Thank you for trying Sticky AMP!!

মা–বাবাকে চমকে দেওয়া মেয়েটির জন্মদিন আজ

এই সময়ের ছোট পর্দার অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। আজ অভিনেত্রীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে ছবিতে ছবিতে জেনে নেওয়া যাক সাদিয়া আয়মান সম্পর্কে কিছু তথ্য।
অভিনয়ের কথা কখনোই ভাবেননি। ২০১৯ সালে পড়াশোনা করতে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টার শেষে এক অবসরে ফেসবুকে ঢুঁ মারছিলেন। হঠাৎ চোখ আটকে যায় এক পোস্টে—এক পরিচালক নতুন মুখ খুঁজছেন। এভাবেই ওই পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ। সাদিয়া আয়মানের শুরুর গল্পটা এখানেই শেষ নয়। কারণ, মূল ঝামেলার সূত্রপাত এরপরই। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
মেয়ে অভিনয় করবে! মা–বাবা মেনেই নিতে পারছিলেন না। কথা বলাই বন্ধ করে দেন। তবু দমে যাননি সাদিয়া। মা–বাবাকে ভরসা দিয়েছিলেন—একদিন মেয়ের জন্য তাঁরা গর্ব করবেন। বিশ্বাস ছিল, ভালো কিছু করে চমকে দিতে পারবেন মা–বাবাকে। সেই দিনটির জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি সাদিয়া আয়মানকে। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

Also Read: মিষ্টি মেয়ে সাদিয়া আয়মান যখন ইন্টার্ন

ক্যারিয়ার বেশি দিনের না হলেও অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছেন সাদিয়া। এই সময়ে ছোট পর্দার ব্যস্ততম অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন তিনি। রোমান্টিক, শান্ত, ভদ্র, নরম চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বেশি ডাক পড়ে। তবে যে রোমান্টিক চরিত্রে তাঁর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেই ধরনের চরিত্রে অভিনয় সবচেয়ে কঠিন বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
শুরুর দিকে এ ধরনের চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে সাদিয়াকে। রোমান্টিক ভঙ্গিতে কথা বলতে তাঁর কষ্ট হতো, লজ্জাও লাগত। একপর্যায়ে ভাবতে শুরু করেন, তাঁকে দিয়ে রোমান্স হবে না। তবে সেই সাদিয়াই এখন রোমান্টিক নাটকের নিয়মিত মুখ। একই ধাঁচের গল্পে অভিনয় করলেও নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে গেছেন তিনি। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
তবে পরিচালকেরা এখন ভিন্নধর্মী চরিত্রেও তাঁকে ভাবছেন। সাদিয়ার নিজের পছন্দ নারীপ্রধান চরিত্রে কাজ। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়ার প্রথমে ইচ্ছা ছিল আইনজীবী হবেন। কিন্তু হুট করেই অভিনয়ে চলে আসা। ওয়েব ফিল্ম ‘মায়াশালিক’ প্রচারের পর রাতারাতি পরিচিতি পান। ছোট পর্দার নির্মাতারা তাঁকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
ভিউ নিয়ে মাথা ঘামান না সাদিয়া আয়মান। তাঁর ভাষ্যে, ‘এটা ভক্তদের ভালোবাসা। কারণ, আমি গুণগত মানকে গুরুত্ব দিয়ে অভিনয় করি। নাটকের গল্প, অভিনয় আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ নাটকটি আসলে প্রেমের গল্প না। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ নিয়েই এর গল্প। প্রেম হওয়ার আগেই গল্প শেষ। সেটা দর্শক পছন্দ করছে, ভালো লাগছে।’ অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়েব কনটেন্টে কাজ করেছেন সাদিয়া আয়মান। আগামী ঈদের বেশ কয়েকটি নাটকেও দেখা যাবে তাঁকে। তবে সবচেয়ে বড় চমক, ঈদের মুক্তি পাবে তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা। গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’য় দেখা যাবে সাদিয়া আয়মানকে। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে