আপনিও হতে পারেন সার্ফার

উত্তাল সাগরের সুবিশাল ঢেউ দেখে মনে ভয় জাগতে পারে অনেকের। কিন্তু সার্ফার জাফর আলম বলছেন, এই ভয়টা জয় করা গেলে সার্ফিংয়ের কৌশলগুলো শিখে নেওয়াটা মোটেও কঠিন কিছু নয়। সার্ফ বোর্ডে শুইয়ে প্রথমে দুই হাত দিয়ে পানি কেটে সামনে অগ্রসর হতে হয়। সার্ফিং বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতে হয় পেছনে দুই পা দিয়ে পানি কেটে। সামনে বড় ঢেউ এলে বোর্ডের সামনের অংশে একটু চাপ দিয়ে নিচু হয়ে পানির (ঢেউ) ভেতর দিয়ে ক্রস করতে হয়। তারপর অপর প্রান্ত দিয়ে উঠে আবার হাত দিয়ে পানি কাটতে হয়। তারপর হচ্ছে সার্ফিংয়ের আসল পর্ব। মানে বোর্ডের ওপর উঠে দাঁড়িয়ে ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া। বোর্ড থেকে ছিটকে পড়লে সার্ফাররা কী করবেন? এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। মনে রাখতে হবে, ঢেউয়ের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গেলেও সমস্যা নেই। কারণ সার্ফ বোর্ডটির যেকোনো এক প্রান্ত পায়ের সঙ্গে রশি (লিশ) দিয়ে বাঁধা থাকে।জাফর আলম মনে করেন, সার্ফিংয়ের আসল মজাটাই হচ্ছে বড় ঢেউ। বড় ঢেউয়ের সঙ্গে খেলা করাই তো আসলে সার্ফিং। বড় শক্তিশালী ঢেউ ছাড়া সত্যিকার সার্ফিং সম্ভব নয়। সার্ফার হতে চাইলে সবার আগে ভালো সাঁতার জানাটা খুব দরকার। কারণ সার্ফ বোর্ড থেকে ঢেউয়ের ধাক্কায় ছিটকে পড়লে যেন সাঁতার কেটে আবার বোর্ডে ওঠা যায়।  হাতের জোর। হাতের শক্তিটা খুব দরকার। এটি ভালো সার্ফার হওয়ার জন্য দরকার।  সাহস এবং ত্বরিত বুদ্ধিমত্তা। বড় ঢেউ দেখে ভয় পেলে চলবে না। সাহস আর কৌশল দিয়ে ঢেউ মোকাবিলা করার নিত্যনতুন কৌশল আবিষ্কার করতে হবে।  দৈহিক শক্তির প্রয়োজন। সে কারণে মাদকদ্রব্য গ্রহণ ও ধূমপান করা যাবে না কিছুতেই।  নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।