
মানুষ তাঁর স্বপ্নের চেয়েও বড়
দুদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শীতল আবহাওয়া। একটা রোমান্টিক পরিবেশ। জানালার কাচ যেন একটা নতুন স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। একটা নতুন সকালের আশায় রাত শেষ হওয়া কিংবা শীতের আগমনী বার্তা, মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। দক্ষিণা বাতাস কদম ফুলের পাপড়ি দোলালেও এখনো শিশিরসিক্ত ভেজা ঘাস চোখে পড়েনি। কেবল তো মাত্র শীতের পূর্বাভাস। তবুও মন আমার ছুটে যায় অতীতের কোনো এক শীতের সকালে। স্মরণ করিয়ে দেয় উনুনের পেছনে ফাঁকা কোনায় বসে মায়ের হাতে বানানো চিতল পিঠা, মাছের ঝোল কিংবা খেজুরের গুড়ে ঝলসানো মুহূর্তের কথা। মন আমার আবার ছুটে যায় পিঠা বানানোর খাঁজের প্রতিটা ভাঁজে ভাঁজে। খুব হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। দূর আকাশে কিংবা চন্দ্র দেশে নয়, ভুবন ভোলানো অতীতের দিনগুলোতে। যেখানে থাকবে না সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ক্লাস করার চিন্তা আর কদিন পরপর পরীক্ষা নামক শব্দটা কিংবা ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা। আমি ফিরে পেতে চাই মায়া জড়ানো মায়ের সেই কোল, যেখানে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারি। ফিরে পেতে চাই হারানো শৈশব, যেখানে ইচ্ছেমতো খেলতে পারি। বাড়ির পেছনের ধানখেতটাও ফিরে পেতে চাই, যেখানে ধান কাটার পর বন্ধুদের নিয়ে ফুটবল নিয়ে মেতে থাকতে পারি। জানি এসবের কিছুই ফিরে পাব না। ফিরে পাব না পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিরাপদ স্থান মায়ের সেই কোলটাও। তবুও একটা নতুন দিনের আশায়, একটা নতুন সকালের আশায় কেটে যাক না সময়গুলো। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়, কখনো কখনো স্বপ্নের চেয়েও বড়।
জোবায়েদ হোসাইন
ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা
অনেক বিরক্ত করেছি
আমি তোমায় হয়তো অনেক বিরক্ত করেছি। তুমি নাশতা করেছ কি না, ওষুধ খেয়েছ কি না আরও কত বিষয়ে কথা বলেছি। তুমি এসব কথা শুনে অনেক বিরক্ত হও। হয়তো এ কথাগুলো তোমাকে অন্য কেউ বলে না। আমি বলি, কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। এখন তুমি যেভাবে আমাকে অবহেলা করছ, একদিন হয়তোবা বুঝবে আমি তোমার হৃদয়ে কতটা জায়গা জুড়ে ছিলাম। সেদিন হয়তোবা আমি থাকব না, করব না কোনো বিরক্তিকর কাজ। ভালো থেকো সব সময়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
বাবা তোমাকে এত তাড়াতাড়ি হারিয়ে ফেললাম কেন?
বাবা, আমার কাছ থেকে তুমি অনেক দূরে চলে গিয়েছ। আজ ১২ বছর পার হয়ে গেল, তবুও তুমি এলে না। জানি, কখনো ফিরে আসবে না। মা-বাবা চিরদিন সবার বেঁচে থাকে না, কিন্তু সেই ছোটবেলার সাত বছর বয়সে তোমাকে হারিয়েছি। জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি, কিন্তু তোমাকে পাইনি বাবা। অনেক কিছু হারিয়েছি, কিন্তু তোমাকে এত তাড়াতাড়ি হারিয়ে ফেলব তা কখনো ভাবিনি। জীবন হয়তোবা এমনই, না-ভাবা চিন্তাগুলোই জীবনে ঘটে যায়। আমার বেলায় তা-ই ঘটেছে।
নুসরাত জাহান
মিস করি মা,
তোমাকে প্রচণ্ড মিস করি মা। কাছে থাকলে তোমার গুরুত্ব বুঝি না তো! তাই এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। তুমি কত ভালোবাসো আমাকে! প্রতিবার যখন বাড়ি যাই, তুমি আমার আবদার পূরণ করতে করতে পাগল হয়ে যাও। আমার দ্বারা তো একজন টিচার হয়ে মাথা ঠান্ডা করে এত কিছু করে সম্ভব ছিল না। বড় হয়ে দূরে চলে আসার যে এত কষ্ট বুঝিনি। ভাবতাম, বড় হয়ে পড়তে বাইরে চলে গেলে বুঝি খুব আনন্দ। যাক গে শোনো, জন্মদিন কিন্তু চলে এসেছে। বাড়ি গিয়ে তোমার আদর খাওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না।
ইতি তোমার বুড়ি
সত্যি ভেবে নিয়েছিলাম সেই কথাগুলো
শেষবার কবে, কোথায় তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ঠিক মনে পড়ে না। লেখাপড়া আর কর্মব্যস্ততার মাঝে এতগুলো বছর কীভাবে জীবন থেকে হারিয়ে গেল ঠিক বুঝতেই পারিনি। শ্রাবণের ঘন বর্ষায় চারদিকে যখন আঁধার ঘনিয়ে আসছে, এমন মুহূর্তে বৃষ্টিতে ভিজব বলে জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। এমন একটা দিনে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কলেজ থেকে ফেরার সময় তুমি বলেছিলে, তোমাকে আমি বড্ড ভালোবাসি। তোমার জন্য হয়তো এই পৃথিবীতে আমি এসেছি। তোমার জন্যই আমার বেঁচে থাকা। তুমি আমার বর্তমান, আমার ভবিষ্যৎ। সত্যি ভেবে নিয়েছিলাম সেই কথাগুলো। যখন দুচোখে স্বপ্ন বুনতে শুরু করলাম তখনই তুমি জানিয়ে দিলে, তুমি আমাকে আর ভালোবাসো না। ভালোবাসা নাকি তোমার ভালো লাগে না। কত সহজেই কথাগুলো বলে দিলে, ভাবলে না একবার আমার কথা। তোমার দেওয়া কিছু মেসেজ আর কিছু ছবি আমার স্মৃতি হয়ে থাকবে। যেখানেই থাকো ভালো থেকো, সুখে থেকো।
তোমার আমি
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: adhuna@prothom-alo.info ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA. খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’