প্রায় সব ঘরানার ছবিতেই তিনি অভিনয় করে নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন নিকোল কিডম্যান। কোলাজ
প্রায় সব ঘরানার ছবিতেই তিনি অভিনয় করে নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন নিকোল কিডম্যান। কোলাজ

আবেদনময়ী অভিনেত্রী থেকে হলিউডের শীর্ষে

তাঁর সমসাময়িক অনেক উজ্জ্বল তারকাই নিভে গেছেন। তবে ক্যারিয়ারের পরের ধাপেই নিকোল কিডম্যান যেন বেশি উজ্জ্বল। আবেদনময়ী তারকার তকমা দিয়ে শুরু করা অভিনেত্রী এখন স্বাধীন ঘরানার সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ অভিনেত্রী। গত এক দশকের তাঁকে দেখা গেছে আলোচিত সব টিভি সিরিজেও। এই অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী আজ তিনি ৫৮ বছর বয়সে পা দিলেন। মঞ্চ থেকে রুপালি পর্দা, রোমান্স, থ্রিলার, হরর কিংবা অ্যানিমেশন—প্রতিটি ঘরানার ছবিতেই তিনি অভিনয় করে নিজেকে তুলে ধরেছেন আর কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে যাচ্ছেন, বয়স যেন স্রেফ একটি সংখ্যা মাত্র!

অস্ট্রেলিয়া থেকে হলিউডের শীর্ষে
১৯৬৭ সালের ২০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের হনলুলুতে জন্ম নেন নিকোল কিডম্যান। তবে তাঁর মূল শিকড় অস্ট্রেলিয়ায়। সিডনিতে বেড়ে ওঠা কিডম্যান অল্প বয়সেই অভিনয়ের জগতে পা রাখেন এবং ধীরে ধীরে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। যদিও তিনি গর্বভরে অস্ট্রেলিয়ান পরিচয় বহন করেন, তবে টম ক্রুজের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও রয়েছে।

রয়েছে একটি হাওয়াইয়ান নাম
নিকোল কিডম্যানের জন্মের সময় তাঁর বাবা-মা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। তাঁর হাওয়াইয়ান নাম ছিল হোকুলানি, যার অর্থ ‘স্বর্গীয় তারা’। এটি রাখা হয়েছিল হনলুলু চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া একটি হাতির নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।

নিকোল কিডম্যান। ছবি: এএফপি

স্কুল ফেলে অভিনয়ে ঝাঁপ
অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা এতটাই গভীর ছিল যে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। ১৯৮৩ সালে ‘বুশ ক্রিসমাস’ ছবির মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর পেশাদার অভিনয়জীবন। তবে ১৯৮৯ সালের ‘ডেড কাম’ ও ‘ব্যাংকক হিলটন’ সিরিজই তাঁকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করে তোলে।

‘ডেজ অব থান্ডার’ সিনেমায় নিকোল কিডম্যান ও টম ক্রুজ। আইএমডিবি

হলিউডে অভিষেক থেকেই প্রেম, বিয়ে
নিকোল প্রথম জনপ্রিয়তা পান অস্ট্রেলিয়ার থ্রিলার ‘ডেড কাম’ সিরিজের  মাধ্যমে। তখনই তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হন টম ক্রুজ, যিনি পরে তাঁকে তাঁর সিনেমা ‘ডেজ অব থান্ডার’-এ অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। এই ছবিই ছিল কিডম্যানের প্রথম ছবি। এই ছবির সেটেই কিডম্যান ও ক্রুজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, পরের বছরই ১৯৯০ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির সম্পর্ক ছিল মিডিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা জুটে হয়ে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

আবেদনময়ী তারকা
১৯৯৯ সালে স্ট্যানলি কুবরিকের ‘আইজ ওয়াইড শাট’ করেন নিকোল কিডম্যান; সঙ্গে ছিলেন তাঁর তখনকার স্বামী টম ক্রুজ। সাইকোলজিক্যাল ড্রামা সিনেমাটিতে নিকোল কিডম্যানের আবেদনময়ী উপস্থিতি তখন সাড়া দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছিল। অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকার কারণে সিনেমাটি তখন যুক্তরাষ্ট্রে কেবল ১৭ বছর বা এর বেশি বয়সীদের দেখার সনদ পেয়েছিল।

‘আইজ ওয়াইড শাট’ সিনেমায় নিকোল কিডম্যান। আইএমডিবি

বিচ্ছেদ
কিডম্যান ও ক্রুজের দাম্পত্য জীবন ছিল প্রায় এক দশকের। ২০০১ সালে আকস্মিকভাবে এই সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের সময় তাঁরা খুব বেশি প্রকাশ্যে কিছু বলেননি, তবে কিডম্যান পরে জানিয়েছেন, এটি তাঁর জীবনের একটি কষ্টদায়ক অধ্যায় ছিল। টম ক্রুজের সঙ্গে সংসার করার সময় তাঁরা দুটি সন্তান দত্তক নেন। তাঁদের নাম ইসাবেলা ও কনর। তাঁদের বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ২০০৫ সালে।

বিচ্ছেদের পরও নিকোলের প্রশংসায় ক্রুজ
টম ক্রুজ সাধারণত ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খোলেন না। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টম ক্রুজ প্রাক্তন স্ত্রী নিকোল কিডম্যানের কাজের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি কিডম্যানের অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘নিকোল সব সময়ই অসাধারণ একজন অভিনেত্রী ছিলেন। তাঁর প্রতিটি চরিত্রে যে ধরনের আবেগ, প্রজ্ঞা আর গভীরতা থাকে—তা সত্যিই অনন্য।’

দ্বিতীয় বিয়ে
২০০৫ সালে অস্ট্রেলীয় কান্ট্রি গায়ক কিথ আরবানের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে নিকোলের পরিচয় হয়। সেখান থেকেই প্রেম। ২০০৬ সালের ২৫ জুন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তাঁরা বিয়ে করেন। নিকোল বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন, কিথ তাঁকে আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই সম্পর্ক তাঁর জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে এসেছে। কিথও নিকোলকে তাঁর জীবনে ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। কিথ-নিকোলের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে, সানডে রোজ ও ফেইথ মার্গারেট।

‘বার্থ’ সিনেমায় নিকোল কিডম্যান। আইএমডিবি

অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা
২০০৪ থেকে ২০০৯—এই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন নিকোল কিডম্যান। এর আগে তিনি ‘মুলাঁ রুজ!’, ‘দ্য আদার্স’, ‘দ্য আওয়ার্স’, ‘দ্য হিটম্যান স্টেইন’ করেছিলেন বটে; কিন্তু পরের পাঁচ বছরে হয়ে ওঠেন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার অংশ। ২০০৪ সালে ‘বার্থ’ দিয়ে শুরু। এরপর একে একে করেন ‘দ্য ইন্টারপ্রেটার’, ‘অস্ট্রেলিয়া’, ‘র‍্যাবিট হোল’, ‘বেইউইচড’ ইত্যাদি সিনেমা।

স্বাধীন ঘরানার সিনেমার মুখ
শুরুর দিকে মূলত বাণিজ্যিক সিনেমার অভিনেত্রী ছিলেন নিকোল কিডম্যান। আলোচিত কাজের সঙ্গে অংশ হয়েছেন ভুলে যাওয়ার মতো অনেক সিনেমারও। তবে ২০১০ থেকে স্বাধীন ঘরানার নির্মাতাদের সঙ্গে একের পর এক কাজ করতে থাকেন। হয়ে ওঠেন সমালোচকদের প্রিয় পাত্রী। এই সময়ে তাঁকে দেখা গেছে ‘ট্রেসপাস’, ‘হেমিংওয়ে অ্যান্ড গেলহর্ন’, ‘দ্য পেপারবয়’, ‘টু দ্য লাইটহাউস’, ‘দ্য রেলওয়ে ম্যান’, ‘লায়ন’, ‘দ্য বেগাইলড’ ইত্যাদি সিনেমা ও সিরিজে।

‘বিগ লিটল লাইজ’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

টিভিতেও দুর্দান্ত
স্বাধীন ঘরানার নির্মাতাদের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করেছেন, একই সময়ে সমানতালে তাঁকে দেখা গেছে টিভি সিরিজে। ‘বিগ লিটল লাউজ’, ‘দ্য আনডুয়িং’, ‘নাইন পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার’, ‘লাভ অ্যান্ড ডেথ’, ‘দ্য পারফেক্ট কাপল’-এর মতো সিরিজগুলো অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর পরিচিতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

নারী পরিচালকের সঙ্গে
প্রতিবছরই হলিউডে লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে অনেক কথা হয়। তবে অনেকেরই হয়তো মনে নেই, আরও আট বছর আগে একটি বিশেষ ঘোষণা দিয়েছিলেন নিকোল কিডম্যান। ২০১৭ সালে দেওয়া সেই ঘোষণায় অভিনেত্রী বলেছিলেন, প্রতি দেড় বছরে একজন নারী নির্মাতার সঙ্গে কাজ করবেন। ঘোষণা অনুযায়ী, গত বছর ডাচ নির্মাতা হেলিনা রেজিনের ‘বেবিগার্ল’-এ অভিনয় করেন তিনি, যা ছিল ২০২৪ সালের সবচেয়ে প্রশংসিত সিনেমাগুলোর একটি। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নিকোল। ‘বেবিগার্ল’ মূলত ইরোটিক থ্রিলার। সেই কবে স্ট্যানলি কুবরিকের সঙ্গে ‘আইজ ওয়াইড শাট’ করেছেন, এরপর আর এ ধরনের সিনেমায় তাঁকে দেখা যায়নি।

‘বেবিগার্ল’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

সেই সিনেমায় নিকোলের সহশিল্পী ছিলেন তাঁর তৎকালীন স্বামী টম ক্রুজ। ‘বেবিগার্ল’ ইরোটিক থ্রিলার। তাই নিকোল কিডম্যানের সঙ্গে এ ছবি নিয়ে আলাপে ‘আইজ ওয়াইড শাট’ আর স্ট্যানলি কুবরিকের প্রসঙ্গ আসবেই। অভিনেত্রী জানান, এখনো তিনি যেকোনো সিনেমা করার ক্ষেত্রে কুবরিকের পরামর্শ মেনে চলেন। তাঁর ভাষ্যে, ‘তিনি (কুবরিক) আমাকে বলেছিলেন, যেকোনো চিত্রনাট্য পেলে ঠান্ডা মাথায় যেন পড়তে শুরু করি। সেটা যদি আমাকে আটকে রাখে, তবে যেন পুরোটা পড়ে শেষ করি। এরপর যতটা সম্ভব নোট নিই।’

প্রজাপতির ভয় আছে তাঁর!
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, নিকোল কিডম্যান ‘লেপিডোপ্টেরোফোবিয়া’ নামের একটি ফোবিয়া রয়েছে। এ ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রজাপতি ও মথ দেখলে ভয় পায়। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি সাপ বা মাকড়সাকে ভয় পাই না, কিন্তু প্রজাপতিকে দেখি তো গায়ে কাঁটা দেয়। আমার মনে হয়, ওদের শরীরের গঠনেই কিছু একটা অস্বাভাবিকতা রয়েছে। আমি প্লেন থেকে ঝাঁপ দিতে পারি, তেলাপোকায় নিজেকে ঢেকে ফেলতেও পারি, কিন্তু প্রজাপতি? মোটেও নয়!’

নিকোল কিডম্যান

পেঙ্গুইনের কণ্ঠে কিডম্যান
নিকোল কিডম্যান সাধারণত গম্ভীর বা নাটকীয় চরিত্রে বেশি পরিচিত হলেও তিনি অ্যানিমেশনেও নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন। ২০০৬ সালের ‘হ্যাপি ফিট’-এ তিনি পেঙ্গুইন নর্মা জিন চরিত্রে কণ্ঠ দেন। পরবর্তী সময়ে মজার, প্রাণচঞ্চল এই চরিত্র তাঁর অভিনয়জীবনের এক ভিন্ন দিক তুলে ধরে।

ক্যারিয়ারে যত অর্জন
নিকোল কিডম্যানের ক্যারিয়ারে রয়েছে অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। পাঁচবার মনোনয়ন পেয়ে একবার জিতেছেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। তিনি ২০০২ সালে ‘দ্য আওয়ারস’-এ ভার্জিনিয়া উল্‌ফের চরিত্রে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার জেতেন। তাঁর প্রযোজিত ও অভিনীত সিরিজ ‘বিগ লিটল লাইজ’ তাঁকে এনে দেয় প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ডস, যেখানে তিনি সেরা অভিনেত্রী ও প্রযোজক—দুই ভূমিকাতেই স্বীকৃতি পান। গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডে তিনি এখন পর্যন্ত ১৩টির বেশি মনোনয়ন পেয়ে ৬ বার জয়ী হয়েছেন। ২০২৫ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি ‘ওমেন ইন মোশন’ সম্মাননা পেয়েছেন।

সিনেমার দৃশ্যে নিকোল কিডম্যান। আইএমডিবি

একটা আক্ষেপ...
২০০৪ সালে ‘বেবিগার্ল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন নিকোল কিডম্যান। তবে পুরস্কার তিনি নিজ হাতে নিতে পারেননি, মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে উৎসবের মাঝপথেই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। পরে তিনি বলেন, পুরস্কারের খবর তাঁর মা শুনে যেতে পারেননি, এটা তাঁর বড় আক্ষেপ। নিকোল মাকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করে বলেন, ‘এই পুরস্কার মায়ের জন্য। আমার মা-ই আমাকে গড়েছেন, আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাকে তৈরি করেছেন। জীবন ও শিল্পের সংঘর্ষ হৃদয়বিদারক, আমার হৃদয়টা ভেঙে যাচ্ছে।’

পর্দার পেছনেও কিডম্যান
অভিনয়ের বাইরেও তিনি প্রযোজক হিসেবেও সাফল্য অর্জন করেছেন। তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বোজম ফিল্মস। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তিনি প্রযোজনা করেছেন জনপ্রিয় এইচবিও টিভি সিরিজ ‘বিগ লিটল লাইজ’, যা দর্শক-সমালোচক সবাই পছন্দ করেছেন।

মানবিক কিডম্যান
তারকাজীবনের বাইরেও কিডম্যান মানবকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।  তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিশ্বজুড়ে শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি নারী ক্যানসার সচেতনতা ও সিডনি চিলড্রেন’স হাসপাতালের জন্য কাজ করে আসছেন।

নিকোল কিডম্যান। ছবি: রয়টার্স

কত টাকার সম্পদের মালিক নিকোল?
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অনেকবারই বিশ্বের সবচেয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হয়েছেন। অনেকবারই তিনি জায়গা পেয়েছেন শীর্ষ ধনী তারকাদের তালিকায়। ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২৫০ মিলিয়ন ডলার।

নতুন কী
নিকোল কিডম্যানের সবশেষ সিনেমা ‘হল্যান্ড’ মুক্তি পায় চলতি বছরের ৯ মার্চ। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারধর্মী সিনেমাটি সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়। সামনে তাঁকে দেখা যাবে ‘প্র্যাকটিক্যাল ম্যাজিক ২’ সিনেমায়। এটি মুক্তি পাবে ২০২৬ সালে।

তথ্যসূত্র: ফ্যানডমওয়্যার, ওয়ান নিউজ, ভ্যারাইটি, আইএমডিবি