Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে কবরীর ছেলে

মা কবরী ও ছেলে শাকের চিশতী

কাল রাত থেকেই জ্বর। এরপর যোগ হয় খাবারের স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়া। এতে ঘাবড়ে যান কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। দ্রুত পরিচিত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। ছুটে যান একটি সরকারি হাসপাতালে। করোনার পরীক্ষা শেষে সেখানে ভর্তি হতে না পেরে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তির খবরটি নিশ্চিত করেন শাকের চিশতী।
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা মা সারাহ বেগম কবরী হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই সঙ্গে ছিলেন ছেলে শাকের চিশতী। পাঁচ ছেলের মধ্যে বড় তিন ছেলে দেশের বাইরে এবং ছোট ছেলে অটিজমের সমস্যা থাকায় মায়ের যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব পড়ে শাকের চিশতীর ওপর। মাকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি—সবই করতে হয়েছে শাকেরকে। শাকের তাঁর বন্ধু ও কবরীর কাছের কয়েকজনকে নিয়েই মায়ের শেষবিদায়ের কাজটি সম্পন্ন করেন। মায়ের মৃত্যুর দুদিন পর করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এরপরই ঢাকার বারিধারার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শাকের চিশতী।

সারাহ বেগম কবরী

বেলা আড়াইটায় শাকেরের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তিনি প্রথম আলোকে বললেন, ‘ফুসফুসের সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। এখনো রিপোর্ট হাতে পাইনি। করোনার টেস্টও করানো হবে। জ্বর, স্বাদ-গন্ধ না পাওয়ার না পাশাপাশি অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫–এর নিচে নেমে যাওয়ায় ঘাবড়ে যাই। তাই দ্রুত পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাই।’
করোনায় আক্রান্ত দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী কবরী গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। খুসখুস কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষায় দেন সারাহ বেগম কবরী। ৫ এপ্রিল দুপুরে পরীক্ষার ফল হাতে পেলে জানতে পারেন, তিনি করোনা পজিটিভ।

সারাহ বেগম কবরী

ওই রাতেই তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ এপ্রিল রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। অবশেষে ৮ এপ্রিল দুপুরে কবরীর জন্য আইসিইউ পাওয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। কিন্তু পরদিন শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।