
১৯৯২ সালের ঘটনা। তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামের আগে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট’ যুক্ত হয়নি। তিনি ছিলেন কেবলই একজন মার্কিন ব্যবসায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের প্লাজা হোটেলের মালিক। ‘হোম অ্যালোন টু: লস্ট ইন নিউইয়র্ক’ ছবির একটা বড় অংশের শুটিং হয়েছে প্লাজা হোটেলে। আর সেখানে একটি দৃশ্যে দেখা গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ছবিতে তিনি নিজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
ছবিতে দেখা গেছে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট তখন মূল চরিত্র কেভিনকে প্লাজা হোটেলের লবির দিকে পথ চিনিয়ে নিয়ে গেছেন। বড়দিন সামনে রেখে গত মঙ্গলবার সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ২৭ বছর আগের সেই ঘটনা মনে করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘হোম অ্যালোন টু’ ছবিতে তাঁকে যেভাবে দেখা গেছে, তাতে তিনি অত্যন্ত গর্বিত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তখন আমি তরুণ ছিলাম। আর ছবিটা অভাবনীয় হিট হয়। এখনো বড়দিনের সবচেয়ে সফল ছবিগুলোর একটি (হোম অ্যালোন টু)। এই ছবির সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের।’
এই ছবির মূল চরিত্র কেভিন নামের এক শিশু। বড় পর্দায় সেই চরিত্রকে রূপ দেন ম্যাকলি কালকিন। সে মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলে। তারপর হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে হোটেলে। তখন সে ওভারকোট আর লাল টাই পরা এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করে, হোটেলের লবি কোথায়। তখন সেই মানুষটি কেভিনকে বলেন, ‘নিচে যাও, তারপর বাঁ দিকে।’ ছবির সেই লোকটা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ক্রিস কলম্বাস পরিচালিত ‘হোম অ্যালোন টু’ ছবি বানাতে খরচ হয়েছে ২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর ১৯৯২ সালের বড়দিন উপলক্ষে মুক্তির পর ছবিটি আয় করেছে প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা।
‘হোম অ্যালোন টু’ ছাড়া ২০টি চলচ্চিত্র আর ওয়েব সিরিজে দেখা গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তবে সব কটিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প হিসেবেই অভিনয় করেছেন তিনি। এই ছবিগুলো হলো ‘ঘোস্টস কান্ট ডু ইট’ (১৯৮৯), ‘হোম অ্যালোন টু’ (১৯৯২), ‘দ্য লিটল রাস্কেলস’ (১৯৯৪), ‘অ্যাক্রস দ্য সি অব টাইম’ (১৯৯৫), ‘এডি’ (১৯৯৬), ‘দ্য অ্যাসোসিয়েট’ (১৯৯৬), ‘ফিফটি ফোর’ (১৯৯৮), ‘সোলিব্রিটি’ (১৯৯৮), ‘জুল্যান্ডার’ (২০০১), ‘টু উইকস নোটিশ’ (২০০২), ‘স্মল পটেটোজ’ (২০০৯), ‘ওয়াল স্ট্রিট’ (২০১০) ও ‘পিওএম ওয়ান্ডারফুল প্রেজেন্টস’ (২০১১)।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন টিভি সিরিজ, টিভি শো আর রেসলিং নিয়ে ‘ডব্লিউডব্লিউই র’ ও ‘রেসেলম্যানিয়া ২৩’ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন।