প্রেমের মাঝে আছে আনন্দ। এই আনন্দের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারে অন্যের মধ্যে। প্রেম নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক গান, কবিতা। এই ধারায় অগ্রগামী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর প্রেম পর্যায়ের গানগুলো হূদয়ছোঁয়া। এই গান নিয়ে গত শুক্রবার ‘প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে’ শিরোনামে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে অভ্যুদয় সংগীত অঙ্গন।
সন্ধ্যা সাতটায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কবি অরুণ দাশগুপ্ত। শিল্পী প্রদ্যোৎ মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে অতিথি ছিলেন অধ্যাপক রীতা দত্ত। উদ্বোধনীপর্ব শেষে সমবেত কণ্ঠে ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’ গানটি দিয়ে শুরু হয় সংগীতপর্ব। এরপর একক পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন সেঁজুতি দে। তিনি গেয়ে শোনান ‘এক আজি গোধূলি লগনে’। এবার দ্বৈত। ‘তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা’ গানটি পরিবেশন করেন শিমুল শর্মা ও এলড্রিন ক্রাউলি। এরপর কখনো একক, কখনো দ্বৈত, আবার কখনো সমবেত সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে ভালোবাসার জয়গান করে যান শিল্পীরা।
গান করেন কুমকুম কায়স্থগীর, রীপা পালিত, ইমেল্ডা গমেজ, শারদ ঘোষ, সুভদ্রা সংযুক্তা সেন, অনন্যা আইচ, প্রীতি দেব, খেয়ালি ঘোষ, মৌমিতা চৌধুরী, শিল্পী রায়, সুশান্ত শর্মা, বাবলু চক্রবর্তী, সুমন বসাক, শৈবাল আদিত্য, কামনাশীষ সেনগুপ্ত, চন্দ্রিমা ভৌমিক, প্রমা বড়ুয় ও বব বুশ ডি রোজারিও। ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো’, ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে’, ‘মনে রবে কিনা রবে আমারে’, ‘নুপূর বেজে যায় রিনি রিনি’, ‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়’ সমবেত কণ্ঠের গানগুলো মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে যায়।
এরপর অভ্যুদয় সংগীত অঙ্গন ঢাকার শিল্পী রোকাইয়া হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা। এ আয়োজনের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন শিল্পী শ্রেয়সী রায়। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের গানের সঙ্গে দর্শকদের পরিচিত ও একাকার করতে এ ধরনের আয়োজন।