
কানের মার্শে দ্যু ফিল্মের ডকস–ইন–প্রোগ্রেসে পুরস্কার পেয়েছে তাহরিমা খানের মুন্নি। নির্মাণাধীন প্রামাণ্যচিত্রটি থিঙ্ক–ফিল্ম ইম্প্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড পায়। এই বিভাগে ৩২টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি প্রকল্পকে পুরস্কার দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার রাতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তাহরিমা খান। পুরস্কার পাওয়ার পরে নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। আমি, আমার টিম এবং বাংলাদেশের জন্য এটা অনেক বড় অর্জন। এই সাফল্য সামনে আরও ভালো কাজ করতে অনেক বড় অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে।’
ছবির গল্প টাঙ্গাইলের কামরুন্নাহার মুন্নিকে নিয়ে। টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমায় তিনি গড়ে তুলেছেন মোনালিসা ওমেন স্পোর্টস একাডেমি। একাধারে তিনি মেয়েদের কোচ, শিক্ষিকা আবার বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা এক নারী। নিজেই তিনি বাল্যবিবাহের শিকার।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্ম। ডকস–ইন–প্রোগ্রেস হচ্ছে মার্শে দ্যু ফিল্মের ‘কান ডকস’ প্রোগ্রামের একটি শাখা। মোট ছয়টি পুরস্কার দেওয়া হয় এই শাখায়। এই শাখার প্রধান পুরস্কার আইইএফটিএ অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ১০ হাজার ইউরো পেয়েছে স্লোভেনিয়ার মাইয়া দোরেতাইয়া প্রোলগের প্রামাণ্যচিত্র প্রকল্প থেনতানি। এ ছাড়া ফ্রান্সের মিশেল আদ্রিয়ানালির গেটো ডকুমেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোপ অ্যাওয়ার্ড, ফিলিস্তিনের ইউসেফ স্রুজির থ্রি প্রমিজেস আলফাপান্ডা অ্যাওয়ার্ড, ফ্রান্সের লোহা ভলাঙ্কেয়ার অব ডগস অ্যান্ড গডস সিনেলি ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড, চিলির রবার্তো বায়েজার মিটিং পয়েন্ট ভোস্তাও অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। পাশাপাশি নেপালের সাবিনা শ্রেষ্ঠার দেবী এবং ইতালির বিত্রিসো সুরানো–দুনিয়া লাবেকিয়া–মরেনা তেরেনোভার সাভইয়া পেয়েছে সম্মানসূচক মেনশন।
এ বছর ‘ডকস-ইন-প্রোগ্রেস’ বিভাগে ইন্টারন্যাশন্যাল ফিল্ম ইনিশিয়েটিভ অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় শোকেস সাউথ এশিয়ায় নির্বাচিত হয় চারটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকল্প। এর মধ্যে মুন্নি ও দেবী সম্মাননা পেয়েছে।
৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে ৬ জুলাই। ১৭ জুলাই পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর।