আজমেরী হক বাঁধন।
আজমেরী হক বাঁধন।

চার নায়িকার কেউই রাজি হননি, বাঁধন কেন ‘খুফিয়া’ করেছিলেন

বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান, মিম, মেহজাবীন ও সালহা খানম নাদিয়াদের কাছেও প্রস্তাব এসেছিল বলিউডের ‘খুফিয়া’ ছবিতে অভিনয়ের। কিন্তু তাঁরা কেউই বিশাল ভরদ্বাজের ছবিটিতে অভিনয় করেননি। সর্বশেষে প্রস্তাব এসেছিল আজমেরী হক বাঁধনের কাছে। তিনি গল্প পড়ে রাজি হন। ভারতীয় পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ খুশি হওয়ার পাশাপাশি কিছুটা অবাকও হন। কারণ, যেখানে দেশের এত অভিনয়শিল্পী না করেছেন, সেখানে বাঁধনের বিষয়টি তাঁকে বেশ অবাকই করে। ছবিটি মুক্তির পর অভিনয় দিয়ে বাঁধন কুড়িয়েছেন প্রশংসা।

২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘খুফিয়া’। ছবিটি মুক্তির পর বাঁধন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘মুক্তির পর যা প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, খুবই ভালো। সবাই আমার আর টাবুর রসায়ন পছন্দ করেছে। বলছে, পর্দায় আমাদের দেখতে খুব ভালো লেগেছে; আমাদের দৃশ্য যখন এসেছে, তখন চোখ সরাতে পারেনি।’

২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘খুফিয়া’ ছবিতে অভিনয়ের প্রসঙ্গে আজ সোমবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। তাতে পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে কী কথোপকথন হয়েছিল তা তুলে ধরেছেন। ‘খুফিয়া’ ছবিতে বলিউডের অভিনেত্রী টাবুর সঙ্গে ঢালিউডের বাঁধনের চুম্বন দৃশ্য ছিল। সেই চুম্বনদৃশ্য সাড়া ফেলেছিল দর্শকমহলে। হঠাৎ যেন এত দিন পর আবার স্মৃতিতে ডুব দিলেন বাঁধন।

আজমেরী হক বাঁধন।

বাঁধনের কথোপকথন থেকে জানা যায়, পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আজমেরী, এই ছবির প্রস্তাব সবাই ফিরিয়ে দিয়েছে। তুমি এই ছবিতে কাজটি করতে রাজি হলে কেন?’ উত্তরে বাঁধন বলেছিলেন, ‘টাবুকে চুমু খাওয়ার সুযোগ কে ছাড়বে?’ উত্তর শুনে বাঁধনের সঙ্গে হেসে উঠেছিলেন বিশাল ভরদ্বাজও। রসিকতা পাশ কাটিয়ে যদিও পরিচালককে বাঁধন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হারাতে চাইনি। আমি একজন শিল্পী। আমার কোনো কিছু নিয়ে ভয় পাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া আমার চরিত্রটি পছন্দ হয়েছে।’

‘খুফিয়া’ ছবির একটি দৃশ্যে আজমেরী হক বাঁধন।

বাংলাদেশের কোনো অভিনেত্রীই ‘খুফিয়া’ ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হচ্ছিলেন না বলে জানিয়েছিলেন বিশাল। কোনো অভিনেত্রী আপত্তি জানিয়েছিলেন ছবিতে ‘জামায়াত’ শব্দটির ব্যবহার নিয়ে, কেউ আবার আপত্তি তুলেছিলেন পর্দায় সহ-অভিনেত্রীকে চুম্বনের দৃশ্যের কারণে। তা হলে বাঁধন রাজি হয়েছিলেন কেন? অভিনেত্রীর কথায়, ‘স্যার, আমি মনে করি, সবার নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার রয়েছে। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। চাই না, মৌলবাদীরা আমার দেশে আধিপত্য গড়ে তুলুক।’ বাঁধনের কাছ থেকে এমন মন্তব্য শোনার পর নাকি বিশাল ভরদ্বাজ বলেছিলেন, ‘আমি ঠিক মানুষকেই ছবিতে নিয়েছি। খুব ভালো লাগছে, আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’

আজমেরী হক বাঁধন।

সামনে বাঁধনকে দেখা যাবে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবিতে। সানি সানোয়ার পরিচালিত সিনেমাটি পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে।