Thank you for trying Sticky AMP!!

'লিন অন মি'র গায়ক বিল উইথার্স আর নেই

বিল উইথার্স। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

‘তাঁর কবিতা আর গান দিয়ে তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব ঘরকুনো ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। একজন স্বচ্ছ, সরল মনের মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি আমাদের ছেড়ে গেলেন। রেখে গেলেন তাঁর অমর কিছু গান। তিনি তাঁর সময়ের সেরাদের একজন। এই বিশ্ব তাঁকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মনে রাখবে।’ এভাবেই বিল উইথার্সের মৃত্যুতে লিখেছেন ২৬ বছর বয়সী মার্কিন সংগীততারকা চান্স দ্য র‍্যাপার।

৮১ বছরে মারা গেলেন এই শিল্পী। গত শতকের সত্তরের দশকের বিখ্যাত গান ‘ইউজ মি’, ‘লিন অন মি’, ‘লাভলি ডে’, ‘জাস্ট দ্য টু অব আস’, ‘গ্র্যান্ডমাস হ্যান্ড’, ‘এইন্ট নো সানসাইন’ গান দিয়ে হৃদয় কেড়েছিলেন ভক্তদের। পেয়েছেন তিনটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। গত ৩০ মার্চ সোমবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। রকস্টার ও অভিনয়শিল্পী লেনি ক্রাভিটজ লিখেছেন, ‘তাঁর গান বিশ্বকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে আশাবাদী হতে। শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। তাঁর গান শুনছি আর বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছে।’ বিল উইথার্সকে নিয়ে এ রকম অসংখ্য শ্রদ্ধাবাণীতে ভরে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

বিল উইথার্স। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

১৯৭০ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘জাস্ট অ্যাজ আই’। এই অ্যালবামের ‘এইন্ট নো সানসাইন’ গানের জন্য তিনি ১৯৭১ সালে প্রথম গ্র্যামি জয় করেন। এই গান তাঁর প্রথম ‘মিলিয়ন সেলিং হিট’। ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায় তাঁর সর্বশেষ অ্যালবাম ‘ওয়াচিং ইউ, ওয়াচিং মি’। তিনি সত্তরের দশকের বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের গীতিকারও ছিলেন। এর মধ্যে ‘দ্য টু অব আস’ এবং ‘লাভলি ডে অ্যান্ড আস’ অন্যতম। ১৯৮৫ সালের পর আর কোনো গান রেকর্ড করেননি বিল উইথার্স। কিন্তু তাঁর গানগুলো এখনো আরঅ্যান্ডবি এবং হিপহপ–প্রেমীদের পছন্দের তালিকায় আছে।

করোনা মহামারিতে ১৯৭২ সালের গান ‘লিন অন মি’ নতুন করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান জানাতে অনেকেই গানটি নতুন করে গেয়ে শেয়ার করছেন নিজের প্রোফাইলে।