বেশ কিছুদিন ধরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সংসার ভাঙনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তা বাস্তবে বলে নিশ্চিত হলো। গতকাল শুক্রবার রাতে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে তা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এরই মধ্যে তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেছেন। এ অভিনেত্রী নিজেই আজ রাতে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন।
নিজের ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, ‘আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে।’ কেঁদে মাহি বলেন, ‘খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে, সেটিও দুজন মিলেই ঠিক করব।’
ভিডিওর শুরুতে মাহি নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আজকে এ রকম একটা ভিডিও করতে হবে, সেটা ভাবিনি। তবে মনে হয়েছে সবাইকে বলার সময় হয়েছে। নিজেদের ভালোর জন্যই সবার জানা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা তারাই ভালো জানে। এটা বাইরের থেকে বোঝা যাবে না। আসলে সংসার কেন ভাঙে, কেন হাজবেন্ডের সঙ্গে থাকতে পারল না বা হাজবেন্ড কেন তাঁকে সহ্য করতে পারছে না। অথবা তাঁর ওয়াইফটা কেন তাঁর হাজবেন্ডকে সহ্য করতে পারছে না। অথবা দুজন কেন ভালো নাই। দুজনের মধ্যে আসলে কী ঝামেলা হয়েছে—এগুলো তো আমরা আসলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বুঝব না। তাই আমরা কাউকে নিয়ে যেন জাজ না করি।’ তিনি জানান, অনেক দিন ধরে তাঁরা আলাদা থাকছেন।
Also Read: ভাইরাল সেই ভিডিও নিয়ে যা বললেন মাহি
ভিডিওর একপর্যায়ে মাহি তাঁর সন্তানকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য না করার অনুরোধ জানান নেটিজেনদের প্রতি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ও হয়তো এখন এসব বুঝতে পারে না; কিন্তু একসময় এসব বুঝবে, তখন নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে। দয়া করে এসব করবেন না। আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন, যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’
Also Read: বিয়ে করলেন মাহি
ভিডিওর শেষে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন করে কাজ শুরু করব। জীবনে আমার অনেক যুদ্ধ। বাচ্চাটা বড় হবে। ওর জন্য অনেক কিছু করার আছে। সবাই দোয়া করবেন, যেন ফারিশকে নিয়ে আমার পথচলা মসৃণ হয়।’
২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রকিবকে বিয়ে করেন মাহি। তাঁদের ঘরে পুত্রসন্তান ফারিশ রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। আর ২০২১ সালের ২২ মে পাঁচ বছরের বিবাহিত সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন এই অভিনেত্রী। এরপরই রাকিবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় আসে। এটি রাকিবের দ্বিতীয় সংসার।