ভালো থাকুন

আপনি যখন ডাক্তারের শরণাপন্ন

.

সঠিক রোগনির্ণয় এবং পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপত্রের জন্য রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে একটি কার্যকর সাক্ষাৎপর্ব অত্যন্ত জরুরি। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার আগে আপনারও কিছু প্রস্তুতি দরকার আছে।
আপনি হয়তো একাধিক রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। রোগের ইতিহাস দেওয়ার সময় এই মুহূর্তে প্রধানতম যে কারণে আপনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন, সেটি গুরুত্ব দিয়ে আগে বলুন।
কখন, কীভাবে বর্তমান উপসর্গ শুরু হলো এবং কীভাবে উপসর্গ বাড়ে বা কমে তা চিকিৎসকের জন্য জানা জরুরি। সাক্ষাতের আগে এগুলো মনে মনে গুছিয়ে নিন। মনে রাখতে কষ্ট হলে লিখে নিতে পারেন।
অনেক সময় অসুস্থতার কারণে রোগীর পক্ষে ÿউপসর্গ বিস্তারিত বলা সম্ভব না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিবারের কোনো সদস্য বা আপনজনকে সঙ্গে রাখুন, যিনি আপনার রোগ-ওষুধ ইতিহাস সম্পর্কে ভালো জানেন।
স্পর্শকাতর কোনো বিষয় বা উপসর্গ নিয়ে বিব্রত হবেন না, এড়িয়েও যাবেন না।
আপনি হয়তো বিভিন্ন সমস্যার জন্য আগে থেকেই নানা ওষুধ গ্রহণ করছেন। সব ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে রাখুন। কী কী ওষুধ কোন মাত্রায় গ্রহণ করছেন, তা চিকিৎসককে বিস্তারিত জানান।
ওষুধের নাম আপনার মনে না-ও থাকতে পারে। আবার বিদেশি ওষুধের ট্রেড নাম চিকিৎসক না-ও বুঝতে পারেন। তাই প্রয়োজনে ওষুধের নামগুলো গুছিয়ে সঙ্গে রাখুন, যেন চিকিৎসক প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন। আপনার অতীত বা নিকট-অতীতের রোগ-ইতিহাস বা যেসব শল্যচিকিৎসা হয়েছে, তা বর্তমান রোগ নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সময়ক্রম অনুযায়ী ঘটনাগুলো বলুন এবং এ-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট ও ব্যবস্থাপত্র সময়ক্রম অনুসারে সাজিয়ে ফাইল করে সঙ্গে রাখুন।
জীবনাচরণ বা পথ্যসংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থেকে থাকলে মনে মনে গুছিয়ে রাখুন এবং সাক্ষাৎ শেষ করার আগে তা বিস্তারিত জেনে নিন।
ওষুধ ব্যবহার পদ্ধতি বুঝতে অসুবিধা হলে সংকোচবোধ না করে তা আবার বুঝে নিন।
চিকিৎসকের কক্ষে ঢোকার সময় সেলফোনটি বন্ধ রাখুন।
অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এড়িয়ে চলুন, এতে উভয়েরই সময় নষ্ট হবে। l মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল