Thank you for trying Sticky AMP!!

‘শিসকন্যা’ অবন্তি বিয়ে করলেন লন্ডনপ্রবাসীকে

বিয়ের আসরে অবন্তি সিঁথি ও অমিত দে

কলকাতার টিভি চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’তে অংশ নিয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন জামালপুরের মেয়ে অবন্তি সিঁথি। মাঝপথে বাদ পড়লেও গানের পাশাপাশি তবে শিস বাজিয়ে মুগ্ধ করেন অবন্তি। পেয়েছিলেন ‘শিসকন্যা’ তকমা। গায়িকা অবন্তি হুট করেই তাঁর বিয়ের ঘোষণা দেন। গতকাল শুক্রবার শিসকন্যা অবন্তির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকার মিরপুরের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অবন্তির কাছের মানুষ এবং দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

অবন্তি সিঁথির বর অমিত দে লন্ডনপ্রবাসী, সেখানকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। শখের বশে গানও করেন। গানের সূত্রের দুজনের পরিচয়।

বিয়ের আসরে অবন্তি সিঁথি ও অমিত দে

অবন্তি বললেন, ‘পরিচয়টা গানের সূত্রে হলেও বিয়ের ব্যাপারটি পারিবারিকভাবে এগিয়েছে। পরিচয়ের পর আমাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। অমিতের ভাবনাচিন্তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। চাকরি করলেও সে একজন সংগীতের মানুষ। মনে মনে এমন একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চেয়েছি। সৃষ্টিকর্তা আমায় তেমন একজন মানুষকে চলার পথের সঙ্গী করে দিয়েছেন। সবার কাছে আমাদের নতুন জীবনের জন্য আশীর্বাদ চাই।’

অমিত দে লন্ডনে বসবাস করলেও তাঁর পৈতৃক বাড়ি সিলেট। সিঁথি জানালেন, অমিত প্রায় ১৩ বছর হলো লন্ডনে থাকেন। সেখানে অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াশোনা শেষ করে এখন একটি ফাইন্যান্স ফার্মে কর্মরত; পাশাপাশি গান করেন।

অবন্তি সিঁথি

খুব ভালো কি–বোর্ড ও পিয়ানো বাজাতে পারেন অমিত। অন্যদিকে অবন্তি সিঁথি বেড়ে উঠেছেন জামালপুরে। জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক আর দিগপাইত শামসুল হক ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী থাকার সময় গান গেয়ে পরিচিতি পান তিনি। গিটার আর হারমোনিয়াম বাজানো শিখেছেন ছোটবেলাতেই। কলেজে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও গান করতেন তিনি।

২০০৬ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ প্রতিযোগিতায় নিজের নাম লেখালেও সেবার খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। ২০১২ সালে আবারও নাম লেখান এই প্রতিযোগিতায়। সেরা দশে জায়গা করে নেন ওই বছর।

অমিত দে

তবে অবন্তি সিঁথির পরিচিতি বাড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের টেলিভিশন জি বাংলার সংগীতবিষয়ক রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’তে অংশ নিয়ে। এর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন খালি গলায় কুমার বিশ্বজিতের ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানটি গেয়ে। ওই গানের চেয়ে আলাদা করে নজর কাড়েন গান গাইতে গাইতে ফয়েল পেপার, ধাতব মুদ্রা আর প্লাস্টিকের দুটি কাপকে বাদ্যযন্ত্র বানিয়ে বাজানোর মাধ্যমে। ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ও ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্মে অবন্তির গাওয়া ‘রূপকথার জগতে’ ও ‘পাখি পাখি মন’ গান দুটি তাঁর পরিচিতি আরও এগিয়ে দেয়।

‘মিউজিক এন রিদম’ অনুষ্ঠানে গাইছেন অবন্তি সিঁথি

অমিত দের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে, তা জানতে চাইলে অবন্তি সিঁথি বলেন, ‘বছরখানেক আগে মিথুনদার (গায়ক ও যন্ত্রশিল্পী মিথুন চাক্রা) উদ্যোগে একটি গান তৈরির পরিকল্পনা হয়। সেই গানে কণ্ঠ দেওয়ার কথা ছিল অবন্তি ও অমিতের। এই প্রকল্পের কাজের সূত্রে দুজনের পরিচয়। তারপর লন্ডন-ঢাকা কথাবার্তা হয়। এরপর পুরো ব্যাপারটি পারিবারিকভাবে এগিয়েছে।’ বিয়ে উপলক্ষে গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় এসেছেন অমিত দে।