নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন খোরশেদ আলম
নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন খোরশেদ আলম

অর্ধশতাব্দীর স্মৃতি, এফডিসি ছেড়ে এবার ভবানীপুরে ফিরতে চান খোরশেদ

প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে এফডিসির আঙিনা, ইট-কাঠ, আলো-অন্ধকারের সঙ্গে একাকার হয়ে ছিলেন শিল্পনির্দেশকের সহকারী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। এ সময়ে দেখেছেন চলচ্চিত্রের কত উত্থান-পতন। সময়ের নিয়মে তিনি আজ বিদায়ের পথে, এফডিসির কোলাহল ছেড়ে ফিরে যাচ্ছেন আপন ভিটায়। বিদায় অনুষ্ঠানে তিনি কেঁদেছেন, কাঁদিয়েছেন। চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরবে, এ বিশ্বাস নিয়েই বাড়িতে ফিরছেন বলে জানান তিনি।

বিদায় অনুষ্ঠানে কেঁদেছেন, কাঁদিয়েছেন খোরশেদ আলম

বিদায় অনুষ্ঠানে খোরশেদ আলম স্মরণ করেন তাঁর ওস্তাদ শরফুদ্দীন ভূঁইয়া থেকে প্রয়াত নির্মাতাদের। পাশে উপস্থিত নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। খোরশেদ আলম বলেন, ‘সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। আমার জন্য যাঁরা এ আয়োজন করছেন, শরীরের সব রক্ত দিয়েও এ ঋণ শোধ হবে না। এফডিসি আগের মতো ভালো দিনে ফিরে যাক, সে কামনা করি।’

খোরশেদ আলমের সঙ্গে কাজের স্মৃতি স্মরণ করেন নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। তিনি বলেন, ‘এখনো খোরশেদ (আলম) আমাকে বলে, ‘‘আপনি কাজ করেন না কেন, কাজ করেন”, আসলে ওর সঙ্গে অনেক স্মৃতি। আমার অনেক ছবিতে ও কাজ করেছে। ও পরিবারের কাছে ফিরছে, এটা আনন্দের। সুস্থভাবে পরিবারের সঙ্গে ওর শেষ সময় কাটুক, সে কামনা করি। নির্মাতাদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফআই মানিক, সাইমন তারিক ও গাজী মাহবুব।

এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমানও এসেছিলেন

অনুষ্ঠানে শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম, ইয়ামিন হক ববি, অভিনেতা কমল পাটেকর, সনি রহমান ও মুন্না খান। এসেছিলেন এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান।
জীবনের দীর্ঘ ৪৭ বছর এফডিসিকে দিয়েছেন খোরশেদ আলম। বর্তমানে শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। তাই এফডিসি ছাড়ছেন তিনি। ফিরে যাচ্ছেন চাঁদপুরের ভবানীপুর গ্রামে, যেখানে তাঁর জন্ম।
আজ বুধবার বিকেলে খোরশেদ আলমের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট মানুষজন। মানবিক এই উদ্যোগে যুক্ত ছিল চলচ্চিত্রের কয়েকটি সংগঠন। এ ছাড়া অভিনয়শিল্পী থেকে নির্মাতা ও প্রযোজকেরাও তাঁর পাশে দাঁড়ান। পুরো আয়োজনের নেপথ্যে ছিলেন কয়েকজন বিনোদন সাংবাদিক।