Thank you for trying Sticky AMP!!

ওজন কমিয়ে একেবারে ঝরঝরে

বদলে যাওয়া অ্যাডেলে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০১২ সালে বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল লেজারফেল্ড বিজয়ীর নাম ঘোষণার সময় বলেছিলেন, ‘যিনি বিজয়ী, তিনি কিঞ্চিৎ ভারী।’ এই কথায় সেবার গ্র্যামির আনন্দ পানি হয়ে গেছিল ৩২ বছর বয়সী ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী অ্যাডেলের। অবশ্য পরে এই ডিজাইনার সে জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

সামান্য মোটা হওয়া নিয়ে অ্যাডেলের কোনো খেদ ছিল না। ২৩ বছর বয়সে পিপল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি কখনো ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ছাপা হওয়া সঠিক মাপের মডেল হতে চাইনি। আমি বিশ্বের বেশির ভাগ নারীর প্রতিনিধিত্ব করি। আর সে জন্য আমি গর্বিত।’ সিএনএনের সিক্সটি মিনিটস ইন্টারভিউয়েও বলেছিলেন, ফিট দেখানোর জন্য তিনি কোনো চাপ অনুভব করছেন না। এর মধ্যে বিয়ে করেছেন, মা হয়েছেন, তিন বছরের সংসারের ইতিও টেনেছেন ২০১৯ সালে। আর এই বেলা ওজন কমিয়ে একেবারে ঝরঝরে হয়ে গেছেন অ্যাডেলে। এতটা শুকনা গত এক যুগে কখনোই ছিলেন না তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাডেলের ছড়িয়ে পড়া ছবিতে লাখ লাখ লাইক পড়ছে।

পুরোনো অ্যাডেলে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

শুকানোর পর নিজের প্রথম ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে জানিয়েছেন, এই বদলে যাওয়া অ্যাডেলে হতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। লিখেছেন, ‘আগে আমি কাঁদতাম, এখন আমি ঘামি।’ গেল ৫ মে ৩২তম জন্মদিনে ফিট অ্যাডেলে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘জন্মদিনের ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা। আশা করি সবাই নিরাপদে আছেন। আর এই পাগলাটে সময় দ্রুতই শেষ হয়ে আসবে। এই সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীদের আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা। আপনারাই আসল হিরো।’ এই ছবিতে এখন পর্যন্ত লাইক পড়েছে ৮৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৪টি। আর ‘আরে! এ কোন অ্যাডেলে’, ‘তুমি কি আমার সঙ্গে মজা করছ’, ‘৩, ২, ১ বুম’। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্টারনেট ভেঙে পড়বে’—এমন সব মন্তব্য জড়ো হয়েছে প্রায় ২ লাখ।