নব্বইয়ের দশকে ‘প্র্যাকটিক্যাল ম্যাজিক’ যাঁদের বুঁদ করেছিল, তাঁদের জন্য নস্টালজিয়ার নতুন এক ঢেউ নিয়ে ফিরে এসেছেন নিকোল কিডম্যান। দীর্ঘ ২৬ বছর পর আবারও পর্দায় ফিরছে ওয়েন্স পরিবারের সেই জাদুকরি বোনদের গল্প। আর এ প্রত্যাবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বেড়ে ওঠা হলিউড তারকা নিকোল কিডম্যান।
১৯৯৮ সালের সাড়াজাগানো সিনেমা ‘প্র্যাকটিক্যাল ম্যাজিক’-এর দ্বিতীয় পর্বের শুটিং শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। জাদুময় সে মুহূর্তের ছবি নিজেই সম্প্রতি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন কিডম্যান। ছবিতে ওয়েন্স পরিবারের দুই বোন স্যালি ও গিলিয়ানের চরিত্রে দেখা যাবে যথাক্রমে স্যান্ড্রা বুলক ও নিকোল কিডম্যানকে।
নিকোল কিডম্যানের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, কৃত্রিম একটি কবরের পাশে দাঁড়িয়ে একে অপরকে হাসিমুখে আলিঙ্গন করছে দুই বোন। ক্যাপশনে লেখা, ‘জাদুকরেরা ফিরে এসেছে।’ এ ঘোষণাই যেন ভক্তদের মধ্যে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে।
অনেকেই হয়তো জানেন, নিকোলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির সম্পর্ক কত গভীর।
এ শহরেই কেটেছে তাঁর শৈশব ও কৈশোর আর অভিনয়জীবনের শুরুও হয়েছিল স্থানীয় থিয়েটারে। বর্তমানে তিনি সিডনির মিলসনস পয়েন্টের অভিজাত ল্যাটিচুড বিল্ডিংয়ে একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট এবং সিডনির ২ক সাটন ফরেস্টে অবস্থিত ঐতিহাসিক ‘বানিয়া হিল’ ফার্মের মালিক। তাই সিডনিবাসীর কাছে তিনি কেবল একজন বিশ্বতারকা নন; বরং তাঁদের নিজেদের কন্যা, যিনি আজও তাঁর শিকড়ের টান অনুভব করেন।
মূল সিনেমায় দেখানো হয়েছিল দুই এতিম বোন স্যালি ও গিলিয়ানের গল্প, যারা তাদের খালার কাছ থেকে জাদুবিদ্যা শিখেছিল। কিন্তু ওয়েনস পরিবারের প্রতিটি মেয়ের সঙ্গে এক অদ্ভুত অভিশাপ জড়িয়ে ছিল—যে পুরুষকে তারা ভালোবাসবে, অকালে সে মারা যাবে। এ অভিশাপ থেকে রেহাই পেতে জাদুর জগৎ থেকে দূরে সরে গেলেও নিয়তি তাদের ফিরিয়ে আনে বারবার।
‘প্র্যাকটিক্যাল ম্যাজিক ২’-এর গল্প এখনো গোপন রাখা হয়েছে, তবে জানা গেছে, নতুন অনেক চমক থাকছে। ২০২৪ সালের জুনে ছবিটি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স এবং নিশ্চিত করেছে, ২০২৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী এটি মুক্তি পাবে।
ছবিটির পরিচালনায় থাকতে পারেন অস্কারজয়ী পরিচালক সুজান বিয়ার, যিনি এর আগে স্যান্ড্রা বুলকের সঙ্গে ‘বার্ড বক্স’ আর নিকোল কিডম্যানের সঙ্গে ‘দ্য আনডুয়িং’-এর মতো প্রশংসিত কাজ করেছেন।
দুই যুগ পর, দুই বোনের সেই মায়াবী রসায়ন আর জাদুর ভুবন পর্দায় কতটা আলোড়ন সৃষ্টি করবে, তা দেখার জন্য এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বিশ্বজুড়ে অগণিত সিনেমাপ্রেমী।