পয়লা ফাল্গুন বা বৈশাখী সাজ মানেই তো হাতে রেশমি চুড়ির বাহার। কিন্তু বিয়ের কনে পরবে রেশমি চুড়ি, এ কেমন কথা? তাঁর হাতভর্তি থাকবে সোনার বালা নয়তো সোনালি চুড়ি—এমনই ভেবে থাকেন সবাই। তবে কনের হাতে সোনার চুড়ির মধ্যে যদি উঁকি দেয় লালের ছটা—এমন ফিউশনেই যেন পূর্ণ হয় বউসাজের ষোলোকলা।
এখনকার কনেরা তো নিজেদের সাজসজ্জা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। হাতভর্তি ভারী গয়না নয়, বরং হালকা গয়নার নান্দনিক সাজে যেন ফুটে উঠবে তাঁর আসল সৌন্দর্য।
লাল রংই কনেকে বেশি মানায়—এমন মত বিশেষজ্ঞদের। লাল শাড়ির সঙ্গে কপালে লাল টিপ, সাজের এই অনুষঙ্গগুলোই বউসাজের বিশেষত্ব আনে। এই লালের ছোঁয়া এখন আনা হচ্ছে কনের হাতের সাজেও। ইদানীং কনেসাজে হাতভর্তি লাল রেশমি কাচের চুড়ির ব্যবহার বিয়ের সাজে যোগ করছে ভিন্ন মাত্রা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময় বেশির ভাগ বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে বাড়িতে। এ জন্য এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে কনেসাজের বাহুল্য। অনলাইনভিত্তিক গয়নার দোকান সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির ডিজাইনার জেরিন তাসনিম বলছিলেন, এখন অনেক কনেকেই দেখা যাচ্ছে নিজেই সাজছেন বিয়ের সাজ। যেহেতু বাসায় অনুষ্ঠান হচ্ছে, তাই কনেকে হালকা সাজেই বেশি আকর্ষণীয় দেখাবে। জমকালো ভারী গয়নার বদলে একটু নান্দনিক নকশার গয়না পরলে ভালো দেখাবে। সঙ্গে হাতর্ভতি রেশমি চুড়ি আনবে নতুনত্ব।
তবে শুধু সোনালি গয়নাই নয়, বিয়েতে যারা রুপালি গয়না পরবেন বলে ঠিক করেছেন, তাঁরাও হাতভর্তি কাচের চুড়ি পরতে পারেন। রুপালি গয়নার সঙ্গে কাচের চুড়ির দুই পাশে তো মোটা বালা পরবেন, তবে এ ক্ষেত্রে দুই হাতে চুড়ির মাঝখানেও মোটা বালা পরলে নতুন কনের হাতকে দেখাবে আকর্ষণীয়।