
হারানো গোলাপ
রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া বুনো গোলাপ, যাকে আমি আমার মনের সিংহাসনে রানির আসনে সাজিয়ে রেখেছি। আজ আমি যে গোলাপের কথা লিখতে কলম ধরেছি, তার নাম জয়া। সে একেবারে সাধারণ গোলাপ নয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। আর আমি ছোটখাটো একটা কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছি। যাতায়াত বাড়ি থেকে বাসে। যেখান থেকে আমি বাসে উঠতাম, সেখান থেকে সেও বাসে উঠত। তার মিষ্টি হাসি, মিষ্টি চেহারায় আমি যে কখন হারিয়ে গেছি তা জানি না। তাকে এক নজর দেখার জন্য অফিস ফাঁকি দিয়ে পাগলের মতো ভার্সিটিতে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। পেলাম না। একদিন আমার ব্যক্তিগত কাজে সকালে আমার গ্রামের এক কাকার কাছে গিয়ে বারান্দায় বসে কথা বলছি। হঠাৎ ভেজা কাপড়ে একেবারে আমার সামনে এসে থমকে গেল সেই মেয়েটি। হতবাক হয়ে গেলাম আমি। পাগলের মতো যাকে খুঁজে বেড়িয়েছি, সে আমার সামনে। সে দৃশ্য আমার চোখের সামনে আজও ভাসে। ভুলব না এ জীবনে। সে হোস্টেলে চলে গেল। তার সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য অনেক কষ্টে ফোন নম্বর জোগাড় করলাম। ফোন করলাম। পেলামও তাকে। কিন্তু আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইল না। বলল তার সঙ্গে যেন আর কথা না বলি। কেন সে এমন বলল, তা আজও জানি না। যাকে আমি মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতাম, সে আমার মনের কথা বুঝল না। পাথরের মতো হয়ে গেলাম আমি। তাকে নিয়ে আমার কত স্বপ্ন ছিল। স্বপ্নের মতো করে সাজাব আমাদের পৃথিবী। সেখানে থাকবে শুধু ভালোবাসা। আজও তাকে আমি পাগলের মতো খুঁজে বেড়াই। যদি একবার তার দেখা পাই। তার সঙ্গে একবার কথা বলার জন্য মনটা ছটফট করে। শুনেছি লেখাপড়া শেষে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরি নিয়েছে। বুকটা গর্বে ভরে গেল। জানি না আমার এই না-বলা কথাগুলো তার কাছে পৌঁছাবে কি না। যদি পৌঁছায় তাহলে আমি শান্তি পাব।
পীযুষ রায়, সাতক্ষীরা
ভালোবাসা না পাওয়া
তোমার কাছে কী অপরাধ করেছি নীলা, আমি ঠিক জানি না। তোমাকে কোনো দিন পাব না, সেটা আমি জানি। কিন্তু কোনোভাবে তোমাকে ভুলতে পারছি না। হঠাৎ ফেসবুকে পরিচয়, ফোনে যোগাযোগ—না দেখে ভালোবাসা জীবনটা পাল্টে দিল। জেগে ওঠা সেই আবেগের ভালোবাসা নিমেষেই থেমে গেল। ‘ভুল’ একটা ভুল সব শেষ করে দিল। রাতের পর রাত যায়, সে রাতের মতো বহমান সময়টাও বয়ে যায়, শুধু জীবনটা আর বদলায় না। আজ আমার লেখাটা তুমি পড়বে কি না জানি না, যদি পড়ো একটা প্রশ্ন রইল, ‘একটা ভুল আর অফুরন্ত ভালোবাসা—দুটিকে দুপাশে রাখলে কি ভুলের ওজনটা বেশি? আজ ভাগ্যকে খুব বেশি করে মেনে নিয়েছি। তবে তুমি চলে যাওয়ায় জীবনটা থমকে যায়, থামে না।
মো. আবুল কালাম আজাদ
সরকারি বিএল কলেজ, খুলনা
কী খবর তোর?
পৃথিবীর দুই গোলার্ধের দুই বাসিন্দা। সময়ের তালে তালে নির্বিকারে এগিয়ে চলা। দেখা হলো হঠাৎ, বল কী খবর তোর? আমার উত্তর: মাটিতে মানুষ রংবাজি করে কিন্তু পানিতে করতে পারে না। কারণ, পানির ধর্ম নিচের দিকে নামা, তাই আমার এখনো সঙ্গী হয়ে ওঠেনি, ভালোবাসা তৈরি হয়নি।
সোহেল উজ্জ্বল
অনেক মিস করি তোমায়
কেমন আছো? সব সময় তোমাকে খুব মনে পড়ে। সত্যিই কখন যে তোমায় এত বেশি ভালোবেসে ফেলেছি, আমি নিজেও জানি না। তোমাকে প্রায় দুই-তিন মাস ধরে দেখি না, তাই বলে ভেবো না, তোমায় আমি ভুলে গেছি। কী করে ভুলব তোমায়? তোমাকে যে আমার হৃদয়ের গভীরে স্থান দিয়েছি। এখনো প্রতিটি মুহূর্ত তোমার কথা খুব মনে পড়ে। অনেক মিস করি তোমায়।
মো. মোকাদ্দেস হোসাইন
পাঙ্গাশী চানপাড়া, সিরাজগঞ্জ
শাহীন
দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে তোকে খুঁজছি। ১৯৮১ সালে আমরা সরকারি তীতুমীর কলেজের ১ম বর্ষে, বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। রাজনৈতিক কারণে তুই কলেজ ছেড়ে যশোর-ঝিনাইদহ চলে গেলি। তুই বলেছিলি ইন্টার পাস করে ডাক্তারি পড়বি। তুই কি এখন অনেক বড় ডাক্তার হয়েছিস? কোথায় আছিস? আমি তোকে কত খুঁজেছি। আমাদের সময় তো, মোবাইল, ইন্টারনেট ছিল না, ছিল না ফেসবুক। এখন দেখলে তোকে চিনব কি না জানি না। যদি আমার লেখাটা পড়িস, তবে সাড়া দিস। তুই চলে যাওয়ার পর থেকেই তোকে খুঁজছি, যশোর, ঝিনাইদহের লোক পেলে তোর কথা জানতে চেয়েছি। কোথাও খুঁজে পাইনি। কোথাও না।
আমি টুটু, ঢাকা।
ফিরে আসো মা
মা...মাগো...জানি না তুমি কেমন আছো, জানি না তুমি কী করছ। মাগো তোমার এই পাগল ছেলেটা একদম ভালো নেই। সারাক্ষণ তোমাকে মনে পড়ে। চোখের জলে বুকটা আমার ভেসে যায়। বড় একা হয়ে গেলাম। জানো মা কাল রাতে আমার প্রচুর জ্বর ছিল, কেউ আমার পাশে ছিল না। একটু পানি খাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি পাইনি। মা, তুমি নেই, আমার এখন কেউ নেই। মা, আজ আমি বড় অসহায় হয়ে গেলাম। দিন শেষে যখনই বাসায় আসি, তখনই তোমাকে মনে পড়ে। নিজেকে আর সান্ত্বনা দিতে পারি না। মা, তুমি ফিরে আসো। মা, একবার বুকে জড়িয়ে নাও। আমি আর যে পারি না। মাগো...পৃথিবীটা বড়ই নিষ্ঠুর, কেউ কারও নয়। মা...তুমি ফিরে আসো...৷
রিমেন
আমতলী, বরগুনা।
ধন্যবাদ বাবা
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়, রোল ২ হওয়ার কারণে স্কুল থেকে অনেক বই উপহার পেয়েছি। সেই থেকে নিয়মিত আমার বই পড়া শুরু। যখন সময় পেতাম কিছু না কিছু পড়তাম। যেন বই পড়াটা আমার একটা নেশা হয়ে গেছে। প্রতিদিন একটা বই শেষ না করতে পারলে ভালো লাগত না।
আমার বই পড়ার আগ্রহ দেখে বাবা আমাকে এখনো বইমেলা থেকে আমার পছন্দের বই কিনে দেন। বাবাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে অনেক বই উপহার দিয়ে একজন বইপ্রেমী করে গড়ে তোলার জন্য৷
সাখাওয়াত মহিম
কীভাবে যে বলি....
তোমাকে দেখেছিলাম আমার খালার বাড়িতে, তাও এক বছর আগে ঈদের সময়। সেদিন সবাই একসঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিল৷ সেখানেই তোমার সঙ্গে পরিচয়। তারপর শুরু হলো গল্প। আত্মীয়তার কারণে এখানে-ওখানে তোমার দেখা পেতাম। যেমনটা এবার ঈদেও পেয়েছি।
যদিও আমার কথা বলি আমি কোনো মেয়েকে ভালোবাসিনি। তাই জানি না কীভাবে বলব আর ভয় পাচ্ছি কারণ যতটুকু সম্পর্ক আছে তাও যেন না ভেঙে যায়। আমি তোমাকে পছন্দ করি আর ভালোবেসেই ফেলেছি। যদি চিরকুটটি পাও জানি না কতটুকু আমায় গ্রহণ করবে। আমি যা জানি তোমায় নিয়ে জানতে চাই, তোমার থেকে কিছু শিখতে চাই।
জীবন তো একটাই। সঙ্গে করে নেবে আমায়?
এ. আর, চট্টগ্রাম।
মনেরবাক্স
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: adhuna@prothom-alo.info ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA. খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’