প্লিজ ভিডিও কইরেন না...

ভালোবাসা দিবস কিংবা ঈদে তাঁর নাটকই একসময় প্রচার হতো বেশি। সেই কেয়া পায়েলকে এখন বিশেষ দিবস হাতে গোনা কয়েকটি নাটকে দেখা যায়। ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গে গতকাল শিল্পীর সঙ্গে কথা বলল ‘বিনোদন’। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মনজুরুল আলম।
কেয়া পায়েল। ছবি: ফেসবুক
কেয়া পায়েল। ছবি: ফেসবুক
প্রশ্ন

বিমানবন্দরে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে দেখলাম, কোথায় গেলেন?

নাটকের শুটিংয়ে রাজশাহীতে ছিলাম। সেখানে শুটিং শেষ করে আজই ঢাকায় এসেছি। এসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় শুটিং করছি।

প্রশ্ন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

সব সময় রাজশাহীর প্রশংসা শুনেছি। দারুণ একটি শহর। বারবার এই ক্যাম্পাসে আসতে লোভ লাগে। অনেক সুন্দর ছিমছাম গোছানো একটা শহর। শান্তিমতো শুটিং করা যায়। তবে ইচ্ছা থাকার পরেও নিজের মতো করে ঘুরতে পারিনি। একসঙ্গে দুটি কাজ হয় না। শুটিংয়ে যেখানে যাই, সেখানে ভালো করে ঘুরে দেখার চেষ্টা করি। আমি তো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারিনি। প্রাইভেটে পড়েছি। যে কারণ বড় ক্যাম্পাস দেখলে খুবই ভালো লাগে।

তৌসিফ মাহবুব ও কেয়া পায়েল। ছবি: ফেসবুক
প্রশ্ন

প্রায়ই শোনা যায়, নাটকে চরিত্রের ভেতরে ঢুকতে সময় পান না শিল্পীরা...

বেশির ভাগ সময়ই আমাদের শুটিং করার জন্য তাড়াহুড়া করতে হয়। পুরো সময় শুটিংয়ের মধ্যেই থাকতে হয়। ‘শুনছেন, পরিচালক ডাকছেন, সান চলে যাবে। এখনই যেতে বলছেন।’ একটু চাপ নিয়েই শুটিং করতে হয়।

প্রশ্ন

শুটিং করার সময় অনেকেই অজান্তে নানারকম ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। অনেক শিল্পী এসবের বিরুদ্ধে কথাও বলেছেন। আপনার অবস্থান কী?

এটা খুবই বিরক্তিকর। দেখা যায় শুটিং চলছে। সেখানে শুটিং করছি বা রিহার্সাল করছি। আমি জানিই না, সেই সব ভিডিও (ধারণ করে) কেউ কেউ ফেসবুকে পোস্ট করছে। এটা নিয়ে আমি শুটিংয়ে সোচ্চার। অ্যাটলিস্ট অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা বা ভিডিও করা উচিত। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যখন শুটিং শেষ করে নিজের মতো করে একটু বসে আছি বা কারও সঙ্গে কথা বলছি, তখন ভিডিও করছে। শুটিংয়ের ফাঁকে ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকে না। তখন বলতে হয়, প্লিজ ভিডিও কইরেন না। এভাবে ভিডিও করাকে আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়।

কেয়া পায়েল। ছবি: ফেসবুক
প্রশ্ন

অনেকে নাকি ভিউয়ের কথা মাথায় রেখে গল্প বাছাই করে। আপনি কীভাবে গল্প বাছাই করেন?

কদিন আগে মুক্তি পাওয়া আমার উড়াল পাখি বা সুন্দরী নাটকগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন, এখানে গল্পই ছিল মুখ্য। যে কারণে কাজগুলো নিয়ে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। কাজ করার ক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দ থাকে গল্প; কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে ভিউটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভিউ মুখ্য না। ভিউ হওয়া মানে কাজটি দর্শকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, সেটা বোঝা যায়। এটা দিয়ে জানা যায় দর্শকপ্রিয়তা, দর্শক দেখলে ভালো লাগে। কাজ তো দর্শকদের জন্যই করা।

কেয়া পায়েল। ছবি: ফেসবুক
প্রশ্ন

এবার ভালোবাসা দিবসে আপনার কতগুলো নাটক দেখবে দর্শক?

তিনটি নাটক কনফার্ম। সবগুলোই আমার কাছে বিশেষ। দর্শক পছন্দ করবেন।

প্রশ্ন

একসময় তো বিশেষ দিবসে আপনাকে সর্বাধিক সংখ্যক নাটকে দেখা যেত...

একসময় অনেক বেশি নাটকে অভিনয় করেছি। তখন নিয়মিত হওয়াটাই জরুরি ছিল। পরে পরিচিতি বাড়তে থাকলে আমার কাছে মনে হয় সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে ভালো গল্পে কাজ করা জরুরি। যে কারণে এখন সব সময়ই বিশেষ দিবসে সীমিত কাজ করি। মানটাই মুখ্য আমার কাছে। কম কাজ নিয়েই থাকতে চাই। সংখ্যা বাড়াতে চাই না।

কেয়া পায়েল। ছবি: ফেসবুক