কীভাবে এল

কাবাডি

কাবাডি...কাবাডি...। ছবি: প্রথম আলো
কাবাডি...কাবাডি...। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। এই খেলার জন্মরহস্য জানতে ফিরে তাকাতে হবে চার হাজার বছর আগে। ভারতীয় উপমহাদেশেই এই খেলার প্রচলন হয়। বর্তমান ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজ্য পাঞ্জাবকে এই খেলার আদিভূমি বলে মনে করা হয়। জানা যায়, স্বল্প খরচ ও কোনো বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন না থাকায় কাবাডি খেলার ব্যাপ্তি ছিল মূলত গ্রামাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল পরিবারগুলোর মধ্যেই। উৎপত্তির পর থেকে দীর্ঘ সময় খেলাটি ভারতের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। পাঞ্জাব ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর ভাগের মানুষের কাছে কাবাডি হিসেবে পরিচিত হলেও দক্ষিণ ভারতের মানুষেরা খেলাটির নাম দেয় হু-তু-তু, কেউ ডাকত চেংডু নামে। পূর্ব ভারত তথা বর্তমান বাংলাদেশ আর এর আশপাশের রাজ্যগুলোয় খেলাটি জনপ্রিয় ছিল হাডুডু নামে।

বাংলাদেশে কাবাডি খেলার প্রচলন ঠিক কখন হয়, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া মুশকিল। তবে খেলাটি যে সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায় স্বাধীনতা অর্জনের অব্যবহিত পরেই কাবাডিকে জাতীয় খেলার স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে। সরকারিভাবে খেলাটিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ফেডারেশন এ খেলার বিভিন্ন নিয়মকানুন তৈরি করে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় কাবাডি দলের সঙ্গে প্রথম কাবাডি টেস্ট খেলে।

একসময় ভারতের গ্রামাঞ্চলের অধিবাসীদের এই খেলা আজ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডার মতো দেশগুলোতেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের কাবাডি দলে এখন ইম্পিরিয়াল কলেজ, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মতো অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যোগ দিচ্ছেন।

গার্ডিয়ান ও বাংলাপিডিয়া অবলম্বনে

আকিব মো. সাতিল