হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠান অর্ণব ও পূর্ণিমা
হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠান অর্ণব ও পূর্ণিমা

শান্তিনিকেতন, না ঢাকা?

বাংলাদেশের ঢাকা আর পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন—গায়ক অর্ণবের দুই ঠিকানা। এই দুই জায়গাতেই ভাগাভাগি করে থাকেন এ শিল্পী। কিন্তু কোথায় থাকতে বেশি ভালো লাগে, ‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠানে গায়কের কাছে জানতে চেয়েছিলেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। অর্ণবের উত্তর, ‘দুইটা দুই রকম স্পিড। শান্তিনিকেতনে সবকিছু স্লো মোশনে চলে। আর ঢাকা শহরে অনেক তাড়াহুড়া। অনেক মিউজিশিয়ানও আছে—ওই রকম শান্তিময় একটা জায়গা পছন্দ করে। শহরের গানগুলো আবার অন্যরকম। শহরের গানগুলোতে অন্যরকম একটা আনন্দ আছে। লাউড, স্পেস কম, অনেক কথা, অনেক শব্দ থাকে।’
এ কথার রেশ ধরেই পূর্ণিমার পরের প্রশ্ন, ঢাকাতে যদি আপনাকে ঝাকানাকা গান করতে বলা হয়, করবেন? অর্ণবের উত্তর, ‘অবশ্যই, আমি তো চ্যালেঞ্জ নিই মাঝেমধ্যে। করছিও কয়েকটা কাজ এ রকম, ঝাকানাকা টাইপ। তবে কতটা হবে জানি না। অন্যরকম কিছু একটা করতে চাইছি।’

গায়ক ও সংগীত পরিচালক অর্ণব

‘শান্তিময় থেকে কীভাবে ঝাকানাকা সম্ভব,’ পূর্ণিমার পাল্টা প্রশ্ন। ‘কেন সম্ভব না। আমি তো ঢাকারও ছেলে। আমি শান্তিনিকেতন থেকে যখন ছুটিতে ঢাকার আসতাম, তখন কিন্তু ঝাকানাকা গানও শুনতাম। আমার পাড়ার বন্ধুরা রক মিউজিক করত। তখন মাইলস, জেমস, এলআরবি ছিল খুবই জনপ্রিয়। ব্যান্ড মিউজিকটা আমি ভেতরে-ভেতরে প্র্যাকটিসও করতাম। শান্তিনিকেতনে আমি রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে গিটার বাজানোর প্র্যাকটিস করেছি।

‘বড় মঞ্চের তারকা’য় দিলারা হানিফ পূর্ণিমা

আগে থেকেই আমার ঝাকানাকা গানের সঙ্গে পরিচয় ছিল। ঠিক ঝাকানাকা বলা ঠিক হবে না। তবে বিদেশি মিউজিক বা একটু রক ধরনের গানের সঙ্গে আমার আগে থেকেই জানাশোনা ছিল। যখন শান্তিনিকেতন থেকে পাস করেছি, তখন কবীর সুমনের গান বের হয়েছে। ওনাদের আগে গানের কথাগুলো অন্যরকম ছিল। তুমি-আমি এ বিষয়গুলো বেশি ব্যবহার করত। ওখানে তারা গানের কথা ব্রেক করার চেষ্টা করত। তখন আমার গান বানাতে ইচ্ছা করত। আমি ঢাকায় এসে দেখলাম বন্ধুবান্ধব সবাই অলরেডি গান বানানো শুরু করেছে। পাড়ায় ব্যান্ডের দল তৈরি হচ্ছে। আমার মনে দুটোতে দুই রকম আনন্দ হয়েছে,’ এক টানে বলে যান অর্ণব।
দেশের সীমানা পেরিয়ে ভিনদেশে নিজেদের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের যেসব তারকা, তাঁদের নিয়ে প্রথম আলো আয়োজন করছে ‘বড় মঞ্চের তারকা’। হাতিল নিবেদিত এ অনুষ্ঠান প্রথম আলোর অনলাইন, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।