কীভাবে এল

ছাতা

ছাতা
ছাতা

‘আহা, কেন যে ছাতাটা নিতে ভুলে গেলাম!’ বর্ষায় ছাতা ছাড়া পথে নেমে এমন দীর্ঘশ্বাস ফেলেন অনেকে। অথচ ছাতার উদ্ভাবন কিন্তু আসলে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য নয়, প্রখর রোদে ছায়া পেতে। ছাতার ইংরেজি নাম খেয়াল করলেও বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়, ইংরেজি আমব্রেলা শব্দটি লাতিন ‘আমব্রা’ থেকে নেওয়া, যার বাংলা ছায়া। ঐতিহাসিকেরা বলছেন, ছাতা প্রায় চার হাজার বছর আগে উদ্ভাবিত হয়। সে সময় প্রাচীন মিসর, আসিরিয়া, গ্রিস ও চীনের মানুষ ছাতা ব্যবহার করত রোদের সময়। তবে বৃষ্টির জন্য ছাতা ব্যবহার শুরু হয়েছিল চীনে। মোমের প্রলেপ মাখানো কাগজ ব্যবহার করে প্রথম জলনিরোধক ছাতা তৈরি করে চীনের মানুষ। তখন ছাতার হাতল তৈরি হতো কাঠ অথবা তিমির চোয়ালের হাড় আর ওপরের অংশে ব্যবহার হতো পশুর চামড়া কিংবা পানিনিরোধক মোটা কাপড়। এরপর ১৬ শতাব্দীতে পশ্চিমা দুনিয়ায় ছাতা পরিচিতি পায়, বিশেষ করে উত্তর ইউরোপে। প্রাচীনকাল থেকে ১৭ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় অবধি ছাতা শুধু নারীদের ব্যবহার্য পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো। পুরুষ মানুষও যে ছাতা ব্যবহার করতে পারেন, তা ইংরেজদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলেন ইরানি পর্যটক ও লেখক জোনাস হ্যানওয়ে। সে সময় ইংরেজরা ছাতাকে ‘হ্যানওয়ে’ নামেও চিনত! অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ছাতার আকার ছিল অতিকায়। ১৮৩০ সালে ইংল্যান্ডের ‘জেমস স্মিথ অ্যান্ড সন্স’ প্রথম ছাতা বিক্রির দোকান। ১৮৫২ সালে স্যামুয়েল ফক্স নামের এক ইংরেজ ইস্পাত ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো ছাতা তৈরির নকশা করেন। এরপরই উদ্ভাবিত হয় ফোল্ডিং ছাতা, দিনে দিনে ছাতার আকার ছোট হতে থাকে।
সূত্র: অ্যাবাউট ডটকম