
জলাশয়ে ভাসমান সেতু। বন্যা হলেই সেতুটি উপদ্রুত এলাকার যোগাযোগে ব্যবহৃত হবে। স্টিলের পাত ও বাতাসে ফোলানো রবার দিয়ে তৈরি হবে এই সেতু। এমন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে নবম শ্রেণির একদল শিক্ষার্থী।
১৬ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলায় ভাসমান সেতুর মতো এক গুচ্ছ প্রকল্প উপস্থাপন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। উদ্দেশ্য, দেশের সমস্যা সমাধান ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ অভিভাবক ও শিক্ষকেরা।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের খুদে বিজ্ঞানীরা তাদের চমকপ্রদ সব উদ্ভাবনের কথা বুঝিয়ে বলছিল দর্শকদের। জুনিয়র ও মাধ্যমিক—এই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেরা প্রকল্পগুলোকে পুরস্কৃতও করা হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম খীসা। মাধ্যমিক পর্যায়ে ‘চেক অব বর্ডার গার্ড’ প্রকল্পের জন্য প্রথম হয়েছে নবম শ্রেণির দিবা শাখার রোমিও ধর, ফাতিন ইসতিয়াক ও জয় ঘোষ রায়। জুনিয়র পর্যায়ে ‘শহরের ম্যাজিক লাইট পোস্ট’ প্রকল্প তৈরি করে প্রথম হয়েছে সপ্তম শ্রেণির প্রাত শাখার অভিষেক পাল ও তারিকুল ইসলাম।
মেলায় বন্যা ্রবণ এলাকায় ভাসমান সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ সচল রাখার প্রকল্প, প্রাকৃতিক হিমাগার, দূর নিয়ন্ত্রিত হেলিকপ্টার, আধুনিক খামারব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলসহ অর্ধশতাধিক প্রকল্প প্রদর্শিত হয়েছে বলে শিক্ষকেরা জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম খীসা বলেন, ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানশিক্ষা ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প আবিষ্কারের প্রতি মনোযোগী করতে প্রতিবছর বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করা হয়। তাদের ১০ থেকে ১৫ দিন আগে মেলার বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপর তারা নিজেরা দল গঠন করে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে প্রদর্শন করে।