প্রয়োজনের জন্য তো অবশ্যই, স্টাইলের জন্যও অনেকে নানা নকশার চশমা বেছে নেন। সঠিক চশমার ফ্রেম চেহারা বদলে দেয়। উল্টো দিকে বেঠিক নকশার ফ্রেমের কারণে দেখতে লাগে বেমানান। একঝলকে জেনে নেওয়া যাক, মুখের আকার অনুযায়ী চশমার ফ্রেম কেমন হওয়া চাই।
লম্বা চেহারা
লম্বা চেহারায় অ্যাভিয়েটর ফ্রেমের চশমা বেশি মানানসই। এতে চেহারায় লম্বাটে ভাব কমে আসবে। কিছুটা চওড়াও লাগবে। অ্যাভিয়েটর ফ্রেম ছাড়াও কিছু চার কোনা ফ্রেমের চশমা আপনাকে ভালো মানাবে।
ডায়মন্ড চেহারা
ডায়মন্ড আকৃতির চেহারায় চোখের পাশে ও চোয়ালের কাছে সংকীর্ণ হয়। এই চেহারায় গাল হয় চওড়া। এ রকম চেহারায় চোখগুলো তুলে ধরাই চশমা পরার মূল লক্ষ্য। এতে চওড়া গালেও কিছুটা নমনীয়তা চলে আসবে। চশমার ওপরের দিকে স্বতন্ত্র নকশা থাকলে দেখতে ভালো লাগবে। নিচের দিকে রিম লেস হলেই ভালো। ওভাল অথবা ক্যাট আই আকারের চশমাও মানাবে।
চার কোনা আকারের চেহারা
চার কোনা চেহারায় কপাল ও চোয়াল চওড়া হয়। চিবুকের কাছটাও হয় চওড়া। প্রস্থে কম এমন ওভাল ও গোল ফ্রেমের চশমা বেছে নেওয়া উচিত এ ক্ষেত্রে। এতে চেহারায় লম্বাটে ভাব ও চেহারার বিভিন্ন কোণে নমনীয়তা চলে আসে। এ ধরনের ফ্রেমের চশমায় চোখের ওপর বেশি নজর যাবে ও নাকটাও কিছুটা লম্বাটে দেখাবে। ভুল করে যদি চার কোনা ফ্রেমের চশমা বেছে নেন, তাহলেই হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
হৃদয় বা ত্রিভুজাকৃতির চেহারা
এই চেহারার প্রশস্ত কপাল ও চওড়া চিক বোন থুতনির কাছে গিয়ে চাপা হয়ে যায়। চেহারার ওপরের বেশির ভাগ অংশ চওড়া হয়ে থাকে। চশমা বাছার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন, ফ্রেমের নিচের অংশটি যেন চওড়া হয়। কিন্তু চশমাটির রং ও উপকরণ যেন হালকা হয়। রিম লেস ফ্রেমের চশমা মানানসই এ ধরনের চেহারায়।
গোলগাল চেহারা
প্রশস্ত কপাল, ভরাট গাল ও গোল আকারের চিবুক। গোলাকার চেহারার জন্য আয়তাকার ফ্রেমের চশমা প্রয়োজন। এতে চেহারায় কিছুটা শুকনো ও লম্বাটে ভাব চলে আসবে। চাপা আয়তাকার চশমা চোখকে ওপরের দিকে তুলে ধরবে। চাইলে রঙিন ফ্রেমও ব্যবহার করতে পারেন।
উপবৃত্তকার চেহারা
এই আকারের চেহারা যাঁদের, তাঁরা কিছুটা ভাগ্যবানই। কারণ, এ ধরনের চেহারায় প্রায় সব ফ্রেমের চশমাই মানিয়ে যায়। চওড়া আকারের ফ্রেম যেমন মানিয়ে যাবে, তেমনি ওয়ালনাট আকারের ফ্রেমও মানাবে।