
হলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা আল পাচিনোর পর এবার বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা শ্যন পেন। প্রায় দেড় বছর একসঙ্গে থাকার পর সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন হলিউডের অসমবয়সী তারকা যুগল শ্যন পেন ও শার্লিজ থেরন। একাধিক সূত্রের বরাতে সম্প্রতি এক খবরে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইউএস ম্যাগাজিন ডটকম।
শার্লিজ থেরন-শ্যন পেনের বয়সের ব্যবধান ১৫ বছর। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তাঁদের প্রেমের শুরু। এক বছরের মাথায় গোপনে বাগদান। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। মাত্র এক মাস আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, আসছে ৭ আগস্ট নিজের ৪০তম জন্মদিনে অস্কারজয়ী অভিনেতা পেনকে বিয়ে করবেন ‘দ্য ইতালিয়ান জব’ তারকা শার্লিজ থেরন। কিন্তু কথা রাখেননি। ৫৪ বছর বয়সী পেনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন।
অবশ্য পেন কিংবা থেরনের বিচ্ছেদ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি তাঁদের মুখপাত্রেরা।
সর্বশেষ গত মে মাসে কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় একসঙ্গে দেখা যায় পেন ও থেরনকে। এরপর আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি তাঁদের। সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পর তাঁরা আলাদা থাকছেন। দত্তক নেওয়া তিন বছর বয়সী ছেলে জ্যাকসনকে নিয়ে থেরন আছেন তাঁর হলিউডের বাসায়। আর পেন আছেন তাঁর মালিবু ম্যানসনে। পেন তাঁর বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
একটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে হাজির হওয়ার কথা ছিল পেন ও থেরনের। শিডিউলও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে ‘দ্য হান্টসম্যান’ ছবির শুটিংয়ের কাজে লন্ডন চলে যান থেরন।
এদিকে সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে একা একা ঘুরতে দেখা যায় পেনকে। স্থানীয় একটি দোকান থেকে ম্যাগাজিন ও সিগারেট কিনতে দেখা যায় তাঁকে।
‘পপ সম্রাজ্ঞী’ ম্যাডোনা ছিলেন পেনের প্রথম স্ত্রী। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তাঁরা সংসার করেন। ম্যাডোনার সঙ্গে ডিভোর্সের পর অভিনেত্রী রবিন রাইটকে বিয়ে করেন পেন। তাঁদের দুই সন্তান ডিলান ও হপার। কিন্তু পেনের দ্বিতীয় বিয়েও টেকেনি। ২০০৭ সালে প্রথম বিচ্ছেদের আবেদন করেন পেন ও রাইট। পরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও ২০০৯ সালে আবার বিচ্ছেদের আবেদন করেন। কাগজে-কলমে তাঁদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয় ২০১০ সালে। অন্যদিকে পেনের আগে মার্কিন গায়ক-অভিনেতা ক্রেইগ, গায়ক স্টিফেন জেনকিন্স ও অভিনেতা স্টুয়ার্ট টাউনসেন্ডকে প্রেমিক নির্বাচন করেছিলেন থেরন। তিনি স্টুয়ার্টের সঙ্গে প্রায় নয় বছর একসঙ্গে থাকার পর ২০১০ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।
বন্ধুত্ব থেকে প্রেম শুরুর বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই একে অন্যকে চিনতেন পেন ও থেরন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে তাঁরা চুটিয়ে প্রেম শুরু করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে এক সাক্ষাৎকারে পেন জানিয়েছিলেন, তৃতীয় বিয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘আপনারা বলতে পারেন, আমি আগে দুবার বিয়ে করেছি। কিন্তু আমি তা মনে করি না। আমি যদি আবারও বিয়ে করি, তা আমার কাছে প্রথম বিয়ে বলেই মনে হবে। আমি বিয়ের ঐতিহ্যকে পছন্দ করি। আমার এক বন্ধুর মতে, ঐতিহ্য ছাড়া নতুন রীতি মরে যায়। আমি নতুন রীতিকে মেরে ফেলতে চাই না।’
আরও পড়ুন: