Thank you for trying Sticky AMP!!

খেতে খেতে ৮টা আম খেয়ে ফেলেছি!

শবনম ফারিয়া। ছবি: সংগৃহীত

একটি আম বেশি খেলে কী এমন হলো? ফোনে এ প্রশ্ন শুনে এক মুহূর্ত কোনো শব্দ করেন না অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। পরক্ষণেই হাসতে হাসতে বলেন, ‘মজা করে লিখেছি। আমি আসলে একসঙ্গে খুব বেশি আম খেতে পারি না। এখন তো শুটিং করি না, বাসায় বসে বোর হচ্ছি। এ জন্য বেশি খাওয়া হচ্ছে। গতকাল প্রথম একসঙ্গে ৮টি আম খেয়েছি। বাসায় বসে খেতে খেতে ওজন বেড়ে যাচ্ছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারিয়া লিখেছেন, ‘আজ জিম ছিল না, সন্ধ্যায় বোরড ছিলাম, মনটাও একটু খারাপ। ভাবলাম কিছু যখন করার নেই, কিছু খাই। দেখলাম নতুন আম আনা হয়েছে, খেলাম। খেতে খেতে ৮টা আম খেয়ে ফেলছি। এখন যেন কেমন লাগছে। সারমর্ম হলো, এক বসায় কেউ ৭টার বেশি আম খাবেন না! শরীর খারাপ করতে পারে।’

হিমসাগর, লেংড়া, গোপালভোগ, আম্রপলি থেকে শুরু করে নানা জাতের আম পছন্দ করেন ফারিয়া। এ কথা জানেন তাঁর সহকর্মী ও বন্ধুরা। তাঁরাও এই অভিনেত্রীকে আম উপহার পাঠান। ফারিয়া বলেন, ‘অনেকেই জানেন আমি আম খুব পছন্দ করি। সে জন্য আম উপহার পাই। অনেকের সঙ্গে শুটিং করতে করতে এখন সম্পর্কটা পরিবারের সদস্যদের মতো হয়ে গেছে। নির্মাতা তপু ভাই, শাহিন কবির ভাইসহ আরও অনেকে আম পাঠিয়েছেন। শুটিংয়ে যাচ্ছি না বলে আম খেয়েই সময় কাটাচ্ছি।’

শবনম ফারিয়া। ছবি: সংগৃহীত

অনেক তারকাই শুটিং শুরু করলেও ফারিয়া কেন শুটিংয়ে যাচ্ছেন না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিচুয়েশন কোন দিকে যাবে আমরা কেউই জানি না। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। শুটিংয়ে যাওয়া আমার কাছে নিরাপদ মনে হচ্ছে না। আমার মায়ের হার্টের সমস্যা, সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস। অনেক নির্মাতা নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করার কথা বলছেন। কিন্তু আমি আমার পরিবারকে নিয়ে চিন্তিত। এভাবেই সার্ভাইভ করে যাব, কিন্তু আমার জন্য যদি কোনো ঝামেলা হয়, তাহলে কখনোই নিজেকে নিজে ক্ষমা করতে পারব না। তাই রিস্ক নিতে চাই না।’

শবনম ফারিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাসায় কীভাবে সময় কাটছে? তিনি বলেন, ‘খাই, ঘুমাই, মুভি দেখি, বই পড়ি, জিমে যাই, মায়ের সঙ্গে গল্প করি।’ নিরাপত্তার জন্য শুটিংয়ে যাচ্ছেন না, জিম কি তবে নিরাপদ? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যে জিমে যাই, সেই জিম কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সচেতন। আমার জিমে কোনো সমস্যা নেই। আর যেহেতু আমার ডায়াবেটিস আছে। সেটাকে কন্ট্রোলে রাখতে জিম করতেই হচ্ছে। এখন রাস্তায় হাঁটার চেয়ে জিমকেই বেশি নিরাপদ মনে হয়।’