Thank you for trying Sticky AMP!!

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যা বললেন মিশা সওদাগর

মিশা সওদাগর

গত ২৮ জানুয়ারি ২০২২–২৪ মেয়াদি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিলে আগামী ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২০২৬ মেয়াদির নির্বাচন। তবে নির্বাচনকে ঘিরে এখন পর্যন্ত শিল্পীদের মধ্যে তেমন কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না। এবার কয়টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কোন প্যানেলে কে কে থাকছেন, কোনো কিছুই পরিষ্কার নয় এখনো। তবে এফডিসি ঘুরে জানা গেছে যে নির্বাচনে আগ্রহী ব্যক্তিরা ভেতরে ভেতরে প্যানেল গোছানোর কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে শোনা যাচ্ছে যে মিশা সওদাগর ও ডিপজল একটি প্যানেল দিচ্ছেন। সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজল। তবে কমিটির ২১ সদস্যের পুরো প্যানেল এখনো চূড়ান্ত হয়নি

মিশা সওদাগর

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করে মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমি আর ডিপজল ভাই মিলে আগামী নির্বাচনে একটি প্যানেল চূড়ান্ত করেছি। এখনো কমিটির বাকি সদস্য চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই জানাব সবাইকে।’

২০২২–২৪ মেয়াদি সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে পরাজিত হন মিশা সওদাগর। তার আগে সভাপতিসহ কমিটির বিভিন্ন পদে পাঁচবার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অন্যদিকে ওই কমিটিতে সহসভাপতি ছিলেন ডিপজল।

গতবার পরাজিত হয়েও আবার নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে মিশা সওদাগর বলেন, ‘এটি সিরিয়াস কোনো বিষয় নয়। এটি একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার প্রতিষ্ঠান। এখানে কেউ নিজের আয়, উন্নতির জন্য আসেন না। এখানে থেকে শিল্পী ভাই–বোনদের জন্য কাজ করার সুযোগ হয়। মিলেমিশে থাকার জন্যই এখানে আসা। এর বেশি কিছু নয়।’

তবে মিশা বলেন, ‘বিগত দিনে শিল্পীদের মধ্যে যদি ভেদাভেদ হয়ে থাকে, আমি যদি জিতে আসতে পারি, তাহলে সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার শতভাগ চেষ্টা করব। কারোর গায়ে বৃষ্টি পড়ার সুযোগ দেব না। এর জন্য আমি বদ্ধপরিকর।’

মিশা সওদাগর

এই খলনায়কের কথা, আমি আমার জায়গায় সৎ। গতবার হেরেছি। কিন্তু ঠিকই জয়ী প্রার্থী কাঞ্চন ভাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি, গলায় ফুলের মালা তুলে দিয়েছি। অথচ যখন আমার কাছে ওমর সানী, মৌসুমী হেরেছেন, তাঁরা কিন্তু আসেননি।’

আগের কমিটি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? জানতে চাইলে মিশা বলেন, ‘এর উত্তর দিতে গেলে রাজনৈতিক উত্তর হয়ে যাবে। এটি সম্পর্কে আমার বলার কিছু নেই, বলতেও চাই না। যেসব শিল্পী ভোটার ভোট দিয়েছেন, তাঁদের কাছে এর ভালো বিচার বিশ্লেষণ আছে। ইশতেহার অনুযায়ী কমিটি ঠিকমতো কাজ করেছে কি না, তা ভোটাররাই ভালো বলতে পারবেন।’

এদিকে বিগত কমিটির বিজয়ী কাঞ্চন–নিপুণ প্যানেলসহ আর কোনো প্যানেল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।