বসন্তে এত ভালো লাগে কেন?

বসন্তের সাজ। ছবি: প্রথম আলো
বসন্তের সাজ। ছবি: প্রথম আলো

প্রকৃতিতে এখন বসন্তের ছোঁয়া। ফাগুনের গান গেয়ে যায় উদাস মৃদু হাওয়া। সে হাওয়ায় মর্মর ধ্বনি তুলে ঝরে পড়ে শুকনো পাতা। গাছে গাছে নতুন কচি পাতা। এ সময় ভালো লাগার একটা অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে। কেন ভালো লাগে এই দিনগুলো? জেনে নিন।

ফুল-পাখিদের সমারোহ: এ সময় প্রকৃতি নতুন রূপে সাজে। গাছের পাতাগুলো ঝরে নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। নানা রঙের ফুলে ভরে ওঠে গাছ। পাখিরা মনের আনন্দে গায়। বসন্তের ফুল মানেই রঙের মেলা। বসন্তকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যায়। মনটা হয়ে ওঠে ফুরফুরে।

খানিক উষ্ণতার ছোঁয়া: এ সময় শীতের তীব্রতা বা রোদের তেজ থাকে কম। ঘূর্ণি বাতাস-হালকা বৃষ্টি সব মিলিয়ে প্রকৃতির রূপ বদলাতে থাকে। একই সঙ্গে মনেও পরিবর্তন আসে। এ সময়ের উষ্ণতা মানুষের মধ্যে জড়তা দূর করে।

বসন্তের ফুল ও পাখি। ছবি: প্রথম আলো

মানুষ সুখী থাকে: আবহাওয়া যখন বেশি স্বস্তিদায়ক থাকে, মানুষ তখন বাইরে বের হয় বেশি। বাইরে গেলে, বিশেষ করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে এলে মানুষের মন চাঙা হয়। কাজে-কর্মে উৎসাহ বাড়ে। এ সময় স্বভাবতই মানুষের মুখে বেশি হাসি ফোটে। মানসিক চাপ কিছুটা দূর হয় বলে এ সময় মানুষের মন বেশি চনমনে থাকে।

কাপড়ের বোঝা হালকা হয়: শীতের লেপ-তোশক এ সময় তুলে রাখেন অনেকে। সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট ছেড়ে হালকা পোশাক পরা শুরু করে মানুষ। হাত, পা ও ঘাড়ে কিছুটা স্বস্তি আসে। চলাফেরায় হালকা একটা ভাব চলে আসে। এ সময় নতুন পোশাক কেনার দিকে মানুষের ঝোঁক থাকে বলে তাদের মন ভালো থাকে।

মধুর সকাল-সন্ধ্যা: বসন্তের এ সময়টাতে সকালে কুয়াশা থাকে কম। ভোরের দিকে হালকা শীত। সকালে বিছানা ছেড়ে সহজেই উঠে প্রকৃতির মধ্যে ঘুরে আসতে মন চায়। এ সময়ের সন্ধ্যাটা একটু দীর্ঘতর হয় বলে বিকেলে কিছুটা অবসর কাটানোর সময় পাওয়া যায়। তথ্যসূত্র: ইয়াহু।