শীতটা যেন জেঁকে বসেছে। কেবল চাদর আর সোয়েটারে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না শীতের প্রকোপ থেকে। এটা বেশি টের পাওয়া যায় হাত, পা আর কানে। তাই শীতের হাত থেকে বাঁচতে শরীরের এই বিশেষ অঙ্গগুলোকে উষ্ণতা দেওয়ার ব্যাপারে সবাই থাকে সচেতন। কেবল উষ্ণতা পাওয়ার জন্যই নয়, ফ্যাশনের দিকটাও খেয়াল রাখতে হয়—এমনটা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া রাশেদ শাওন। তিনি বলেন, শীতে ঠান্ডার হাত থেকে গলা বাঁচাতে মাফলার যেমন কাজ দেয়, তেমনি তরুণদের ফ্যাশনেও এর রয়েছে যথেষ্ট কদর। শীতে কেবল মাফলারই নয়, উলের টুপি, কানটুপি বা হেডফোনের আকারের টুপি, মাংকি টুপি এবং মোজার রয়েছে আলাদা কদর। ছোট্টমণির শীত প্রতিরোধে তো বটেই, তরুণদের ফ্যাশনের জন্য এই ছোট পোশাকগুলো কিন্তু মন্দ নয়। ঢাকার নিউমার্কেটে মোজার দোকান সকস শপের সেলস ম্যানেজার সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সারা বছর মোজা বিক্রি করলেও শীতে বিক্রিটা বেড়ে যায়। আমরা নানা আকারের মোজা বিক্রি করে থাকি। কেবল বড়দেরই নয়, ছোট্টমণিদের জন্য রয়েছে বর্ণিল ছবিসংবলিত মোজা। কেবল পায়ের মোজাই নয়, বিভিন্ন আকার আর রঙের হাতমোজাও মিলবে একই জায়গায়। দোকানের নাম সকস শপ হলেও শীতে মোজার সঙ্গে উলের টুপি এবং টাইটসও মিলবে এখানে।’ বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ওয়েসটেকসে স্কার্ফ কিনতে আসা নাদিয়া জানালেন, শীতের সময় মোটা মখমলের কাপড়ের স্কার্ফ ব্যবহারে উষ্ণতার পরশ পাওয়া যায়। আবার ফতুয়া কিংবা টপসের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে যাচ্ছে। বসুন্ধরা সিটির ইনফিনিটি, ওয়েসটেকস, স্কাই কালেকশন, ডোরস, তানজিময় এবং পলওয়েল মার্কেটে পাওয়া যাবে ফ্যাশনেবল টুপি, মোজা, মাফলার, স্কার্ফ। বড় শপিং মল থেকে কিনলে জায়গাভেদে মোজার দাম পড়বে ১২০-২৫০ টাকা, মাফলার ২৫০-১৫০০ টাকা, টুপি ১০০-২৫০ টাকা, টাইটস ১৫০-৬০০ টাকা। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত কম দামে কিনতে পারবেন নিউমার্কেট, ঢাকা কলেজের বিপরীতে অবস্থিত হকার্স মার্কেট, গুলিস্তান বঙ্গবাজার, বায়তুল মোকাররম মার্কেট থেকে। এসব জায়গা থেকে মোজা কেনা যাবে জোড়াপ্রতি ২০-১৫০ টাকায়, বিভিন্ন আকার আর ডিজাইনের টুপি মিলবে ৫০-১২০ টাকায়, মাফলার ১০০-১৫০ টাকায়। ফ্যাশন হাউস রঙ এবং নিত্য উপহারেও মোটা সুতি কাপড় ও খাদি কাপড়ের তৈরি মাফলার পাওয়া যাবে। কেনা যাবে ২০০-৩৫০ টাকার মধ্যে।