Thank you for trying Sticky AMP!!

বেজবাবা সুমন

এখনো আমি যথেষ্ট পরিমাণে ‘জীবিত’ আছি: সুমন

ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন। তিনি সংগীতাঙ্গনে ‘বেজবাবা সুমন’ নামেই পরিচিত। বর্তমানে তিনি ব্যাংককের একটি হোটেল আছেন। সেখান থেকে তিন দিন পরপর হাসপাতালে গিয়ে থেরাপি নিতে হচ্ছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা অতটা ভালো নয়। এর মধ্যেই গুজব ছড়িয়েছে সুমন মৃত্যুর জন্য দিন গুনছেন। বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। গুজব রটনাকারীদের উদ্দেশে সুমন পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি এখনো জীবিত আছেন।

গত মাসের শুরুতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমন। উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে নেওয়া হয়েছে এই গায়ককে। শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁকে ৬ দিন থাকতে হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো হলে তাঁকে রুমে স্থানান্তর করা হয়। তারপর থেকে তাঁকে নিয়মিত থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। এখনো তাঁর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। তাঁর স্পাইনাল কর্ডের অবস্থা নাজুক। আবারও তাঁর সার্জারি প্রয়োজন।

বেজবাবা সুমন

চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকা এই গায়ককে নিয়ে ইতিমধ্যে গুজব ছড়িয়েছে তিনি শিগগিরই মারা যাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে সুমন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যারা বলে বেড়াচ্ছে “আমি মৃত্যুর দিন গুনছি” তাদের কথা কেউ সিরিয়াসলি নেবেন না। একটু আগেও আমি শারীরিক চেকআপ করিয়েছি। এখনো আমি যথেষ্ট পরিমাণে “জীবিত” আছি।’

বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে সুমন ফেসবুকে লিখেছেন, তাঁর অবস্থা এখনো অতটা ভালো নয়। শিগগিরই তিনি চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরবেন। তাঁকে আবারও উন্নত চিকিৎসায় জার্মানিতে যেতে হবে। কারণ, তাঁর কর্ডের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বেজবাবার শরীরে বেশ কয়েক বছর আগে চিকিৎসকেরা দুটি টিউমারের অস্তিত্ব পান।

বেজবাবা সুমন

পরে জানা যায়, সুমন ক্যানসারে আক্রান্ত। তখন ক্যানসারটি প্রথম ধাপে থাকায় চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। ২০১৭ সালে চিকিৎসার পর ব্যাংককের একটি হাসপাতাল থেকে ফিরছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ তাঁকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। ব্যাংককের ওই দুর্ঘটনায় সুমনের স্পাইনাল কর্ডের ক্ষতি হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে পরামর্শ দেন জার্মানিতে চিকিৎসা করানোর। সুমন জানান, আগামী মাসে তিনি ঢাকায় ফিরবেন। আবারও সার্জারি করাতে হবে। তাঁর স্পাইনাল কর্ডের অবস্থা ভালো না। ঈদের পর তাঁকে জার্মানিতে যেতে হবে। স্পাইনাল কর্ডের ভালো চিকিৎসা একমাত্র জার্মানিতেই হয়। কিন্তু করোনার কারণে জার্মানিতে সব রকম যোগাযোগে কড়াকড়ি রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি জার্মানি ভিসার জন্য চেষ্টা করছেন।
এই গায়ক ২০১৮ সালে অসুস্থ অবস্থায় একটি গান করেছিলেন। গানটি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবিতে ব্যবহার করা হয়। তারপর গান করার পরিকল্পনার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থতার জন্য কণ্ঠ দিতে পারেননি।