সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ, পিছিয়ে গেল ‘হাওয়া’র ট্রেলার মুক্তি

‘হাওয়া’ সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আজ
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

মেজবাউর রহমান সুমনের বহুল প্রতীক্ষিত ‘হাওয়া’ সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আজ। দিনটি ধরে কয়েক দিন আগে থেকে প্রচারণাও চালানো হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে ওলটপালট হয়ে গেল সব। মুক্তির কয়েক ঘণ্টা আগে জানা গেল ট্রেলারটি আসছে না। বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দেশে এখন শোকের ছায়া। এ কারণ আজ ট্রেলারটি মুক্তি দিতে চাইছেন না নির্মাতা।

হাওয়া সিনেমার প্রকাশিত প্রথম পোস্টার

মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এখনো চলছে। সেটা নিয়ে দেশের মানুষের মাঝে শোক বইছে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই সময়টা ট্রেলার রিলিজ দেওয়ার সময় নয়। সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা ট্রেলার প্রকাশ করছি না। পরিস্থিতি বুঝে আমরা কিছুটা সময় নিতে চাই। হয়তো দুই–তিন দিন পরে ট্রেলার প্রকাশের খবর দিতে পারব।’

‘হাওয়া’ ছবির প্রচারণা মাস্ক পরে আছেন অভিনেত্রী নাজিফা তুশি

জলকেন্দ্রিক মিথ নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘হাওয়া’। ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল সিনেমার শুটিং। ওই সময় প্রকাশ পেয়েছিল সিনেমাটির প্রথম পোস্টার। পরে করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছরের বিরতি দিয়ে গত এপ্রিলে প্রকাশ পায় সিনেমাটির অফিশিয়াল পোস্টার। আজ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির অফিশিয়াল ট্রেলার। সমুদ্রের জলের সঙ্গে মিশে যাওয়া জেলেদের গভীর জলে মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে গল্প। সিনেমার গল্প সম্পর্কে পরিচালক বলেন, ‘এটা সমুদ্রতীরবর্তী মানুষের গল্প না। একেবারে সমুদ্রের জলের সঙ্গে মিশে যাওয়া জেলেদের গল্প। জলের গল্প। মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাহিনি। গভীর সমুদ্রে ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য মাছ ধরতে যান জেলেরা। সেখানকার অভিজ্ঞতা এটি। আমাদের এই অঞ্চলে জলকেন্দ্রিক যে মিথ আছে, তার একটা আধুনিক উপস্থাপনা বলতে পারেন।’

করোনার মধ্যে গত বছর চঞ্চল চৌধুরী ‘হাওয়া’ ছবির প্রচারণার মাস্ক পরেছেন

‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’ এবং ‘দেবী’র মতো আলোচিত ও ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী পরবর্তী চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ‘হাওয়া’ সিনেমায়। মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি, শরীফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভি প্রমুখ।

মেজবাউর রহমান সুমন ২০০৬ সালে প্রথম নাটক ‘দখিনের জানালাটা খোলা, ‘আলো আসে-আলো ফিরে যায়’ দিয়ে অর্জন করেছিলেন মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার। এ ছাড়া তাঁর নির্মিত ‘তারপরও আঙুরলতা নন্দকে ভালোবাসে’, ‘পারুলের দিন’, ‘জ্যোৎস্না নদী ও রফিকের কিছু কল্পদৃশ্য’, ‘সুপারম্যান’, ‘কফি হাউস’ দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বেশ কিছু আলোচিত বিজ্ঞাপন বানিয়েছিলেন তিনি।

পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন