এই শুরু এই শেষ

ইশ্, আরেকটি ছবি। তাহলেই ব্ল্যাক উইডোরূপে দশের কোঠা পুরো করতেন স্কারলেট ইয়োহানসন। ৯ জুলাই মুক্তি পেয়েছে ‘ব্ল্যাক উইডো’। মার্ভেলের এই নারী সুপারহিরোকে নিয়ে প্রথম একক ছবি করতে সময় লাগল ১১ বছর! মার্ভেল মানেই বক্স অফিসে মারমার কাটকাট। কিন্তু অতিমারিতে কতটা কাটতি থাকবে, তা নিয়ে ভাবনা ছিল। সে ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে ছবিটি। প্রথম দিনের আয়ে অতিমারিতে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে শীর্ষে মারভেলের এই ছবি। প্রথম দিনে ছবিটি আয় করেছে ৩৯ মিলিয়ন ডলার। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল চার হাজার ১৬০টি সিনেমা হলে।

হলিউডের টিসিএল চাইনিজ থিয়েটারের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন স্কারলেট ইয়োহানসন। ছবি: রয়টার্স
হলিউডের টিসিএল চাইনিজ থিয়েটারের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন স্কারলেট ইয়োহানসন। ছবি: রয়টার্স

তবে মূল ভাবনাটা এখন স্কারলেটকে ঘিরে। প্রথম একক ছবিই নাকি হতে যাচ্ছে ব্ল্যাক উইডোরূপী স্কারলেটের শেষ ছবি! ব্ল্যাক উইডো ও স্কারলেট ইয়োহানসনের দোস্তি এক দশকের বেশি। সেই ২০১০ সালের কথা। ‘আয়রনম্যান টু’ ছবিতে ব্ল্যাক উইডোরূপে পর্দায় এসেছিলেন ইয়োহানসন। তারপর কেটে গেছে এক দশক। ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য উইন্টার সোলজার’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলটার্ন’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’, ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’, ‘ব্ল্যাক উইডো’—অভিনয়ে ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়েছেন জোহানসন। সেই পথচলা থেমে যাচ্ছে। ব্ল্যাক উইডোরূপে আসবেন না আর।

স্কারলেট ইয়োহানসন বলেন, ‘নাতাশারূপে আর ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই। এই চরিত্রে অভিনয় করে আমি সন্তুষ্ট। আমি মনে করি একটা সুন্দর জায়গা থেকে কোনো কিছু শেষ করা একটা মহৎ ব্যাপার। এই চরিত্রে আমার যা করার, সবই করে ফেলেছি। মার্ভেলের সঙ্গে অন্য চরিত্রে কাজ করতে চাই। কিন্তু এই চরিত্রে এই শেষ।’

স্কারলেট ইয়োহানসন

‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’–এর পরবর্তী কাহিনি নিয়ে ‘ব্ল্যাক উইডো’র গল্প। থাকছে সাবেক রাশিয়ার গুপ্তচরের বেড়ে ওঠার কাহিনি। অবশ্য ছবিটি ‘অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম’-এর প্রিকুয়েলও বটে! কারণ চরিত্রটি ‘এন্ডগেম’ ছবিতে মারা যায়। যদিও পরিচালক সিকুয়েল নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।