Thank you for trying Sticky AMP!!

চলচ্চিত্রের আনন্দটা পেতে চাইলে সিনেমা হলে যেতেই হবে

বিনোদন অঙ্গনের সবারই জানা, কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক তৌকীর আহমেদ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তাঁকে দেখা গেল যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাসে। রনি ভৌমিক পরিচালিত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ ছবিটি দেখতেই তাঁর সেখানে যাওয়া। কেমন লেগেছে ছবিটা, তা–ই জানালেন তিনি।

প্রশ্ন

দেশে ফিরলেন কবে?

এই তো কিছুদিন আগে। পারিবারিক একটা ব্যাপারেই এসেছি মূলত। তবে বেশি দিন থাকা হবে না।

তৌকীর আহমেদ
প্রশ্ন

কাল আপনাকে ‘মৃধা বনাম মৃধা’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে দেখা গেল। কেমন লেগেছে ছবিটি?

ছবিটা দেখলাম, ভালোই লেগেছে। খুব চমৎকারভাবে পরিচালক কাজটা করার চেষ্টা করেছে। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে, অভিনয়শিল্পীরা যেভাবে কাজ করেছেন—তারিক আনাম খান, সিয়াম, নোভা ও অন্য যাঁরা ছিলেন—সবাই খুব যত্ন করে তাঁদের কাজটা করার চেষ্টা করেছেন। পরিচালকও তাঁদের ভালোভাবে হ্যান্ডল করেছে। একই সঙ্গে এটাও বলতে চাই, ভালো অভিনেতা যে একটি চলচ্চিত্রে কত কী অ্যাড করতে পারেন, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ‘মৃধা বনাম মৃধা’।

তারিক আনাম খান
প্রশ্ন

অনেকে দেখছি বলাবলি করছেন, পারিবারিক গল্পের এমন চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে পরিবারসহ টানতে ভূমিকা রাখবে?

আসলে ছবি তো নানান রকম হবে। একেক নির্মাতা তাঁর মতো করে ছবি বানাবেন। কিন্তু আমাদের সমস্যাটা তো অন্য জায়গায়। এটাও ঠিক, সব ছবি সবার ভালো লাগবে না, এটা যেমন সত্য, দর্শক সিনেমা হলে না গেলে তো ভালো–মন্দ কোনো সিনেমাই দেখানো যাবে না। এই মুহূর্তের সংকটটা তো ভিন্ন, করোনা–উত্তরকালে বা পরবর্তীকালে সিনেমা হলে আর বলতে গেলে দর্শক যাচ্ছেই না, তাই নয়! সেটাই হচ্ছে আমাদের বড় সংকট। আমরা তো চাই যে দর্শক সিনেমা হলে এসে আমাদের সিনেমাগুলো দেখুক। তারপর ভালো–মন্দ বলবেন। সব ছবি সবার ভালো লাগবে, এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। কিন্তু যদি দর্শকই সিনেমা হলে না যায়, তাহলে ভালো ছবি বানানোর উদ্যমটা তখন ব্যর্থ হয়ে যায়। চলচ্চিত্রকে ভালোবাসলে বা এর আনন্দটা পেতে চাইলে সিনেমা হলে যেতেই হবে।

‘মৃধা বনাম মৃধা’ ছবির একটি দৃশ্যে সিয়াম ও নোভা
প্রশ্ন

এ চলচ্চিত্রের সবচেয়ে শক্তিটা কী?

পরিচালক একটা পারিবারিক বিষয়কে তুলে নিয়ে এসেছে এবং তা খুব পরিচ্ছন্নভাবে পর্দায় উপস্থাপন করেছে। এখানে যেহেতু সম্পর্কের গল্প, সম্পর্কের সেই জায়গাটুকু অভিনয়ের কারণে আরও সুন্দর হয়েছে। তাই সবার ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন

আপনাকে আবার ছবি নির্মাণে পাওয়া যাবে কবে?

সিনেমা তো করব, ইনশা আল্লাহ। ২০২২ সালে আবার নতুন সিনেমা করব। পরিকল্পনা চলছে। সামনের পরিস্থিতি কী হয়, সেটাও তো বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে অমিক্রনের সংক্রমণটাও বাড়ছে। আবার কখন সব বন্ধ হয়ে যায়, সেটাও বুঝতে পারছি না।