ফ্লোরে পড়ে ছিলেন অভিনেত্রী, হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু

মা–বাবার বিচ্ছেদের পর নানা বাধা পেরিয়ে অভিনয়ে জায়গা করে নেন ইঙ্গার স্টিভেনস। এমিতে দুইবার মনোনয়নও পান। ক্যারিয়ার যখন আলোচনায়, তখন হঠাৎই ৩৫ বছর বয়সে এই অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়। আজ ১৮ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। জেনে নিতে পারেন স্টিভেনসের জানা-অজানা কথা।
ইঙ্গার স্টিভেনসের জন্ম সুইডেনে। ছয় বছর বয়সেই মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। মা তাঁকে ছেড়ে চলে যান।
ছবি: আইএমডিবি থেকে
একসময় বাবাও ইঙ্গার স্টিভেনসকে ছেড়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ইঙ্গার ও তাঁর ভাই বাসার গৃহকর্মীর কাছে বেড়ে ওঠেন।
ক্যারিয়ারের চিন্তায় ১৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন ইঙ্গার। অর্থের জন্য সেই সময় তিনি বিভিন্ন দলে নাচতেন। কোরাস নৃত্যের পাশাপাশি অভিনয়ের দিকে মনোযোগ দেন।
ইঙ্গার স্টিভেনস বিজ্ঞাপন ও টিভি সিরিজ দিয়ে নাম লেখান অভিনয়ে। ‘ম্যান অন ফায়ার’ সিনেমা দিয়ে আলোচনায় আসেন। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমা ও টিভি সিরিজ জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
সেই সময় ইঙ্গার স্টিভেনস ‘ফার্মারস ডটার’ টিভি সিরিজ দিয়ে দুইবার প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারে মনোনয়ন পান। পরে নজরে আসেন। একাধিক সিনেমা–সিরিজে জায়গা পান।
এর মধ্যে প্রেম-বিয়ে নিয়েও আলোচনায় আসেন ইঙ্গার স্টিভেনস। তাঁর এজেন্ট অ্যান্থনিকে বিয়ে করেন। সেই বিয়ে অল্প সময়েই ভেঙে যায়। পরে আরও দুটি বিয়ে করেন। কোনোটিই বেশি দিন টেকেনি।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ইঙ্গার স্টিভেনস হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এ জন্য তিনি ওষুধও খেতেন। অনিয়মের কারণে বারবার তিনি বেশ কিছু কাজ থেকে বাদ পড়েন। একবার তাঁর জায়গায় অড্রে হেপবার্নকে নেওয়া হয়।
১৯৭০ সালের এক সকালে ইঙ্গার স্টিভেনসকে রান্নাঘরে পাওয়া যায়। সেই সময় তাঁর রুমমেট জানিয়েছিলেন, সেদিন এই অভিনেত্রী ফ্লোরে পরে তাকিয়ে ছিলেন, মাথাও নাড়াচ্ছিলেন; কিন্তু কথা বলতে পারছিলেন না।
পরে ইঙ্গার স্টিভেনসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি অ্যাম্বুলেন্সে মারা যান। চিকিৎসকেরা পরবর্তী এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে অভিহিত করেন। পরে সামনে আসে, একাধিকবার ইঙ্গার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।