ফেনীর আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন এপেক্স ক্লাব অব ভাষা শহীদ সালাম এর উদ্যোগে দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের সালামনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ভাষা শহীদ সালাম জাদুঘর ও গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা খানম। এপেক্স ক্লাব অব ভাষা শহীদ সালাম ফেনীর সভাপতি আবুল বাশার সবুজের সভাপতিত্বে ও সার্ভিস ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল মারুফের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা আক্তার, দৈনিক দুর্বার পত্রিকার সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন, মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইছহাক জগলু, এপেক্স ক্লাবের ন্যাশনাল এনইডি সাইফুল্যাহ কামরুল, জেলা-৮ গভর্নর ডা. নিলুফা পারভিন, জেলা গভর্নর নিজাম উদ্দিন, এপেক্স ক্লাব অব নোয়াখালীর সভাপতি ইকবাল হোসেন , কোষাধ্যক্ষ মো. আলমগীর, এপেক্স ক্লাব অব নোয়াখালীর সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। অতিথিবৃন্দ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। ি্বজ্ঞপ্তি।
রাস্তায়চালক-যাত্রীরবাদানুবাদ
একরামুল হক
সকাল নয়টা।নগরের সারসন রোড এলাকায় অফিসগামী বেশ কয়েকজন যাত্রী দাঁড়িয়ে।সিএনজি চালিত অটোরিকশা আসতেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।কিন্তু গন্তব্যের কথা বলতেই দরদাম শুরু করেন চালক।কেউ কেউ রাজি হয়ে উঠেও পড়েন।ভিড় কমে গেলে একটি খালি অটোরিকশা দেখে ছুটে যান এক যাত্রী, তিনি মিটারে লালখান বাজার যেতে চাইলে চালক মিটারের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দেওয়ার আবদার করেন।মুহূর্তে শুরু হয়ে যায় চালক-যাত্রী বাদানুবাদ।
গত বৃহস্পতিবারের চিত্র এটি।গোলাম মোস্তফা নামের ওই যাত্রী একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক।তিনি জানান, স্ত্রীকে নিয়ে বিশেষ কাজে লালখান বাজার যাচ্ছেন।কিন্তু কোনোভাবেই সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মিটারে যেতে রাজি করাতে পারেননি।যাঁরা যেতে রাজি হচ্ছেন, তাঁরাও মিটারের চেয়ে বাড়তি টাকা চাইছেন।অপর দিকে মো. সবুর নামের ওই চালকের কথা, যাত্রীরা অল্প দূরত্বে মিটারে যেতে চান, কিন্তু বেশি দূরত্বে যেতে চান না।তাই লোকসান এড়াতে অল্প দূরত্বে ১০ টাকা বেশি দাবি করেন তাঁরা।
পর দিন শুক্রবার সকাল দশটায় নগরের লাভলেইন এলাকা গিয়ে দেখা গেল উল্টো চিত্র।লাভলেইনের নেভাল মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশার কাছে এসে বিমানবন্দরে যেতে চাইলেন এক যাত্রী।চালক মিটারে যেতে চাইলে তিনি দুই শ টাকা ভাড়া হাকেন।চালক রাজি না হওয়ায় তিনি অন্য অটোরিকশার সন্ধানে সামনে এগিয়ে যান।মো. আরিফ নামের ওই চালক বলেন, যাত্রীরা অল্প দূরত্বে মিটারে যেতে চান।তবে ১০-১৫ কিলোমিটার দূরত্বের গন্তব্যে যেতে চান না তাঁরা।লাভলেইন থেকে বিমানবন্দর মিটারে গেলে ভাড়া আড়াই শ টাকার মতো উঠবে।তাই ওই যাত্রী যেতে চাননি।মিটার কার্যকর করতে চাইলে কাছে-দূরে সব গন্তব্যেই মিটারে যেতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগরে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মিটার কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।কিন্তু এই ঘোষণা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।মিটারে অটোরিকশা চলাচল নিয়ে যাত্রী-চালকের ঝগড়া-বাদানুবাদ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।যাত্রীদের অভিযোগ, কাগজে-কলমে মিটার চালু হলেও পুলিশ এখনো তা কার্যকর করতে মাঠে নামেনি।অপর দিকে, অটোরিকশা চালকদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন বেশি দূরত্বে যাত্রীরাই মিটারে যেতে রাজি হন না।এ ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় না হলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আসবে না বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
নগরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ অটোরিকশায় মিটার সংযোজন ও নতুন করে নির্ধারিত হারে ভাড়া সমন্বয়ের (কেলিব্রেশন) কাজ শেষ হয়েছে।কিন্তু মিটারে বেশির ভাগ চালক কাছে-দূরে কোনো গন্তব্যেই যেতে রাজি হন না বলে যাত্রীদের অভিযোগ।যারা গন্তব্যে যেতে রাজি হন তাঁরাও ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া দাবি করেছেন।যাত্রীদের বিরুদ্ধে বেশি দূরত্বে মিটারে না যাওয়ার অভিযোগ আছে চালকদেরও।ফলে মিটার সংযোজনের সুফল পাচ্ছেন না চালক-যাত্রী কেউই।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ-উল হাসান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি থেকে মিটারে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়।কিন্তু অনেক অটোরিকশায় এখনো পর্যন্ত মিটার সংযোজন ও ভাড়া সমন্বয়ের কাজ শেষ হয়নি।সবগুলো অটোরিকশায় মিটার লাগানোর জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।এরপর মিটারে অটোরিকশাগুলো যাত্রী পরিবহন করছে কিনা তা দেখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানোর পরিকল্পনা আছে।’
মিটার সংযোজনের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান এস কে ট্রেডার্সের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রায় আড়াই হাজার অটোরিকশায় মিটার সংযোজন ও ভাড়া সমন্বয়ের কাজ শেষ করেছি।বেশির ভাগ অটোরিকশায় মিটার লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।’
গত বছরের মাঝামাঝি গ্যাসের দাম বাড়ানোয় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়াও পুনঃ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম দুই কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ৪০ টাকা, যা আগে ২৫ টাকা ছিল।প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া সাত টাকা ৬৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা করা হয়েছে।যানজট বা অন্য কোনো কারণে আটকে থাকলে প্রতি মিনিট বিরতির জন্য গুনতে হবে দুই টাকা করে, যা আগে ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা।
একইভাবে চালকদের জন্য দৈনিক জমার পরিমাণও বাড়িয়েছে বিআরটিএ।মালিকের জমা বাবদ এখন প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা করে দিতে হবে চালককে, এতদিন যার পরিমাণ ছিল ৬০০ টাকা।তবে এই নিয়ম কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় আছে যাত্রীদের মধ্যে।কারণ এর আগে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরের জন্য অটোরিকশার ভাড়া এবং মালিকদের দৈনিক জমার পরিমাণ ঠিক করে দিলেও তা কার্যকর করা যায়নি।
একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপক মো. আসিফ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাতালগঞ্জের বাসা থেকে আগ্রাবাদের কর্মস্থলে মিটারে গেলে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ভাড়া ওঠে।কিন্তু চালকেরা ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দাবি করে।এরপরও দর-কষাকষি করে ১২০ টাকায় যেতে পারি।কিন্তু ফেরার পথে ১৫০ টাকার নিচে কেউ আসতে চায় না।মিটারে গাড়ি চলাচলের কোনো সুফল যাত্রীরা পাচ্ছে বলে মনে হয় না।’
চট্টগ্রাম ফোরস্ট্রোক সিএনজি সাধারণ মালিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন যাত্রীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যেই কেবল যাত্রীরা মিটারে যেতে আগ্রহী।কিন্তু ভাড়া বেশি ওঠে বলে যানজট প্রবণ এলাকা ও দূরের গন্তব্যে যাত্রীরা যেতে আগ্রহী নয়।’
মো. মহিউদ্দিন আরও বলেন, ‘নগরের ভেতরে যেকোনো দূরত্বের গন্তব্যে চালকেরা মিটারে যেতে বাধ্য থাকবে।কোনো চালক মিটারে গাড়ি চালাতে অনাগ্রহ প্রকাশ করলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন করে সংশ্লিষ্ট যাত্রী অভিযোগ দিতে পারেন।’
অধিকাংশ চালক এখানো কোনো গন্তব্যেই কেন মিটার চালাতে চান না এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল চালক মো. রফিক আহমেদের কাছে।তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মালিকের জমা, গ্যাস ও নিজের খরচ বাদ দিয়ে ৬০০-৭০০ টাকা না থাকলে পরিবার নিয়া চলুম কেমনে? মিটারে চালাইলে আমাগো পোষায় না।যাত্রীরা ১০-২০ টাকা কইরা বাড়াইয়া দিলে আমাগো কষ্ট কম অয়।’
গণপরিবহণবাড়িয়েএনৈরাজ্যকমানোসম্ভব
অটোরিকশায়মিটারকার্যকরকরানিয়েপ্রথমআলোরমুখোমুখিহয়েছেনকনজ্যুমারসঅ্যাসোসিয়েশনঅববাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয়কমিটিরসহসভাপতিএসএমনাজেরহোসাইন।সাক্ষাৎকারনিয়েছেনসাঈদাইসলাম
প্রথম আলো: ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরে মিটারে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।বাস্তবে তার প্রতিফলন কতটুকু দেখছেন?
এস এম নাজের হোসাইন: কঠোর না হলে, সাধারণত কেউই আইন মানতে চান না।মিটারে চলাচল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যাত্রী, মালিক-চালক সবার সুবিধার কথা বিবেচনা করে।কিন্তু বেশিরভাগ চালকই তা মানছেন না।এগুলো দেখার কথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার।তারাও উদাসীন।প্রথম কয়েকদিন কোনো কোনো জায়গায় পুলিশের কিছু তৎপরতা দেখা গিয়েছিল।কিন্তু এখন আর সেটি চোখে পড়ে না।ফলে মিটার মিটারের জায়গায় রয়েছে, যাত্রীদের এখনো দর কষাকষি করে চলতে হচ্ছে।এ দেশের যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশা মালিক-চালকদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে।
প্রথম আলো: চালকদের অভিযোগ, অনেক যাত্রীও মিটারে যেতে আগ্রহী নন।
এস এম নাজের হোসাইন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি সত্য।এর প্রধান কারণ, আস্থার সংকট।কারণ সিএনজি অটোরিকশাগুলোতে যে মিটার বসানো হচ্ছে এগুলো পরীক্ষিত কী না এ নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে।যাত্রীদের অনেকের ধারণা, মিটার হয়তো টেম্পারিং করা হয়েছে।সে কারণে ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আসবে সন্দেহে অনেক যাত্রীও দর কষাকষি করে যেতে আগ্রহী।যাত্রীর আস্থা ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও কর্তৃপক্ষের বলে মনে করি।এ ছাড়া যানজটের বিষয়টিও অনেক যাত্রীর অনাগ্রহের কারণ হয়ে থাকতে পারে।
প্রথম আলো: অটোরিকশার ভাড়ার জন্য কী তাহলে মালিক-চালকদের এককভাবে দায়ী করবো আমরা?
এস এম নাজের হোসাইন: এককভাবে দায়ী বলবো না।তবে তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।আমরা যারা ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করছি, তারা অনেকদিন থেকেই গণপরিবহণ সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি।কিন্তু সরকারসহ কোনো কর্তৃপক্ষই এ দাবি কানে তুলছেন না।সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী প্রধানত এ দেশের মধ্যবিত্ত, কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।তাঁরা কাজের প্রয়োজনে এ বাহনটি ব্যবহার করে আসছে।গণপরিবহণ সুবিধা বাড়ানো হলে নিশ্চয়ই তাঁরাও এটি ব্যবহার করবেন।তখন অটোরিকশার ওপর নির্ভরশীলতা কিছুটা হলেও কমতো।
এ ছাড়া দেখা গেছে, একটি প্রতিষ্ঠানই এ দেশে অটোরিকশা আমদানির সুযোগ পাচ্ছে।ফলে একচেটিয়া ব্যবসা করার কারণে অটোরিকশার দামও দ্বিগুণ বেড়েছে।ফলে মালিক চালকের কাছ থেকে জমার টাকা নেওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে।আর চালক সেটি আদায় করছেন সাধারণ যাত্রীর কাছ থেকে।এ জন্য বিকল্প আমদানির ব্যবস্থা করাও খুব জরুরি বলে মনে করছি, যাতে কেউ কাউকে জিম্মি করতে না পারে।
এইদেলোয়ারসেইদেলোয়ার
আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার
ঘন কালো চুলের দেলোয়ারের ভাঙা গাল অনেকটাই আগের চেহারা ফিরে পেয়েছে এখন।থুতনির নিচে দাঁড়ি বড় হয়েছে খানিকটা।শংখলা প্রদেশের সেই ছবির সঙ্গে পাশাপাশি রাখলে চিনতে মোটেও সময় লাগে না।মৃত্যুভয় আর আতঙ্ক এখনো পুরোপুরি কাটেনি।তবু ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন দেলোয়ার হোসেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিসপাড়া গ্রামে দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি।গতকাল শনিবার সেখানে গেলে আবেগে জড়িয়ে ধরেন দেলোয়ারের লবণ চাষি বাবা ফরিদুল আলম।বলেন, ‘প্রথম আলোর জন্য ছেলেকে ফিরে পেয়েছি আমরা।’
গত ২৫ জানুয়ারি দেলোয়ার বাড়িতে ফেরার পর এক মাস ধরে সেখানে চলছে ঈদের আনন্দ।দেলোয়ারের বাবা জানান, পত্রিকার পাতায় ছবি ছাপা না হলে, গ্রামের লোকজন সেই ছবি এনে না দেখালে, তাঁরা ছেলেকে শনাক্ত করতে পারতেন না।খুঁজেও পেতেন না তাঁকে।
গত বছর ১০ মে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় থাইল্যান্ডের জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের ছবি ও খবর দেখে ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে শনাক্ত করেছিলেন তাঁর বাবা ফরিদুল আলম ও মা ফিরোজা বেগম।এরপর দীর্ঘ ১০ মাস ধরে ছেলের জন্য অপেক্ষা করেছেন মা।উত্তাল সমুদ্রে ছোট্ট নৌকায় ভেসে মালয়েশিয়ার পথে যাত্রা করা সেই ছেলে মায়ের বুকে ফিরেছে অবশেষে।
থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গত বছরের ৯ মে দেলোয়ারসহ উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের রাখা হয়েছিল শংখলা প্রদেশের রাত্তাফুম জেলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে।সেখানকার আশ্রয়কেন্দ্রের ছবি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছ থেকে পেয়ে ছেপেছিল প্রথম আলো।সারি করে মেঝেতে বসে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের পানি পান করাচ্ছিলেন একজন নিরাপত্তা রক্ষী।বসে থাকা লোকজনের মধ্যে ছিলেন দেলওয়ারও।শুষ্ক গাল, থুতনির নিচে হালকা দাঁড়ি।সে ছবি প্রকাশের পর গ্রামের লোকজন ঠিকই চিনেছিল ছেলেটিকে।১১ মে দেলোয়ারের মা-বাবা ছেলেকে শনাক্ত করেছেন, এই খবরও ছেপেছিল প্রথম আলো।এরপর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ছেলে ফিরে পাবার আবেদন জানান ফরিদুল আলম ও ফিরোজা বেগম।সে আবেদনে কাজ হয়েছে।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর মাধ্যমে দেলোয়ার দীর্ঘ ১০ মাস ১০ দিন পর বাড়ি ফিরেছে।
কী করে হারিয়ে গেল দেলোয়ার, ফিরেই বা এল কীভাবে? ১৯ বছরের দেলোয়ার হোসেনের চোখে-মুখে এখনো রাজ্যের ক্লান্তি।তিনি জানান, গত বছর ১৬ এপ্রিল বাবা মাকে না জানিয়ে দালালের সঙ্গে সে রওনা দেয় চট্টগ্রাম।চট্টগ্রাম থেকে ১৮ এপ্রিল তিনিসহ ১০ জনকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে পাঠানো হয় টেকনাফ।পথে দালালেরা সঙ্গে যা কিছু ছিল তার সবই ছিনিয়ে নেয়।
ভয়াল কাহিনিকেও হার মানায় দেলোয়ারের গল্প।২১ এপ্রিল টেকনাফ উপকূল থেকে তাঁদের তুলে দেওয়া হয় নৌকায়।এই নৌকা, সে নৌকা বদলে, দালালদের অত্যাচার সয়ে মিয়ানমার পৌঁছান তাঁরা।সেখান থেকে ঝড়-ঝঞ্ঝা অতিক্রম করে থাইল্যান্ডের উপকূলে।এর পর একটি স্পিড বোটে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হলো থাইল্যান্ডে।থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গলের বন্দী শিবিরে ঠাঁই হলো তাঁদের।এরপর ৫ মে সকালে খবর এল দালালদের গ্রেপ্তার করছে সেখানকার সেনাবাহিনী।
তখন দেলোয়ারসহ পাঁচজন মিলে হাঁটছিলেন অজানার পথে।৯ মে সকাল আটটায় পুলিশ তাঁদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার কর নিয়ে যায় শংখলা প্রদেশের রাত্তাফুম আশ্রয়কেন্দ্রে।স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ায় দেলওয়ার হাসপাতালে ছিলেন কয়েক দিন।এরপর সে দেশের আদালত অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দেলোয়ারকে চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২০ দিন কারাদণ্ড দেন।দেলোয়ারের টাকা ছিল না বিধায় ২০ দিন কারাভোগ করতে হয়।মুক্তির পর সাদাউ ইমিগ্রেশনে নেওয়া হয় দেলোয়ারকে।সেখান থেকে দুই দিন পর প্রায় ২০ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে পাঠানো হয় পাঙ্গানো ইমিগ্রেশন সেন্টারে।সেখানে দেলোয়ারকে প্রায় আট মাস ফেলে রাখা হয়।
দেলোয়ার জানান, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর তাঁকে আনা হয় ব্যাংকক।দুই দিন পর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা দেলোয়ারের সঙ্গে কথা বলেন।১৭ দিন পর আইওএম এর লোকজন এসে তথ্য যাচাই করেন।আইওএম এর তত্ত্বাবধানে ৪৫ দিন থাকার পর বিশেষ বিমানে দেলোয়ারকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।গত ২৫ জানুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন তিনি।
ক্লান্ত শ্রান্ত দেলোয়ারের বেশিরভাগ সময় এখন বিশ্রামে কাটে।নিজের কথা শেষ করে আবারও বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন তিনি।তার আগে হাত ধরে বললেন, ‘আমি সত্যি ফিরতে পেরে প্রথম আলোর কাছে কৃতজ্ঞ।’
জুতার গুদামে আগুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরের স্টেশন রোড এলাকায় নূপুর মার্কেটের তিন তলায় অবস্থিত একটি জুতার গুদাম আগুনে পুড়ে গেছে।গতকাল শনিবার দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইয়াহিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে গতকাল বেলা ১টার দিকে পারফেক্ট বাজারের জুতার গুদামে আগুন লাগে।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেল চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।আগুনে গুদামের প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
রিহ্যাবমেলারশেষদিনআজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কারও হাতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগসহ একেবারে প্রস্তুত ফ্ল্যাটের পুস্তিকা।কারও হাতে আছে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট।কেউবা আগাম গ্রাহক ধরতে সদ্য অনুমোদন পাওয়া প্রকল্প তুলে ধরছেন গ্রাহকের কাছে।রেডিসন ব্লু হোটেলে রিহ্যাব মেলার তৃতীয় দিনে স্টলে স্টলে দেখা গেছে এ চিত্র।আজ রোববার শেষ হচ্ছে চার দিনের এ মেলা।প্রথম দিন খুব ভিড় না থাকলেও গত শুক্রবার মেলায় গ্রাহকদের সাড়া ছিল বেশি।তৃতীয় দিন শেষে গতকাল শনিবার রিহ্যাব নেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মেলায় সাড়া পাওয়া গেছে বেশি।
মেলার আয়োজক রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব এর সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান এস এম আবু সুফিয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবারের মেলায় ২০০ কোটি টাকার প্লট-ফ্ল্যাট বিক্রির অঙ্গীকার পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম।গত তিন দিনে মেলায় গ্রাহকদের সাড়া আমাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।গ্রাহকেরা প্রকল্পের খুঁটিনাটি জানতে চাইছেন।’
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো তিন ধরনের প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে।গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে গত এক-দেড় বছরে ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা প্রকল্প তুলে ধরেছেন তাঁরা।আবার প্রস্তুত প্রকল্পে যেসব ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি সেগুলো প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে বেশি।চলমান প্রকল্পগুলোও গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরছেন তাঁরা।
রিহ্যাব সূত্রে জানা গেছে, মেলায় অংশ নেওয়া ৫৩টি প্রতিষ্ঠান এবার ২০৮টি চলমান প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে।চট্টগ্রামে মেলা হলেও চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকার প্রকল্পেরও প্রচারণা চলছে মেলায়।এ ছাড়া জেলার বাইরে কক্সবাজারেও নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে চট্টগ্রামের অনেক আবাসন কোম্পানি।সেগুলোরও প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁরা।চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা ও কক্সবাজারে হাতে নেওয়া এ ধরনের প্রকল্পের সংখ্যা ১০৬টি।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, স্টলগুলোতে আবাসন কোম্পানির কর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন, ফ্ল্যাট কেনার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এখন।কারণ গত দেড় বছরে ফ্ল্যাটের দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।আবার কিছুসংখ্যক প্রস্তুত ফ্ল্যাটে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে।চাহিদা বাড়তে থাকায় ফ্ল্যাটের দাম আর কমার সম্ভাবনা নেই বলেও তাঁরা আভাস দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরের রেডিসন ব্লু হোটেলে এ মেলা শুরু হয়।মেলায় ৫৩টি আবাসন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ১২টি নির্মাণ উপকরণ তৈরি ও বিক্রির প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।এ ছাড়া তিনটি ব্যাংক ও চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।মেলায় একবার প্রবেশের টিকিট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।একাধিকবার প্রবেশের জন্য ১০০ টাকার টিকিট নির্ধারণ করা হয়েছে।
মহেশখালীইউনিয়নপরিষদনির্বাচন
আচরণবিধিকেবলকাগজেই
মহেশখালীপাঁচইউনিয়নের চেয়ারম্যানপ্রার্থীনির্বাচনীআচরণবিধিভেঙেবেরকরেছেনমটরশোভাযাত্রা
রুহুল বয়ান, মহেশখালী
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিউন পরিষদের পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।এই পাঁচ চেয়ারম্যানপ্রার্থীই আওয়ামী লীগের সদস্য।১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন ঘোষণার তাঁরা নিজেদের সমর্থকদের নিয়ে মোটর শোভাযাত্রা করেন।অথচ ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এমন শোভাযাত্রা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপের সারা দেশে ৭৫২টি ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।তার মধ্যে প্রথমে ধাপে মহেশখালী উপজেলার সাতটি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।ভোট গ্রাহণের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ২২ মার্চ।
দলীয় নেতা কর্মী ও এলাকাবাসী জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন ঘোষণা করার পর গাড়িবহর নিয়ে এলাকায় যান কালারমারছড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী।অবশ্য ২২ েফব্রুয়ারি কেন্দ্র থেকে সেলিমের দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন করে তারেক বিন ওচসমান শরীফকে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যানপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে।২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন সেলিমের মনোনয়ন বাতিল করে।তবে তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বলে জানান।
২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গাড়িবহর নিয়ে এলাকায় শোভাযাত্রা করেন হোয়ানক ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ জিহাদ বিন আলী ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় মহেশখালী জেটিঘাট এলাকা থেকে সমর্থকদের নিয়ে মোটর শোভাযাত্রা করেন।এসময় জিহাদ ঠেলা গাড়ির ওপর বসানো নৌকায় চড়ে বসেন।তার সামনে ও পেছনে অন্তত ৫০টি মোটরসাইকেল, ৪০টি টমটম ও পাঁচটি মাহেন্দ্র গাড়িতে কয়েকশ নেতা-কর্মী ও সমর্থক ছিলেন।
সেই দিন বিকেল মহেশখালী জেটিঘাট ঘাট থেকে বড় মহেশখালীর চেয়ারম্যানপদ প্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশাহ।জেটিঘাট থেকে শরীফ বাদশাহ খোলা একটি মাইক্রোবাসে চড়ে মোটর শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন।এ সময় তাঁর গাড়ির পেছনে ছিল ১০০ মাহেন্দ্র গাড়ি, ৫০টি জিপ, ২০টি টম ও ৩০টি মোটরসাইকেল।আর গাড়িবহর নিয়ে শরীফ বাদশাহ পৌর এলাকার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় ডেইল নিজ গ্রামে পৌঁছান।এ সময় সড়কে যানজটে কবলে পড়ে দুর্ভোগে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ।সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গাড়িবহর নিয়ে শোভাযাত্রা করে এলাকায় যান মাতারবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যানপ্রার্থী এনামূল হক চৌধুরী।
জানতে চাইলে ইউপি নির্বাচনের উপজেলা সমন্বয়কারী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌ-যান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল এবং শোভাযাত্রাসহ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।এরপরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশাহ, মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল, এনামূল হক চৌধুরী ও মোহাম্মদ জিহাদ বিন আলী বিভিন্ন যানবাহন ও প্রতীক নিয়ে শোভাযাত্রা করেছে বলে শুনেছি।এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে চারপ্রার্থীকে মুঠোফোনের মাধ্যমে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, পরবর্তীতে কোনো প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ জিহাদ বিন আলী বলেন, নৌকার প্রতীক পাওয়ায় জনগণ খুশি হয়ে আমাকে সংবর্ধিত করেছে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত আচরণবিধি সম্বন্ধে তাঁর কোনো ধারণা নেই।তাই সামনে আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হবে।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশাহ বলেন, জনগণকে গাড়িবহর নিয়ে জেটি ঘাটে আমাকে সংবর্ধিত করেছে।এতে কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়নি।
তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন হোয়ানক ইউপি নির্বাচনের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল, মাতারবাড়ি ইউপি নির্বাচনের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানপ্রার্থী এনামূল হক চৌধুরী ও কালারমারছড়া ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যানপদ প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী।
সংস্কৃতিসংবাদ
শততমমঞ্চায়নে ‘বুড়সালিকেরঘাড়েরোঁ’
আমার চট্টগ্রাম প্রতিবেদক
জোতদার ভক্তপ্রসাদ একাধারে লম্পট, কৃপণ ও নিষ্ঠুর।কৃষক-রায়তদের শোষণ করে অঢেল অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়েছে সে।ভক্তপ্রসাদের ধর্মে ভক্তিও নিছক লোক দেখানো।ভণ্ড এই সমাজপতিকে জব্দ করার উপায় কী? ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’—প্রহসনে মাইকেল মধুসূদন দত্ত সে উপায়েরই সন্ধান দিয়েছেন।কালজয়ী এই প্রহসনের শততম মঞ্চায়নে মাইকেলের সাহিত্য প্রতিভার সঙ্গে আরেকবার সাক্ষাৎ ঘটল দর্শকের।আর শততম মঞ্চায়নের মাধ্যমে এই প্রহসনকে অন্য এই উচ্চতায় নিয়ে গেল তির্যক নাট্যদল।
‘নাট্যভাষা বাংলা আমার’ শিরোনামে তির্যকের তিন দিনব্যাপী নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২০ ফেব্রুয়ারি থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মঞ্চে (টিআইসি) মঞ্চায়ন হয় এই প্রহসনের।মঞ্চায়নের আগে টিআইসিতে মাইকেলের এই অমর সৃষ্টি নিয়ে ছিল আলোচনা পর্ব।নাটকটির নির্দেশক আহমেদ ইকবাল হায়দার ও অভিনেতা সুজিত চত্রবর্তী অংশ নিয়েছেন এর প্রতিটি মঞ্চায়নে।এ কারণে এই দিন তাঁদের বিশেষভাবে সম্মাননা জানান নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী।নাটকের আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক লায়লা জামান ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন।সন্ধ্যা ছয়টায় টিআইসির মূল মঞ্চে দর্শক উপভোগ করেন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে বাংলার সমাজচিত্রের এই আখ্যান।সময়ের চাকা সামনের দিকে এগিয়ে গেলেও ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ যে আজও প্রাসঙ্গিক, সে উপলব্ধি সঞ্চারিত হয় দর্শকদের মধ্যে।নাটকে অভিনয় করেছেন রমিজ আহমেদ, সুজিত চক্রবর্তী, মাহাববুল ইসলাম, রিপন বড়ুয়া, অমিত চক্রবর্তী, এ কে এম ইসমাইল, লাবনী বিশ্বাস, রোকসানা আক্তার, তন্বী চৌধুরী, মফিজুর রহমান, কাবেরী গুহ, জয়া বড়ুয়া, মানিক মিয়া, মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন ও আহমেদ ইকবাল হায়দার।
এর আগের দিন ১৯ ফব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নগরের টিআইসিতে পর্দা ওঠে তির্যকের একুশ স্মরণে তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের।উৎসবে নাটকের পাশাপাশি ছিল নাট্য বিষয়ক প্রদর্শনী, বিষয়ভিত্তিক কথামালা, সম্মাননা জ্ঞাপন, আবৃত্তি, নাচ ও গান।উৎসব উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।এই সময় কথামালা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তির্যক নাট্যদলের সভাপতি আহমেদ ইকবাল হায়দার।উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে তির্যক নাট্যদলের নাট্যকর্মীরা।
কথামালার পর উৎসবে নাচ পরিবেশন করে দর্শক মাতান গুরুকুলের নৃত্য বিভাগের শিল্পীরা।নৃত্য পরিচালনা করেন গার্গি মজুমদার।নাচের পরে আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসানের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘চিরকালের প্রমিথিউস’ শিরোনামের বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের শিল্পীরা।প্রমার আবৃত্তির পর টিআইসির গ্যালারিতে তির্যক নাট্যদলের ৪১ বছরের নাট্য আন্দোলন নিয়ে নাট্যস্মারক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।এরপরেই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এর ৯৯তম প্রদর্শনী।
উৎসবের শেষদিন ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল এগারোটায় টিআইসি মুক্তমঞ্চে জাগরণের গান পরিবেশন করে সৃজামি সাংস্কৃতিক অঙ্গন।এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করে নরেন আবৃত্তি একাডেমি।দ্বিতীয় পর্বে বিকেল পাঁচটায় মুক্তমঞ্চে আবৃত্তি পরিবেশন করে স্বরনন্দন প্রমিত বাংলা চর্চা কেন্দ্র।এরপর প্রীতি বিতর্কে অংশ নেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সদস্যরা।
সংস্কৃতিসংবাদ
তারুণ্যেরউচ্ছ্বাসেরআবৃত্তিসন্ধ্যা
আমার চট্টগ্রাম প্রতিবেদক
কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি - কবি মাহবুব আলম চৌধুরীর এই কবিতার বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশনার মাধ্যমেই শুরু হয় তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের চিরদিনের কবিতা শিরোনামের মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন।২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চেরাগি পাহাড় চত্বরে তরুণ শিল্পীদের এই আবৃত্তি যেন উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেল বায়ান্নর সেই রক্ত ঝরা দিনগুলোতে।দুই ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে ছিল একক, দ্বৈত, দলীয় আবৃত্তি ও কথামালা।
সেজঁুতি দের সঞ্চালনায় একুশের কথামালায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ রীতা দত্ত, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, অধ্যাপক হোসাইন কবির, বারভিডার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী ও আবৃত্তিশিল্পী মুজাহিদুল ইসলাম।কথামালায় সভাপতিত্ব করেন কবি ভাগ্যধন বড়ুয়া।
কথামালার পর সংগঠনের সদস্যরা পরিবেশন করেন একক আবৃত্তি।কবি সৃজন সেনের ‘মাতৃভূমির জন্য’ কবিতা আবৃত্তি করে সুস্মিতা দত্ত, দাউদ হায়দারের ‘একুশ’ আবৃত্তি করেন আরমান হাফিজ, শিশুশিল্পী আনিকা মারজান আবৃত্তি করে কবি মাশুক চৌধুরীর ‘শহীদ মিনারের চূড়া’, মৃত্তিকা সাজী আবৃত্তি করে শাহাবুদ্দীন নাগরীর ‘বেদিতে দাঁড়িয়ে আছি’ কবিতাটি।এ ছাড়া আবৃত্তি করে ইসরাত জাহান, অপি দেবী, আল হাদী আকন, রাজমনী সেন।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের শিল্পীদের পরিবেশনার পর মঞ্চে আসেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা।এই সময় আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী রণজিৎ রক্ষিত, অঞ্চল চৌধুরী, মিলি চৌধুরী, মশরুর হোসেন, দিলরুবা খানম, অবসর সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সঞ্জিত আলম, বোধন আবৃত্তি পরিষদের তাপস দাশ, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের এ.এস.এম এরফান, শামীমা ইয়াসমিন, ত্রিতরঙ্গ আবৃত্তি দলের জাহিদ অয়ন, শব্দনোঙর আবৃত্তি সংগঠনের বর্ষা চৌধুরী, চট্টগ্রামবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের কণা দাশ, স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের সেলিম ভূইয়া, শৈশব বাচিক চর্চা কেন্দ্রের সুমি চৌধুরী ও স্বপ্নযাত্রীর অনিক অভ্র।সবশেষ আবদুল গাফফার চৌধুরীর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটি কবিতার মতো করে বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের শিল্পীরা।
সংস্কৃতিসংবাদ
নবীনের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত
আমার চট্টগ্রাম প্রতিবেদক
২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটা।নবীন সংগীত শিল্পী শমী সুহৃদ দরাজ গলায় গাইছিলেন ‘আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ’।তাঁর সুর মূর্ছনা মুগ্ধতার আবেশ ছড়াল ফুলকির এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে।সুহৃদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এই ফুলকিতেই।এরপর যোগ দিয়েছেন এখানকারই সংগীত দল রক্তকরবীতে।মাঝে উচ্চ শিক্ষার জন্য গেছেন দেশের বাইরে।এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আবার গানের কাছে, শৈশবের বিদ্যাপীঠের কাছেই যেন ফিরে আসা।
আয়োজনটি ছিল রক্তকরবীর নবীন শিল্পীদের নিয়ে।তাঁদের কণ্ঠসুধা দর্শকদের গভীর নিমজ্জনের আনন্দ দিয়েছে।বাড়তি পাওয়া ছিল আবৃত্তি শিল্পী উদয় শংকর দাশ ও রুবিনা আক্তারের আবৃত্তি।
শুরুতেই ছিল আবৃত্তিশিল্পী উদয় শংকর দাশের পরিবেশনা।তিনি আবৃত্তি করে শোনান ‘হঠাৎ দেখা’, ‘আফ্রিকা’ ও ‘কৃষ্ণকলি’।রবীন্দ্রনাথের এই তিন পাঠকপ্রিয় কবিতা বারংবার পঠনে ও শ্রবণে নতুন হয়ে ওঠে।উদয় শংকরের আবৃত্তি দর্শককে আবারও সেই উপলব্ধি এনে দিল।
উদয়ের পর গান শুরু করেন শমী সুহৃদ। ‘আমার এই পথ চাওয়াতে আনন্দ’ এই গান দিয়ে শুরু করে একে একে গাইলেন ‘তিমির অবগুণ্ঠন’, ‘প্রথম আদি তব’ ‘শান্তি কর বরিষন’সহ বেশ কয়েকটি গান।নবীন এই শিল্পী অনেক দূর যাবেন, গানে গানে যেন এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন শ্রোতাদের।
এর পর গাইলেন আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পী শান্তা গুহ। ‘সার্থক জনম আমার’, ‘পুরোনো জানিয়া চেও না’, ‘হারমানা হার’, ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’ ও ‘যেতে যেতে চাই না যেতে’ শিরোনামের গানগুলো শুনিয়ে তিনিও মুগ্ধ করলেন দর্শককে।
পেশাদার আবৃত্তিশিল্পী বলতে যা বোঝায় রুবিনা আক্তার তা নন।পেশায় শিক্ষিকা রুবিনা কবিতা পড়েন মনের আনন্দে, ভালোবেসে।তবে মঞ্চে উঠে ঠিকই দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করলেন তিনি। ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ ও ‘প্রশ্ন’ কবিতা শুনিয়ে আবেগে ভাসালেন সবাইকে।অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জিনাত ইসলামের বৈঠকি উপস্থাপনা ।
পটিয়াপৌরসভামেয়রেরদায়িত্বগ্রহণ
পটিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হারুনুর রশিদ ২৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।এ সময় তাঁর সঙ্গে নির্বাচিত সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় পৌরসভা কার্যালয় চত্বরে সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকেয়া পারভীন, সাবেক সাংসদ চেমন আরা তৈয়ব, পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হোসেন।
তরুণদের নজরকাড়া উদ্ভাবন
মুজিবুল হক
চোখের ইশারায় চলবে হুইল চেয়ার।সামনে কোন প্রতিবন্ধকতা পেলে দশ ইঞ্চি দূরত্বে নিজে থেকে থেমে যাবে।আবার ইশরায় চলতে শুরু করবে।কিন্তু কীভাবে সম্ভব? ইউএসটিসি-র তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র গিয়াস উদ্দীন ও প্রিয়ম দাশ দিলেন এই সমস্যার সমাধান।ইমেজ প্রসেসিং ও ওয়েবক্যাম কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র মাথা অথবা চোখের ইশারায় কাজ করতে পারে এই হুইলচেয়ার।তাঁদের তৈরি করা এই হুইল চেয়ার পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী কিংবা জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যেকোন মানুষের কষ্ট লাঘবে সহযোগিতা করবে।
গিয়াস আর প্রিয়মের এই প্রকল্পটির নাম ‘প্রতিবন্ধীবান্ধব স্বংয়ক্রিয় হুইলচেয়ার’।নগরের কাজির দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামে ২৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রদর্শিত হয় প্রকল্পটি।প্রতিবন্ধীবান্ধক হুইল চেয়ারের মতো নানা উদ্ভাবনী দিয়ে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন মেলায় অংশ নেওয়া তরুণ বিজ্ঞানীরা।এতে চট্টগ্রাম ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৬০টি স্টল ছিল মেলায়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে একসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) প্রোগাম।মেলায় শিক্ষার্থীদের প্রকল্পের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান, উপজেলা তথ্য কেন্দ্র, টেলি কমিউনেকেশন, এনজিও, কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান, ফিল্যান্সার জোন ও গেমিং অংশ নেয়।এ ছাড়াও বিটিএসএল, বাংলাদেশ রোড টান্সপোর্ট, শিক্ষাঙ্গন ডট কম, সিডিএ, ওয়াসা, ভূমি অফিস, জেলা তথ্য কেন্দ্র, জেলা কারাগার, ফায়ার সাভির্স, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কর্মসংস্থান জনশক্তি, সির্ভিল সার্জন ও মেট্রোপলিটন পুলিশও নিজেদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে স্টল দিয়েছে।মেলার পাশাপাশি মাঠে প্রতিদিন চেলছে আলোচনা সভা, সেমিনার, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মেলায় প্রতিদিনই নানা বয়সের লোকজন এসেছেন বলে জানান উদ্যোক্তারা।তবে সকালের চেয়ে বিকেলেই জনসমাগম বেশি হয়েছে।মেলায় আরেকটি নজরকাড়া প্রকল্প ছিল ‘স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপক রোবট’।এটির উদ্ভাবক চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের তিন শিক্ষার্থী মো. ইসমাইল হোসেন, মামুন হোসেন ও সজীব হোসেন।ঘরে বা কারখানায় যেখানেই আগুন লাগুক স্বংয়ক্রিয় পদ্ধতিতে গিয়ে হাজির হবে রোবট এবং সে নিজেই আগুন নিভানোর কাজ শুরু করবে।একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকা সেন্সরের মাধ্যমে রোবট হাজির হয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভাবে।এইটি রিমোর্ট কন্টোলের মাধ্যমেও করা যাবে বলে জানায় ইসমাইল হোসেন।
বাংলাদেশ কোরিয়ান কারিগরি প্রশিক্ষণের মইন উদ্দিন তৈরি করেছে ‘রেলওয়ে গেইট কন্টোল সিস্টেম।এই সিস্টেম ব্যবহার করলে ট্রেন আসার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সড়কসমূহ বন্ধ হয়ে যাবে।ট্রেন কতদূরে অবস্থান করছে সেটা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারের কাছে মোবাইল খুদেবার্তার(এসএমএস) পৌঁছে যাবে।যেখানে মানুষ ও গাড়ি যেতে পারবে না।
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার (আইসিটি) আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেন, ‘২০১০সাল থেকে আমরা এই মেলার আয়োজন করে আসছি।এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে উদ্ভাবনী প্রকল্পকে উৎসাহিত করা।সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ককে উন্নয়ন ঘটনো।সময় ও খরচ বাঁচানোর লক্ষ্যে এই মেলায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলোর স্টল রয়েছে।এসবের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা তথ্যসেবা সর্ম্পকে জানতে পারবে।নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা ও তাদের আবিস্কারগুলো তুলে ধরাই এই মেলার লক্ষ্য।’
আজকেরপুষ্টিকথা
ডায়বেটিসরোগীদেরসহায়মাশরুম
হাসিনা আকতার
মাশরুম অতি সুস্বাদু একটি খাবার।চীন, জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি বহুকাল ধরেই জনপ্রিয়।পরিবার পরিজন নিয়ে খাবারের জন্য মাশরুম সংগ্রহ করা সেখানকার রেওয়াজ।আমাদের দেশেও ইদানীং জনপ্রিয় হচ্ছে এই সবজি।তিন থেকে চার ধরনের মাশরুম চাষও হচ্ছে।এসবের মধ্যে ওয়েস্টার ও মিল্কি হোয়াট বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
মাশরুমে প্রচুর খনিজ উপাদান ও অাঁশ থাকে এবং এটিতে শর্করা ও চর্বির পরিমাণও খুব কম।তাই মাশরুম ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী।তা ছাড়া এই খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে মজবুত করে।
মাশরুম অনেকভাবে খাওয়া যায়।মাছ-মাংস, সবজি, স্যুপ, ওমলেটের পাশাপাশি পিৎজা, নুডলস, চপ, সমুচা ও বার্গারের সঙ্গেও মাশরুম খাওয়া যায়।ওয়েস্টার মাশরুম হালকা ভাপে সেদ্ধ করে টেম্পুরা বা বেসনে ডুবিয়ে তেলে ভেজে দিলে শিশুরা বেশ পছন্দ করবে।
মাশরুমে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও মিনারেলের এমন সমন্বয় আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে মজবুত করে।এতে আছে শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভস্টনিন এবং এনটাডেনিন।তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।মাশরুমে আছে বিটা-ডি, গ্লুকেন ল্যাম্পাট্রোল যা ক্যানসার ও টিউমার প্রতিরোধ করে।আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও লৌহ যা গর্ভবতী নারী ও শিশুর জন্য আদর্শ খাদ্য।মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে সালফার সরবরাহকারী অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকায় এটি নিয়মিত খেলে চুল পাকা ও পড়া রোধ করে।এতে নিউক্লিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি অ্যালার্জেন থাকায় কিডনি রোগ ও অ্যালার্জি রোগের প্রতিরোধ করে।মাশরুমে আছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম যা হজমে সহায়ক।এতে প্রচুর গ্লাইকোজেন থাকাতে শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে।পাশাপাশি নিয়াসিন এবং প্যান্টোথ্যানিক অ্যাসিড থাকায় এটি হাত পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
সবচেয়ে বড় কথা ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এটি।পাশাপাশি রক্তের চর্বি কমায় বলে মাশরুম হতে পারে একটি আদর্শ পথ্য।
লেখক: প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
লোহাগাড়ায়বালাইব্যবস্থাপনাক্লাবউদ্বোধন
লোহাগাড়া প্রতিনিধি
সরকার বিষমুক্ত সবজি চাষে উৎসাহিত করতে দেশের প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের নিয়ে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ক্লাব চালু করছে।যেখানে কৃষকেরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষমুক্ত ধান ও সবজি উৎপাদনে সহায়তা পাবেন।এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নাওঘাটা এলাকায় আইপিএম ক্লাব এবং ই-কৃষি অফিস ২৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সাঁচি মিয়া।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী।বিশেষ অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম , ইউপি সদস্য আলী নেওয়াজ , মো. বেলাল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইপিএম ক্লাবের সভাপতি ইউনুছ বাহাদুর।
সভায় বক্তারা বলেন, পদুয়ার এ আইপিএম ক্লাবে বর্তমানে ৩৩ জন কৃষক সদস্য হিসেবে আছেন।এদের প্রত্যেককে ধানসহ শাক সবজি উৎপাদনে অনলাইনে পরামর্শ প্রদান করা হবে।অনুষ্ঠানে নাওঘাটা আইপিএম ক্লাবকে ল্যাপটপ, জেনারেটর, কম্পিউটার স্ক্যানার, স্মার্ট ফোনসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ইলেকট্রনিকস পণ্য দেওয়া হয়।
সমন্বয়কমিটিতেএতনেতা!
পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সমন্বয় কমিটিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আরও ৪৬ জন নেতা-কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো।এ নিয়ে সমন্বয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানায়, সর্বশেষ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকারের কাছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ইদ্রিচ মিয়া তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীদের উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি চিঠি দেন।
এতে বিলুপ্ত উপজেলা কমিটির সহ সম্পাদক এ কে এম জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রচার সম্পাদক নুরুল হক মেম্বার, অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ দৌলতী, মোহাম্মদ শফিউল আলম চৌধুরী, নাছির উদ্দিনসহ ৪২ জন এবং কবিয়াল ইউসুফ, দুল্লা রহিম সওদাগরসহ পৌরসভা কমিিটর চারজনসহ ৪৬ নেতা-কর্মীর নামের তালিকা দেন।
ইদ্রিচ মিয়া জানান, তাঁর চিঠির প্রেক্ষিতে গোলাম আকবর খন্দকার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ শাহজাহানকে তালিকা থেকে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ছিল তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তির অনুরোধ করেন।১৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ জেলা কমিটি তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়।
দলীয় সূত্রে জানায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সভায় মেয়াদ উত্তীর্ণ পটিয়া উপজেলা কমিটিসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সকল উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে উপজেলা ও পৌরসভার সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে কমিটি বিলুপ্তির চিঠিটি আসে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
এরপর দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ শাহজাহানের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের জন্য ৩১ জনের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।পরের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি আরও একটি চিঠি পাওয়ার পর আরও ৩১ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।ইদ্রিচ মিয়ার চিঠির পর তৃতীয় দফায় আরও ৪৬ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।বর্তমানে সমন্বয় কমিটির সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সর্বমোট ১০৮জনে।
এ প্রসঙ্গে বিলুপ্ত উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত নেতা-কর্মী দিয়ে সমন্বয় কমিটি হতে পারে না।তা হলে সমন্বয় করবে কে? ’
মহেশখালীপৌরভবন
একবছরেরনির্মাণকাজনয়বছরেওশেষহয়নি
মহেশখালী প্রতিনিধি
সাড়ে নয় বছর ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার ভবনের নির্মাণের কাজ।অথচ ওই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল ২০০৬ সালের জুন মাসে।ভবন অসমাপ্ত রেখে টাকাও তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করেছে।
মহেশখালী পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের জুলাই মাসে গোরকঘাটা ইউনিয়নকে বিলুপ্ত করে পৌরসভা উন্নীত করা হয়।এরপর ২০০৫ সালে এক কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন পৌর ভবন নির্মাণের জন্য কাজ শুরু হয়।নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স লাকি ট্রেডার্স।কার্যাদেশ অনুযায়ী, ২০০৬ সালের জুনে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই তলা বিশিষ্ট অসমাপ্ত ভবনের সিমেন্টের পলেস্তারা করা হয়নি।নেই কোনো দরজা, জানালা।সিমেন্টের আবরণ না থাকায় খুলে আসছে ইট।বর্তমানে ওই ভবনের আধা কিলোমিটার দূরে উপজেলা পরিষদের একটি দুইতলা ভবনে অস্থায়ীভাবে পৌরসভার কার্যক্রম চলছে।
পৌরসভার কাউন্সিলর খাইর হোসেন বলেন, স্থায়ী ভবন না থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানও করা কঠিন হয়ে উঠেছে।স্থায়ী ভবন হলে তথ্য সংরক্ষণসহ নানা কাজ আরও সহজ হতো।
পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী সাইদুল আলম বলেন, মেসার্স লাকি ট্রেডার্সের ঠিকাদার আব্দুল মতিন পৌর ভবন নির্মাণের সময় বরাদ্দের এক কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন।এরপর নির্মাণকাজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ২০০৯ সালের আগস্টে তিনি অতিরিক্ত আরও ১৬ লাখ তোলেন।সব মিলিয়ে এক কোটি ছয় লাখ টাকা তিনি তুলেছেন।এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারসহ জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দুদকে মামলা করেন।বর্তমান মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
জানকে চাইলে পৌরসভার সচিব মোহাম্মদ নেজামূল হক বলেন, পৌর ভবনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার বিষয়ে অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু সাড়া মেলেনি।
মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া বলেন, কাজ শেষ না করে পুরো টাকাই তুলে নিয়ে গেছেন ঠিকাদার।এ নিয়ে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তিন বছর আগে দুর্নীত দমন কমিশনে আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি।এ নিয়ে মামলাও হয়েছে।বর্তমানে চট্টগ্রামে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ঠিকাদার আব্দুল মতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত টাকা তুলে নেইনি।বরং যে কাজ করেছি তারও বিল পাইনি।ভবনের নব্বই শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।বরাদ্দের অভাবে ১০ ভাগ কাজ শেষ করা যায়নি।’
তরমুজখেতেরোগহতাশচাষিরা
আনোয়ারা প্রতিনিধি
মরে যাচ্ছে তরমুজের চারা, দেখা দিয়েছে পাতা ঝরা, লতা ফাটা ও পাতা পচা রোগ।ফলন আসতে শুরু করলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় তা কম।পাশাপাশি ফলের আকারও ছোট।চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় তরমুজ খেতজুড়েই দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য।ফলে তরমুজের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার ছয় হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।এলাকার প্রায় দুই শ চাষি তরমুজ চাষের সঙ্গে যুক্ত।ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত খেত থেকে তরমুজ তোলা হয়।
চাষিদের ধারণা খাল দিয়ে ঢোকা লোনা পানির কারণে মাটি লবণাক্ত হয়ে পড়ায় তরমুজ চাষের এই হাল হয়েছে।কৃষি বিভাগ বলছে দীর্ঘদিন ধরে একই জমিতে একই ফসলের চাষ, সময় মতো সেচ দিতে না পারায় ও যথযথ নিয়ম অনুসরণ করে সার প্রয়োগ না করায় তরমুজ খেতে রোগ দেখা দিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে লাভের আশা বাদ দিয়েছেন অনেক কৃষক।চাষের খরচ তুলে আনতে পারবেন কিনা, এমন চিন্তায় কাটছে তাঁদের দিন।
সম্প্রতি ফুলতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।মরা পাতা ও রোগাক্রান্ত তরমুজ তুলে ফেলে দিচ্ছেন তাঁরা।এ সময় কথা হয় চাষি মো. আমিরের (৪৩) সঙ্গে।প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমি ৫০ শতক জমিতে তরমুজের চাষ করেছি।প্রথম দিকে চারা ঠিকমতো বড় হয়েছিল।তবে এখন চারা মরে যাচ্ছে।আর কিছু কিছু ফলন এলেও ফল ছোট।’
তিনি আরও বলেন, ফুলতলী এলাকায় দুই শ জন চাষি তরমুজ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।তরমুজ উৎপাদনের জন্য এ জায়গা সেরা হলেও এখন খারাপ সময় যাচ্ছে।
রায়পুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাস চন্দ্র ধর বলেন, ‘২৩ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে রায়পুর ইউনিয়নের ফুলতরীতে গিয়ে তরমুজ খেতে রোগের প্রকোপ দেখেছি।সার ও সেচের সমস্যার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে একই জিমতে তরমুজ চাষ করার কারণেও জমির উর্বরতা কমে গেছে।’
তবে অনেক চাষির ধারণা জমিতে লোনা পানি প্রবেশ করায় উর্বরতা কমেছে বলে তরমুজের ফলন হয়নি ঠিক মতো।আহমদ ছফা (৪৯) নামের এক চাষি বলেন, গেল বছর বন্যার সময় বেড়িবাঁধ দিয়ে জমিতে লোনা পানি প্রবেশ করায় মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়েছে।তাই এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়নি।
চাষিরা জানান, এক কানি জমিতে তরমুজ চাষ করতে খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা।লাভ থাকে এক লাখ টাকার মতো।কিন্তু এ বছর লাভ দূরে থাক খরচ তুলতে পারবেন কিনা সেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একরাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আনোয়ারা উপকূলে উৎপাদিত তরমুজ খুব সুস্বাদু।কেন ফলন কম হচ্ছে এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে।ফলন বাড়াতে কৃষকদের পরামর্শও দেওয়া হবে।
চকরিয়াউপজেলাস্বাস্থ্যকমপ্লেক্সেসনাকওটিআইবিরমতবিনিময়সভা
চকরিয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম বলেছেন, ‘সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে মানুষকে সেবা দেওয়া আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
যদি কোনো চিকিৎসক, সেবিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং অনৈতিক সুবিধা চান তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ক্ষেত্রে ঢিলেমির সুযোগ নেই।’ গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
টিআইবি’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সনাক সদস্য মোহাব্বত চৌধুরী।এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ ছাবের, চিকিৎসক মোহাম্মুদুল হক, মো. খালেদ হোসেন, জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ তোফায়েল উদ্দিন, আরিফুর রহমান, রুবেল পালিত, টিআইবি’র সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আবদুল গাফ্ফার, হাসপাতালের প্রধান সহকারী শেলী চৌধুরী, স্বজন সমন্বয়ক ইয়াসির আরাফাত চৌধুরী, ইয়েস দলনেতা মো. মিজানুর রহমান, উপদল নেতা শ্যামলী জন্নাত ডলি প্রমুখ।
হিমাগারনাথাকায়সবজিচাষিরালোকসানে
মামুন মুহাম্মদ, সাতকানিয়া
সবজির বাম্পার ফলনেও মুখে হাসি নেই সাতকানিয়ার চাষিদের।দাম পড়ে গেছে।হিমাগারের অভাবে সংরক্ষণ করাও যাচ্ছে না।শেষ পর্যন্ত লোকসানই গুনতে হচ্ছে তাঁদের।ছদাহা ইউনিয়নের শিশুতল ও কেঁওচিয়া ইউনিয়নের আমতল পাইকারি সবজিবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, খেত থেকে তুলে আনা সবজি নিয়ে হতাশ মনে বসে আছেন চাষিরা।কিন্তু আড়তদার বা পাইকারদের দেখা নেই।দু-একজনকে দেখা গেল চাষিদের সঙ্গে দর-কষাকষিতে ব্যস্ত।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ হয়েছে।অন্তত ১৮ হাজার ৯৫ জন চাষি সবজি চাষের সঙ্গে জড়িত।চাষিরা এ বছর ৩৫০ হেক্টর জমিতে শিম, ৩৯৫ হেক্টরে ফ্রান্স বিম, ১১৫ হেক্টরে বেগুন ও ৬০ হেক্টরে টমেটো আবাদ করেছেন।
উপজেলার পুরানগড় এলাকার সবজি চাষি জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি দেড় একর জমিতে শিমের চাষ করেছেন।ফলন খুব ভালো হয়েছে।প্রথম দিকে শিমের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন।কিন্তু এখন ১৫ টাকা দরেও বিক্রির জন্য পাইকার পাচ্ছেন না।
শিশুতল এলাকার সবজি চাষি আবুল হাসেম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ বছর ধরে সাত কানি জমিতে টমেটো চাষ করে আসছি।কোনো বছর লোকসান গুনতে হয়নি।কিন্তু এ বছর দেশের প্রায় অঞ্চলে উৎপাদন বেশি হওয়ায় সব ধরনের সবজির দাম পড়ে গেছে।টমেটোর কেজি চার-পাঁচ টাকার বেশি বিক্রি করা যাচ্ছে না।তা ছাড়া পাইকাররাও আগের মতো সবজির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।আমাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না।’
আবুল হাসেম আরও বলেন, প্রতি কানি টমেটো চাষে ৬৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ লাভও পাওয়া যায়।কিন্তু এ বছর ফলন ভালো হওয়ার পরও লোকসান গুনতে হচ্ছে।শিম, লাউ, টমেটো, করলা ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার থাকলে চাষিদের এই লোকসান গুনতে হতো না।
মধ্যস্বত্বভোগী পাইকার ছালেহ আহমদ বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজির চালান বেশি হওয়ায় সব ধরনের সবজির দামই পড়ে গেছে।এতে স্বাভাবিকভাবে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র দেব বলেন, উপজেলার প্রত্যেক এলাকায় সবজি উৎপন্ন হচ্ছে।ভরা মৌসুমে সবজির উৎপাদন বেশি হওয়ায় চাষিরা সবজির ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না।সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের ব্যবস্থা থাকলে চাষিরা লাভবান হবেন।তা ছাড়া সারা বছর বাজারে ওই সবজি বিক্রি করার সুযোগ থাকবে।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, উপজেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার আছে।তবে অন্যান্য সবজি সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই।উপজেলার মাঝামাঝি কোনো এলাকায় সবজি সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার নির্মাণের চেষ্টা করা হবে।
পানের বরজে ছত্রাক
দিশেহারাটেকনাফেরচাষিরা
গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফে ২০০ হেক্টর জমির পানের বরজে পাতা পচা রোগ ও ছত্রাক রোগে মড়ক দেখা দিয়েছে।কৃষি বিভাগের দাবি মাত্রাতিরিক্ত জৈব সার প্রয়োগ ও কুয়াশার প্রভাবে খেতে ছত্রাকের আক্রমণ হয়েছে।হঠাৎ করে এ রোগের প্রাদুর্ভাবে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানায়, ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে পানে স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়ায় কথা বলে ইউরোপে গত দুই বছর ধরে পান আমদানির নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় হাটবাজারে পানের দাম পড়ে গিয়েছিল।কিন্তু দেশে পানের চাহিদা বাড়ায় বর্তমানে স্থানীয় হাটবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।তবে রোগের আক্রমণের কারণে পান চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ইউরোপে পান রপ্তানি বন্ধ থাকায় গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ কম হয়েছে।তার ওপর ওই বছর পানে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেকে চলতি মৌসুমে পান চাষ বন্ধ রেখেছেন।কিন্তু দেশে পানে চাহিদা বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুতে চাষিরা বাড়তি দাম পাচ্ছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নের তিন হাজার ৩২৫ জন চাষি ৫৫০ হেক্টর জমিতে এবার পান চাষ করেছেন।বর্তমানে ৩৫০ হেক্টর জমির বরজ রোগমুক্ত থাকলেও আক্রান্ত হয়েছে বাকিগুলো।এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সাবরাং, বাহারছড়া, টেকনাফ সদর ও বাহারছড়া ইউনিয়নের পানের বরজগুলো।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পান বরজ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বরজের পাতা ছোপ ছোপ কালো ও হলুদ দাগে পরিপূর্ণ।আক্রান্ত বরজ থেকে পানপাতা ছিঁড়ে পাশে স্তূপ করে রেখেছেন চাষিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা অভিযোগ করেন, এ রোগ থেকে প্রতিকার চেয়ে তাঁরা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার কাছে ধরনা দিলেও তিনি তাঁদের কথায় গুরুত্ব দেননি প্রথম দিকে।পরে মড়ক দেখা দেওয়ায় কীটনাশক দেওয়া পরামর্শ দেন।কিন্তু তখন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
টেকনাফ সদরের পল্লানপাড়ার গ্রামের চাষি আলী আহমদ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জমি বর্গা নিয়ে দুটি পানের বরজ করেছি।কিন্তু রোগের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে।গত বছর দুটি বরজ থেকে প্রায় ১৩ লাখ টাকার আয় হয়েছিল।কিন্তু চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েকজন চাষির সঙ্গে আলাপ হয়েছে।এরপর অধিকাংশ এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি।সব মিলিয়ে মনে হয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত জৈব সার (খৈল) প্রয়োগ ও ঘনকুয়াশার ফলে ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পান পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে।আক্রান্ত পাতাগুলো বরজ থেকে সরিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।’
কক্সবাজারেরিপোর্টার্সইউনিটিরকমিটিগঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
কক্সবাজারে ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার ১৩ সদস্য বিশিষ্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন আরফাতুল মজিদ, সহসভাপতি শাহাদাত হোছাইন ও এইচ এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক-মারুফ ইবনে হোছাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছৈয়দ নুর, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শিপন পাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক-হাসিবুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য শফিউল আলম ও সাইফুল আলম।
কমিটির সভাপতি আরফাতুল মজিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকেরা কক্সবাজারের উন্নয়নে কাজ করবে।পর্যটন শহরকে তাঁরা মাদকমুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখবেন।
ফেনীতেপ্রতিবন্ধীদেরমাঝেকম্বলবিতরণ
ফেনীতে সমাজসেবা অধিপ্তরের আয়োজনে দৃষ্টি, শারীরিক, মানসিক এবং বাক প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে প্রতিবন্ধীদের হাতে জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান এসব কম্বল তুলে দেন।এ সময় জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক হোসনে আরা চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।ফেনী সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শহীদ উল্যাহ জানান, জাতীয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার অনুদানে উপজেলার প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের মাঝে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ করেছে।
—ফেনী অফিস
ফেনীপৌরসভানির্বাচনেপ্রার্থীদেরপ্রচারণাশুরু
ফেনী অফিস
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই গণসংযোগসহ প্রচারণা শুরু করেছেন।আগামী ৪ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৫ মার্চ।নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০ মার্চ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা জানান, দলের মনোনীত প্রার্থীরা মুখে মুখে প্রতীকের কথা বলা শুরু করেন।দলীয় প্রতীক সম্পর্কে তাঁরা জানেন বলেই প্রচারণা শুরু করেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের পর বর্তমানে সোনাগাজী পৌরসভায় মেয়র পদে ছয়জন, তিনটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে সাতজন এবং ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত রফিকুল ইসলাম, বিএনপি মনোনীত বর্তমান মেয়র জামাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টি মনোনীত মজিবুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আবু নাছের, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রচারণা এখনো দলীয় নেতা কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।আওয়ামী লীগের প্রতীক সম্পর্কে সব ভোটার জানে।তারপরও প্রতীক বরাদ্দের পর মূল প্রচারণা শুরু করা হবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনও একই ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেন।তিনি বলেন, পোস্টার ও মাইকিং ছাড়াই ভোটাররা দলীয় প্রার্থী ও প্রতীক সম্পর্কে জেনে গেছে।
কালিরছড়াখালদখলমুক্তকরারদাবি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নয় নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ও ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডের মাঝে প্রবাহিত কালির ছড়া খাল দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর সিটি গেট এলাকায় অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানান তাঁরা।
‘কালির ছড়া খাল অবমুক্তকরণ সংগ্রামী জনতা’ নামের একটি সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দুই ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালটি দখলের কারণে প্রশস্ততা হারিয়ে সরু নালায় পরিণত হয়েছে।প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা এবং ২৫ থেকে ৪০ ফুট প্রস্থের খালটির প্রশস্ততা পাঁচ থেকে ১৫ ফুটে এসে ঠেকেছে।দখলদাররা অনেক এলাকায় খালের গতিপথও পরিবর্তন করেছেন।
বক্তারা বলেন, খালের পাশে বিশ্বব্যাংক কলোনি আবাসিক এলাকা, শাহের পাড়া, লেকসিটি, জয়ন্তিকা, রামপুরা, ভূমিহীন, ছিন্নমূল, যমুনা, সবুজ বাংলা, শাপলা ও কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকা অবস্থিত।এসব এলাকার পানি প্রবাহের একমাত্র পথ কালির ছড়া খাল।খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।ৎ
জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে শত শত বাসিন্দাকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়।গত বছর বর্ষার পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় একটি শিশুর মৃত্যু হয়।এ কারণে আগামী বর্ষার আগেই এই খাল দখলমুক্ত করার দাবি জানান তাঁরা।
এ ছাড়া খালের উভয় পাশে দেয়াল নির্মাণেরও দাবি জানান তাঁরা।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এ এইচ এম আবুল খায়ের, আবদুস সাত্তার, রেহান উদ্দিন, রফিক চৌধুরী, নাসির উদ্দিন, লেয়াকত আলী, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
চিটাগাংগ্রামারস্কুলেরবার্ষিকক্রীড়াপ্রতিযোগিতা
চিটাগাং গ্রামার স্কুল (ন্যাশনাল কারিকুলাম) এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০ েফব্রুয়ারি দামপাড়ার পুলিশ লাইন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান।কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তিনি অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে এই ধরনের প্রতিযোগিতা খুবই প্রয়োজন।হার জিত প্রতিযোগিতার একটি অনিবার্য বিষয় কিন্তু খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব বজায় রাখাটাই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মূল প্রেরণা।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চিটাগাং গ্রামার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বেগম ফারহাত খান, প্রধান শিক্ষক তহসিন খান।
প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উৎসাহী পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ক্রীড়াঙ্গনটি।বিজ্ঞপ্তি।
ভারতেক্রিকেটটুর্নামেন্টেঅংশনিলপ্রিমিয়ারক্রিকেটদল
ভারতে ২৩তম প্রদীপ স্মৃতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল।ওডিশা রাজ্যের ভাদ্রাক জেলার তিল্ল অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় দল।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রথম সারির আটটিসহ বাংলাদেশ ও নেপালের চারটি ক্রিকেট দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়।
নক আউট পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের কাঠমান্ডু ক্রিকেট একাডেমি দলকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল।
১০ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার পর ক্রিকেট দলের সদস্যরা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেনের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।বিজ্ঞপ্তি।
এইনগরে-দূরগ্রামে
বিকপস্এরপ্রতিষ্ঠাবার্ষিকীউদযাপন
চট্টগ্রাম বন্দরে জেটিতে পণ্য ও কনটেইনার ওঠানো-নামানোয় নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বার্থ অপারেটরস্ এক্সিকিউটিভ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বার্ষিক সাধারণ সভা গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) গোলাম ছরওয়ার, টার্মিনাল ব্যবস্থাপক এনামুল করিম, পরিবহন বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক হাসিনা আরজু, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল রাখতে বার্থ অপারেটর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভূমিকা রয়েছে।নিজ নিজ অবস্থান থেকে বন্দরের কার্যক্রমে আরও বেশি ভূমিকা রাখার জন্য পরামর্শ দেন তাঁরা।
এর আগে বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন।সাধারণ সভায় আয়-ব্যয় অনুমোদন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নেওয়া হয়।গত বছর এই সংগঠন কার্যক্রম শুরু করে।বিজ্ঞপ্তি।
টেরিবাজারব্যবসায়ীসমিতিররজতজয়ন্তীউৎসব
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নব-নির্বাচিত কর্মকর্তাদের অভিষেক ও রজত জয়ন্তী উৎসব ২৪ ফেব্রুয়ারি নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সম্পন্ন হয়েছে।সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।প্রধান বক্তা ছিলেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহাবুবুল আলম।বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহামুদ, কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।বিজ্ঞপ্তি
আনোয়ারায়শর্টপিচক্রিকেটটুর্নামেন্টেরফাইনালেখুরুস্কুলচ্যাম্পিয়ন
আনোয়ারায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে খুরুস্কুল দল ভরাচর দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।১১ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাচর গ্রামে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ভরাচর ইয়ং জেনারেশন সোসাইটি।
ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন আবদুল মালেক চৌধুরী।মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস।বিশেষ অতিথি ছিলেন আহমেদ আনিস চৌধুরী, ডিএইচ মনসুর, মাহমুদুল হাসান, সাবেক ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। —আনোয়ারা প্রতিনিধি
তরুণপ্রকৌশলীসাফায়াতেরদুটিকিডনিইনষ্ট
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(চুয়েট) ৩৯তম ব্যাচের প্রকৌশলী মো. সাফায়েত ইসলামের(২৫) দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।সাফায়েত ঢাকার রাইফেলস্ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি দুটোতেই জিপিএ ৫ পেয়ে ২০০৮ সালে চুয়েটের কম্পিউটার কৌশল বিভাগের ভর্তি হন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অতি দ্রুত তার শরীরে অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন।এ জন্য একজন কিডনি দাতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।তার রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ।সহৃদয় কোনো ব্যক্তি কিডনি দানে আগ্রহী থাকলে তাকে সাফায়েতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।কিডনি দাতার রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ ও বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হওয়া প্রয়োজন।এ ছাড়া সাফায়েতের কিডনি প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচারের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন যা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা কঠিন।সাফায়েতের বাবা দেশ-বিদেশের সব সচ্ছল ব্যক্তির কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
সাফায়েতের জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: নুরুল ইসলাম, হিসাব নম্বর- ১০৮১০৫০১০১১৪৭, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ধানমণ্ডী শাখা, ঢাকা।বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য রুটিং নম্বর-০৯৫২৬৪০৩৫ এবং সুইফট কোড-EBLDBDDH.
চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ক্বণনেরপ্রশিক্ষণকর্মশালায়ভর্তিশুরু
আবৃত্তি অঙ্গন ক্বণনের আয়োজনে আবৃত্তি ও সংবাদপাঠের ওপর তিন মাসব্যাপী আবৃত্তি ও সংবাদপাঠ প্রশিক্ষণ কর্মশালার ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।আগামী ১১ মার্চ শুক্রবার বিকেল তিনটায় চেরাগি পাহাড়ে কদম মোবারক এম. ওয়াই স্কুলে (লুসাই ভবন সংলগ্ন) ক্লাস শুরু হবে।
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শুদ্ধ উচ্চারণ, আবৃত্তির মৌলিক শিক্ষা, ছন্দ, স্বর মাধুর্য বৃদ্ধি, মাইক্রোফোনের ব্যবহার, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ পাঠ, অনুষ্ঠান ঘোষণা ও উপস্থাপনা, টিভি সাংবাদিকতা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।নবম শ্রেণি থেকে যেকোনো শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য চেরাগি পাহাড়ের বুকমার্ক ও নন্দন, জামাল খানের প্রথমা, নিউমার্কেটের বিপরীতে কারেন্ট বুক সেন্টার থেকে বিনা মূল্যে ফরম সংগ্রহ করতে পারবে।বিস্তারিত জানার জন্যে ০১৮১৫৫০৬৭০৯ ও ০১৮৪০০০৮৬৪৭ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তি।
কুয়াইশবুড়িশ্চরশেখমোহাম্মদসিটিকরপোরেশনকলেজেরবার্ষিকক্রীড়াওসাংস্কৃতিকসপ্তাহ
কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি করপোরেশন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন।সঞ্চালনা করেন জিন্নাত পারভীন ও নুসরাত ফাতিমা।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মো. মোখলেছুর রহমান।স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জয়নাল আবেদীন।এতে আরও বক্তব্য দেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মো. ইউনুস গণি চৌধুরী, জাফর আহমেদ, কাউন্সিলর মো. হাসান মুরাদ প্রমুখ।এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মধ্যে অতিথিরা পুরস্কার বিতরণ করেন।বিজ্ঞপ্তি।
কামালউদ্দিনেরশোকসভা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, যে দেশে গুণী লোকের সম্মান দেওয়া হয় না, সে দেশে গুণী লোক জন্মায় না।সমাজের গুণী মানুষেরা নতুন প্রজন্মের কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে পথ চলার নির্দেশনা দেয়।তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা ইফতেখার হোসেনের পিতা কামাল উদ্দিন কন্ট্রাক্টরের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে শোক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডা. রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবির সভাপতি ইফতেখার হোসেন , রাঙ্গুনিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ, আনোয়ারা কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মমদ জসিম উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক লায়ন এম. সফিউল আলম, অধ্যাপক ছৈয়দ নুরুল হুদা প্রমুখ।বিজ্ঞপ্তি
ভূজপুরন্যাশনালস্কুলঅ্যান্ডকলেজেশহীদদিবসপালিত
ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মো. মতুর্জা এনামুল ইকবাল।সঞ্চালনা করেন মহসীন মো. রাকিব উল্লা।প্রধান অতিথি ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এসএম হারুন চৌধুরী।বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম।শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য দেন ওবাইদুল হক চৌধুরী।শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন দশম শ্রেণির ছাত্র মো. রিদোয়ান ও ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম।বিজ্ঞপ্তি।
ফেনীতেঅ্যাপেক্সক্লাবেরশিক্ষাসামগ্রীবিতরণ
ফেনীর আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন এপেক্স ক্লাব অব ভাষা শহীদ সালাম এর উদ্যোগে দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের সালামনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ভাষা শহীদ সালাম জাদুঘর ও গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা খানম।এপেক্স ক্লাব অব ভাষা শহীদ সালাম ফেনীর সভাপতি আবুল বাশার সবুজের সভাপতিত্বে ও সার্ভিস ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল মারুফের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা আক্তার, দৈনিক দুর্বার পত্রিকার সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন, মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইছহাক জগলু, এপেক্স ক্লাবের ন্যাশনাল এনইডি সাইফুল্যাহ কামরুল, জেলা-৮ গভর্নর ডা. নিলুফা পারভিন, জেলা গভর্নর নিজাম উদ্দিন, এপেক্স ক্লাব অব নোয়াখালীর সভাপতি ইকবাল হোসেন , কোষাধ্যক্ষ মো. আলমগীর, এপেক্স ক্লাব অব নোয়াখালীর সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।অতিথিবৃন্দ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন।ি্বজ্ঞপ্তি।