সিঁথির পরিবর্তন হলে চেহারায় চলে আসে ভিন্নতা
সাধারণভাবে মাথার মাঝ বরাবর কিংবা যেকোনো একপাশে সিঁথি করা হয়ে থাকে। খানিক ভিন্নতা আনতে অনেকে একটু আঁকাবাঁকা করেও (জিগজ্যাগ) সিঁথি করে। চাইলে সিঁথির পাশের দিকে চুল একটু পেঁচিয়েও (টুইস্ট) নেওয়া যায়।
শাড়ির সঙ্গে মাঝ বরাবর সিঁথিই বেশি প্রচলিত। টিকলি পরতে চাইলে সিঁথি যেমন মাঝ বরাবর করা হয়, তেমনি একপাশে সিঁথি করে টিকলির কিছু অংশ চুল দিয়ে ঢেকে নিতেও দেখা যায়। ব্যক্তির পছন্দ, অভ্যাস, পোশাক, চুলের ধরন, চুলের কাট (হেয়ারস্টাইল), মুখের গড়ন—নানা কিছু বিবেচনায় নিয়ে সিঁথি করা উচিত, জানালেন মিউনিস ব্রাইডালের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন।
একই জায়গায় সিঁথি করা হলে একসময় সিঁথির রেখা চওড়া হয়ে যায়, সিঁথির ঠিক পাশের চুলগুলো একটু পাতলাও হয়ে আসে। তখন সিঁথির জায়গাটা বদলাতে চাইলেও নতুন জায়গায় সিঁথি ‘সেট’ করা বেশ মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই বছরজুড়ে একই জায়গায় সিঁথি না রাখাই ভালো। কখনো মাঝে, কখনো ডানে, কখনো বামে সিঁথি করতে পারেন; আবার কখনো সিঁথি ছাড়াই পেছন দিকে টেনে চুল আঁচড়াতে পারেন। আর মাঝেমধ্যে সিঁথির অবস্থান বদলালে নিজের মধ্যে আসে ভিন্নতা, তৈরি হয় নতুন ‘লুক’।
কোন চুলে কেমন সিঁথি মানাবে, তা যাঁর চুল, তিনিই সব থেকে ভালো বুঝতে পারেন। ঘন, দীঘল চুলে যেমন কাটই থাকুক, এমন চুলে যেকোনো ধরনের সিঁথিই মানানসই। চুল বড় হোক বা ছোট, স্তরভিত্তিক কাট দেওয়া থাকলে একপাশে সিঁথি করতে পারেন। একপাশে সিঁথি করলে পাশ দিয়ে ছোট চুল (ব্যাংগস) রাখতে পারেন। তা ছাড়া ব্যাংগস না থাকলেও একপাশে সিঁথি করা হলে বিপরীত পাশটা ব্যাংগসের মতো দেখায়। আঁকাবাঁকা সিঁথি একটু ঘন চুলেই মানায় বেশি। পাতলা চুলে এমন সিঁথি করলে মাথার ত্বক একটু বেশিই বেরিয়ে পড়ে, যা খুব একটা ভালো দেখায় না।
চুল যে রঙেরই হোক না কেন, চুলের ধরনের ভিত্তিতেই সিঁথি করতে পারেন। তবে কেউ কেউ সিঁথির ওপর নির্ভর করে চুলের কিছু অংশ রং করিয়ে থাকেন। এমনটা করানো থাকলে অবশ্য চুলের সিঁথি ভিন্ন দিকে করানোর সুযোগ নেই। যে কয়দিন রংটা থাকে, সিঁথি একইভাবে করতে হয়।
মাঝ বরাবর সিঁথি করা হলে মুখটা একটু লম্বা দেখায়।
গোলমুখে একপাশে সিঁথি করা হলে মুখটা একটু বেশি গোল মনে হতে পারে।
ডিম্বাকৃতির মুখে যেকোনো দিকেই সিঁথি করা যেতে পারে।
কপালটা চওড়া হলে মাঝে সিঁথি করে পাশে ছোট চুল (কার্টেন ব্যাংগস) রাখতে পারেন। ফ্রিঞ্জ করা থাকলে কপাল ঢাকা থাকে, সিঁথিরও দরকার রইল না।
কপালের রেখাটা মাঝ বরাবর একটু নামানো (অর্থাৎ হৃৎপিণ্ড কিংবা পানপাতা আকৃতির চেহারা) হলে অবশ্য মাঝে কিংবা একদম একপাশে সিঁথি, কোনোটাই খুব ভালো দেখায় না। কপালের মধ্যরেখা বরাবর (অর্থাৎ ঠিক মাঝ বরাবর) সিঁথি না করে এই রেখার খানিকটা পাশ ঘেঁষে সিঁথি করতে পারেন। তবে মধ্যরেখা থেকে অনেক বেশি দূরে এটা করা যাবে না।
কপালের দুই পাশের চুল যদি একটু পাতলা হয়, তাহলে মাঝ বরাবর সিঁথি করলেই সুন্দর দেখায়।