বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে ৫০টি নাট্য সংগঠনের ৫০ তরুণ নাট্যকর্মীকে সম্মাননা জানাল নাট্যদল এথিক
বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে ৫০টি নাট্য সংগঠনের ৫০ তরুণ নাট্যকর্মীকে সম্মাননা জানাল নাট্যদল এথিক

সম্মাননা পেলেন ৫০ তরুণ নাট্যকর্মী

বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে ৫০টি নাট্য সংগঠনের ৫০ তরুণ নাট্যকর্মীকে সম্মাননা জানাল নাট্যদল এথিক। গতকাল সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চকর্মীদের এক মিলনমেলা বসেছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সম্মাননাপ্রাপ্ত ৫০ তরুণ নাট্যকর্মীর সঙ্গে এসেছিলেন দলপ্রধানসহ নিজ নিজ দলের কর্মীরা। ছিলেন ঢাকার নাট্যাঙ্গনের অনেক নাট্যব্যক্তিত্ব। ফলে শিল্পকলা একাডেমির আঙিনা যেন পুরোটাই একটা মঞ্চ হয়ে ওঠে। নাট্যজন আতাউর রহমান, লিয়াকত আলী লাকী ও লাকী ইনাম সম্মাননাপ্রাপ্ত তরুণ নাট্যকর্মীদের হাতে এথিক সম্মাননা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এথিকের সভাপতি রেজানুর রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক অপু শহীদ।

বক্তৃতা দেন নাট্যজন আতাউর রহমান
বক্তৃতা দেন নাট্যজন আতাউর রহমান

অনুষ্ঠানে ছিল আলোচনা পর্বও। এতে বক্তারা বলেন, তরুণ নাট্যকর্মীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়ার পথিকের এই সৃজনশীল  প্রচেষ্টা দেশের মঞ্চনাটকের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিক্রিয়া জানান, সম্মাননাপ্রাপ্তদের অনেকেই।

অনুষ্ঠানে নাট্যজন আতাউর রহমান বলেন, ‘অনেকে দেশের তরুণদের নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন, আমি তাঁদের সঙ্গে একমত নই। আমাদের  দেশের তরুণেরা অনেক মেধাবী। তাঁদের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। এথিকের উদ্যোগ তরুণ নাট্যকর্মীদের মধ্যে সাহস ও উদ্দীপনা জোগাবে। সে জন্য আমি এথিককে ধন্যবাদ জানই।’

বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বলেন, তারুণ্যই মঞ্চের শক্তি। মঞ্চের তরুণ কর্মীদের সম্মাননা জানিয়ে একটি মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এথিক। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম বলেন, মঞ্চনাটকের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এথিকের এই উদ্যোগ প্রেরণা জোগাবে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রেজানুর রহমানের লেখা ও নির্দেশনায় এথিকের নতুন নাটক ‘আয়নাঘর’ মঞ্চস্থ হয়।

এবারের ৫০ নাট্য সংগঠনের যাঁরা এথিক সম্মাননা পেয়েছেন, তাঁরা হলেন রবিন বসাক (থিয়েটার, বেইলি রোড), তাজউদ্দিন তাজু (আরণ্যক নাট্যদল), শরিফ হাসান চৌধুরী (ঢাকা থিয়েটার), মূসা রুবেল (লোক নাট্যদল, সিদ্ধেশ্বরী), শরীফ হোসেন (নাট্যকেন্দ্র), কামরুজ্জামান রনি (নাগরিক নাট্যাঙ্গন), ফারজানা নাসরিন (নাট্যচক্র), মারজিয়া জাবিন (ঢাকা পদাতিক), নুরুজ্জামান বাবু (থিয়েটার আর্ট ইউনিট), তানজি কুন (প্রাচ্যনাট), মোহাম্মদ জুয়েল (প্রাঙ্গণেমোর), হোসাইন নীরব (দেশ নাটক), মৌসুমি আক্তার (সময়), মুনিরা রহমান (পালাকার), তাজুল ইসলাম (নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল), মিহাজুল হুদা (লোক নাট্যদল, বনানী), সোনালী রহমান (স্বপ্নদল), সাকিল সিদ্ধার্থ (অনুস্বর), ইভান রিয়াজ (বটতলা), প্রিয়া রানী দাস (দৃষ্টিপাত নাট্যদল),

মোস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ থিয়েটার), মীর যদ্দিন আলফা (শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র), রহিসুল ইসলাম (নাট্যধারা), মামুন আবদুল্লাহ (পদাতিক নাট্য সংসদ), ইকরামুল ইসলাম (পদাতিক নাট্য সংসদ, টিএসসি),

পলি বিশ্বাস (মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়), আজরা জেবিন (থিয়েটার, তোপখানা), মুহাম্মদ ফজলুল হক (সুবচন নাট্য সংসদ), সাজ্জাদ হোসেন (ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠী), শহিদুল ইসলাম (সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার), হলুদ পুতুল (সুষম নাট্য সম্প্রদায়), আজমরি কান্তা (শৌখিন থিয়েটার), মহসিনা আক্তার (র্স্পধা), মাহমুদুল হাসান (চন্দ্রকলা থিয়েটার),

বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম

শেফালি কুসুম (মুক্তালয় নাট্যাঙ্গন), ওমর সুলাইমান (ঢাকা নান্দনিক), অরূপ রতন আচার্য (ঢাকা মঞ্চ), খোরশেদ আলম (রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠী), মোতাসিম বিল্লাহ (দৃশ্যপট), ফয়সাল মাহমুদ (বাতিঘর), নজরুল ইসলাম (থিয়েটার ৫২), বিবি ফাতেমা কানিজ (নৈবেদ্য থিয়েটার), শামীমা আক্তার (মেঠোপথ থিয়েটার), এনামতারা সাকী (কিস্‌সা কাহিনি), হুমায়রা আনজুম (অনুরাগ থিয়েটার), হাসানুজ্জামান খান (থিয়েটার ফ্যাক্টরি), সাজিদুর রহমান (শুন্যন রেপার্টরি), শুভাশীষ দত্ত (নাট্যম রেপার্টরি), বাবুল হোসেন (গ্রন্থিক নাট্যগোষ্ঠী), আরিফুল ইসলাম (এম্পটি স্পেস)।