটা নিজে নিজেই সিনেমা হয়ে উঠেছে। আলাদা করে বানাতে হয়নি। শুটিংয়ের আগে স্পটবয় থেকে গাড়ির ড্রাইভার—প্রত্যেকের দুবার করে কোভিড পরীক্ষা করা হয়।’

জয়া আহসান

প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে জানতে চাইলে পিপলু আর খান কেবল বললেন, ‘সময়মতো সবাই সবটা জানতে পারবে। এই ছবিটা যদি এই সময়ে বানানো না হতো, তাহলে আর ছবিটা বানানোই হতো না। ওই সময়ের অনুভব জীবন্ত থাকতে থাকতে ছবিটা বানিয়ে ফেলতে চেয়েছি। আমি আমার সিনেমার ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল। সিনেমাটাও খুবই ব্যক্তিগতভাবে তৈরি হয়েছে।’

নাম না জানা এই সিনেমার গল্প লিখেছেন পিপলু আর খান ও নুসরাত মাটি। পিপলু আর খানের ‘অ্যাপলবক্স ফিল্মস’, আবু শাহেদ ইমনের ‘বক্স অফিস মাল্টিমিডিয়া’ ও জয়া আহসানের ‘সি তে সিনেমা’ এই ছবিটির প্রযোজনা করেছে।