
রাবার বা স্পঞ্জের চটি, হাঁটার সময়ে যা চটচট শব্দ তোলে, তা নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারের জন্য একদমই মানা। তবে মৌসুমটা যখন বৃষ্টি-কাদার তখন এমন ফ্যাশন ব্যাকরণ না মানলেও তেমন ক্ষতি নেই। এই সময়ে তাই বেশ চলছে নানা রং ও নকশার চটি বা স্লিপার।
শুধু দুই ফিতার পাতলা স্লিপার নয়, একটু উঁচু হিলের স্যান্ডেলও পাবেন। ছেলে ও মেয়েদের জন্য নকশা ও রঙের বৈচিত্র্যও আছে। উপাদান রাবার বা স্পঞ্জ বলে সহজে ধুয়ে ফেলা যায়, পরতেও আরাম। নকশার বাহার রয়েছে বেশ, ফলে নানা রকম পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে কিনতে পারবেন এগুলো। ছেলেদের জন্য নীল, সবুজ, সাদা, কালো, বাদামি, ছাই ইত্যাদি রং আছে। আর মেয়েদের স্লিপারে দেখা যাচ্ছে নানা রঙের মিশেল। একরঙা স্লিপার যেমন আছে, চেক বা ফুলেল ছাপও বেশ চোখে পড়ে। আর শিশুদের জন্য নানা রকম কার্টুন আঁকা স্লিপার পাবেন। বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়ে বেশ চলেছে নানা দেশের পতাকার নকশার আদলে তৈরি স্লিপার। সেই ট্রেন্ড এখনো আছে। বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এসব বিখ্যাত ক্লাবের পতাকার রঙে তৈরি স্লিপারও আছে।
বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে, ক্লাসে যেতে পরতে পারেন পাতলা চটি। আর অফিসে বা কোনো অনুষ্ঠানে যদি পরতেই চান তবে মেয়েরা বেছে নিতে পারেন সামান্য হিলওয়ালা স্যান্ডেল। আর ছেলেরা সে ক্ষেত্রে দুই ফিতার বদলে গোড়ালির পেছনে ফিতা দেওয়া চটি পরতে পারেন। স্লিপার পরলে পা পরিষ্কার আছে কি না খেয়াল রাখুন। আর প্রয়োজন পড়লে স্যান্ডেলসহ পা ধুয়েও নিতে পারবেন। কয়েক রঙের স্লিপার একবারে কিনে রাখতে পারেন, যাতে পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায়।
বাটা, অ্যাপেক্স, লোটো ইত্যাদি ব্র্যান্ড তাদের জুতার সংগ্রহে স্লিপারও যোগ করেছে। লোটোর সহকারী ব্যবস্থাপক তন্ময় মিত্র জানান, ‘লোটোর স্লিপারে ইভিএ নামের একটি বিশেষ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে স্লিপার ভিজলেও কোনো ক্ষতি হয় না। দামও হাতের নাগালে। লোটোতে ২৯০ থেকে ৫৯০ টাকার মধ্যে মিলবে নানা ধরনের স্লিপার।’
এ ছাড়া ব্র্যান্ড নয় এমন স্লিপারের সংগ্রহও বেশ বড়ই। নানা শপিং মলে তো পাবেনই, ফুটপাতেও পাবেন। দাম শুরু ১০০ টাকা থেকে। তবে এসব স্লিপার খুব বেশি দিন টিকবে এমন আশা না করাই ভালো। দ্রুতই এসবের রং ফিকে হয়ে যায়।