Thank you for trying Sticky AMP!!

মুহিন, সুবীর নন্দীকে নিয়ে

আমি সৌভাগ্যবান, তিনি আমার সুরে গান করেছেন: মুহিন

বাংলাদেশি সংগীতের অনন্য এক নাম সুবীর নন্দী। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীতজীবনে তিনি গেয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। সেসব গান এখনো গুনগুনিয়ে গান শিল্পী আর শ্রোতারা। এই গানের মাঝেই বেঁচে আছেন দেশবরেণ্য এই শিল্পী। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’।

মুহিন

১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় প্লেব্যাক শুরু করেন। সিনেমায় গান গেয়ে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন একুশে পদক। দুই বছর আগের এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। তাঁকে স্মরণ করেছেন দেশের তরুণ প্রজন্মের শিল্পী মুহিন। ‘প্রিয় সুবীর দাকে’ নিয়ে তাঁর স্মৃতিকথা শোনা যাক মুহিনের বয়ানেই

মুহিন খান

সংগীতজীবনের শুরু থেকেই সুবীর নন্দী দাদার স্নেহ-আদর ও ভালোবাসা পেয়েছি। সংগীতশিল্পী হিসেবে আমার জন্মই হয়েছে রিয়্যালিটি শো ক্লোজআপ ওয়ানের মাধ্যমে। সেখানে আমি শুরু করেছিলাম সুবীর দার গাওয়া ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়, তবু কেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়’ গানের মধ্য দিয়ে। তিনি তখন বিচারকের আসনে ছিলেন। শিল্পী হিসেবে আমি তাঁকে কখনোই মাপার যোগ্যতা রাখি না। তবে আমি বলব, মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অনেক উঁচু স্তরের। আমাদের মতো অনেক শিল্পী তৈরিতেও তাঁর অবদান অনন্য। তিনি তরুণদের প্রশংসা করতেন, ভুলগুলো ধরিয়ে দিতেন। আমাকে বলতেন, ‘শিল্পীর ভালো কাজের মূল্যায়ন ভালো গান দিয়ে হয়। তুমি গানে মনোযোগ দাও। এগিয়ে যাও।’

সুবীর দা সব সময় শুরু থেকে একজন অভিভাবকের মতোই আমার পাশে থাকতেন। ভারত থেকে প্রথমবার কিডনির ডায়ালাইসিস করে ২০১৭ সালে ফিরে এলেন। সেই সময় তিনি জামাল হোসেনের লেখা ও আমার সুরে দুটো গান করেছিলেন। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে তাঁর মতো মাপের শিল্পী আমার সুরে গান করেছেন। তিনি সব সময় আমার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। আমার ভেতরের শিল্পীসত্তা সব সময় তাঁর কথাগুলো মনে রেখে এগিয়ে যাবে।