কবিগুরু বিদায় নিয়েছিলেন বর্ষায়। প্রয়াণের ৮০তম শ্রাবণে তাঁরই গান গেয়ে তাঁকে দুই বাংলায় স্মরণ করলেন অনুসারী একদল শিল্পী। ঢাকায় এ উপলক্ষে ছিল ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান। ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তন সেসব আয়োজকের অন্যতম।
শুক্রবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ছায়ানট আয়োজন করে ‘শ্রাবণের আমন্ত্রণে’। রাতে সংগঠনটির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ধারণকৃত এ অনুষ্ঠানে কবিগুরুর গান গেয়ে তাঁকে স্মরণ করেন শিল্পীরা। এ ছাড়া ছিল নৃত্য।
শ্রাবণের এই আয়োজনে ছিল কবিগুরুর বর্ষার গান। ছায়ানট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মাকছুরা আখতার গেয়ে শোনান ‘বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল’, সৈকত মুখার্জি ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’, সাজিয়া হোসেন ‘শাঙনগগনে ঘোর ঘনঘটা’, বিক্রম দাস ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে’সহ বেশ কিছু গান গেয়ে শোনান আরও বেশ কয়েকজন শিল্পী।
অনুষ্ঠানে ‘ধরণীর গগনের মিলনের ছন্দে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন এলভিস মোস্তফা, ফুলেশ্বরী পারমিতা, নোশিন আনজুম ও দীপান্বিতা আনজুম। ‘যায় দিন, শ্রাবণদিন যায়’ গানের সঙ্গে রিতু পাল ও সুপর্ণা লিমা। ‘শান্তিনিকেতন’ প্রবন্ধের অংশবিশেষ আবৃত্তি করে শোনান জয়ন্ত রায়, ‘সোনার তরী’ আবৃত্তি করে শোনার হাসান আরিফ।
করোনা মহামারির কারণে এ বছরও মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি ছায়ানট। শিল্পীরা যাঁর যাঁর বাড়িতে করা গান নিজেরাই ভিডিও করে পাঠিয়েছেন। সেসব ফুটেজ দিয়ে অনুষ্ঠানটি তৈরি করা হয়েছে। শিল্পীদের নিজস্ব পরিসরে ভিন্ন রকমের আসনসজ্জা যেন ছিল এ অনুষ্ঠানের অন্য রকম বৈচিত্র্য।
এ ছাড়া অসীম দত্ত শোনান ‘আমার প্রিয়ার ছায়া’, সাদিয়া সুলতানা ‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে’, আবদুস সাত্তার ‘শ্রাবণের পবনে আকুল বিষণ্ন সন্ধ্যায়’, অভয়া দত্ত ‘আজ শ্রাবণের পূর্ণিমাতে’, এ টি এম জাহাঙ্গীর ‘সঘন গহন রাত্রি ঝরিছে শ্রাবণধারা’, মহুয়া মঞ্জরী ‘যেতে দাও যেতে দাও গেল যারা’, সুকান্ত চক্রবর্তী ‘আমি তখন ছিলেম মগন গহন’ গানগুলো।