বাউল, নজরুল, ইলেকট্রনিক ও হিপহপ ঘরানার সংগীত নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘কনসার্ট ফ্রম বাংলাদেশ’। ১৯৭১ সালের ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’–এর সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে বিশ্ববাসীর জন্য যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে ঢাকার সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন ও লন্ডনের ইউবিক প্রোডাকশন। ভার্চ্যুয়াল এ কনসার্টে সংগীতের নেপথ্যে তুলে ধরা হবে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে। রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় অনলাইনে উপভোগ করা যাবে এ কনসার্ট। একই সময়ে যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ার স্কাল্পচার পার্কে বড় পর্দায় দেখানো হবে কনসার্টটি।

‘কনসার্ট ফ্রম বাংলাদেশ’–এর প্রধান আকর্ষণ ভার্চ্যুয়াল বাস্তবতায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সব নিদর্শন ভ্রমণ। এর প্রধান কুশলী ব্রিটিশ-দক্ষিণ এশীয় শিল্পী শেজাদ দাউদ। কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের আরিফ বাউল, ঢোলবাদক নজরুল ইসলাম, যন্ত্রশিল্পী সাইদুর রহমান, পারকাশনিস্ট সোহেল, শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী মিরশ্রি আরশি, ইলেকট্রনিক মিউজিশিয়ান সিয়ামিনিয়াম, সুরকার নিশিত দে ও এনায়েত কবির, নজরুলসংগীতশিল্পী মৌমিতা হক, বাঁশিশিল্পী জাওয়াদ মুশতাকিম আল মুবালিগ, ইলেকট্রনিস্ট প্রভাত রহমান, গলি বয় রানা ও হিপহপশিল্পী তাবিব মাহমুদ। ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার শিল্পীদের এ পরিবেশনার যৌথ বিন্যাস করেছেন মার্কিন কিউরেটর ডায়না ক্যাম্পবেল ও বাংলাদেশের এনায়েত কবির। শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্যেই ভার্চ্যুয়ালি দর্শকেরা দেখতে পাবেন কুষ্টিয়ার বাউল আখড়া, খুলনার সুন্দরবন, নওগাঁর সোমপুর বিহার, ঢাকার বিউটি বোর্ডিংসহ দেশের ঐতিহাসিক নানা স্থান। পর্যায়ক্রমে এটি দেখানো হবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে। বিনা মূল্যে কনসার্টটি উপভোগ করতে নিবন্ধন করতে হবে এই লিংকে।
এ আয়োজন প্রসঙ্গে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নাদিয়া সামদানি বলেন, ‘এ কনসার্ট বিশ্বকে আমাদের দেশের সমৃদ্ধ সংগীত-সংস্কৃতি উপভোগের সুযোগ করে দেবে।’ ‘কনসার্ট ফ্রম বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে আর্থিক অনুদান, বিক্রি হচ্ছে স্মারক। সংগৃহীত এ অর্থের অর্ধেক সম্মানী হিসেবে পাবেন শিল্পীরা। বাকিটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডসের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে জলবায়ু শরণার্থীদের সেবা ও বাংলাদেশের নারী অধিকার আন্দোলনে।
কনসার্টের সহকারী কিউরেটর রুক্সমিনি চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘৫০ বছর আগে বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। এবার বিশ্ববাসীর সঙ্গে নিজেদের সংস্কৃতিকে ভাগাভাগি করে নিতে সমৃদ্ধ সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে বিশ্বের জন্য আমরা কনসার্টের আয়োজন করলাম।’