Thank you for trying Sticky AMP!!

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন আলমগীর

আলমগীর

১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী আলমগীর। আজ বুধবার বিকেলের মধ্যেই তিনি বাড়ি ফিরবেন বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। বেলা দেড়টায় যখন তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গত ১৭ এপ্রিল কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন আলমগীর ও রুনা লায়লা। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে তাঁরা করোনার দ্বিতীয় টিকা গ্রহণ করেন। তাঁদের সঙ্গে একই দিনে টিকা গ্রহণ করেন আলমগীরের তিন সন্তান—মেহরুবা আহমেদ, আঁখি আলমগীর, তাসবির আহমেদসহ মোট ১২ জন।

আলমগীরের করোনার সংক্রমণ প্রসঙ্গে রুনা লায়লা জানান, করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগের দিন থেকে আলমগীর তাঁর খুসখুসে কাশির কথা বলছিলেন। তাই দুজনেই তাঁদের মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে করোনার পরীক্ষা করান।

রুনা লায়লা ও আলমগীর

১৮ এপ্রিল সকালে রিপোর্ট হাতে পেলে জানতে পারেন, আলমগীর করোনা পজিটিভ, রুনা লায়লা করোনা নেগেটিভ। ওই দিন বিকেলেই ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আলমগীরকে। রুনা লায়লা বলেন, ‘করোনা পজিটিভ হওয়ার পর আমরা ভাবলাম, বাড়িতে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেয়ে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আলমগীর সাহেবকে রাখা গেলে ভালো হয়। তারপর কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা হয়।’

এদিকে বাড়ি ফেরার প্রাক্কালে আলমগীর জানালেন, হাসপাতালে তিনি চিকিৎসক রাশেদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া আরও কয়েকজন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক তাঁর দেখভাল করেছেন। আলমগীর বললেন, ‘সার্বিকভাবে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে সবার আন্তরিকতা ছিল এককথায় অসাধারণ। হোমলি এনভায়রনমেন্টে ছিলাম। আজ সকালে চিকিৎসক এসে জানালেন, আপনি তো পুরোপুরি সুস্থ। এখন বাসায় যেতে পারবেন। বাসায় গিয়ে আমাকে প্রথম কয়েক দিন সাবধানতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। বাড়ি ফেরার অনুমতি পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

আলমগীর ও রুনা লায়লা

এদিকে করোনা নিয়ে চিকিৎসাধীন আলমগীরের শারীরিক অবস্থা যখন উন্নতির দিকে, তখন কে বা কারা ফেসবুকে তাঁর মৃত্যুর মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেয়। এক কান আরেক কান হয়ে তা পৌঁছে যায় চিকিৎসাধীন অভিনেতার কানেও। এতে ভীষণ মর্মাহত হন তিনি, তাঁর স্ত্রী বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা হন ক্ষুব্ধ। এসব যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তখন জানান তাঁরা। জানা যায়, আলমগীরের মৃত্যুর মিথ্যা খবর ছড়িয়েছে নামসর্বস্ব কিছু অনলাইন পোর্টাল। আর যারা ফেসবুকে ছড়িয়েছে, সেসবের স্ক্রিনশট সংগ্রহ করা হয়েছে।