সংস্কৃতি সংবাদ

মেঘ-ভাঙার ক্ষণে...

রবীন্দ্র–নজরুল স্মরণে স্বরিৎ ললিতকলা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান করেন এক শিল্পী
রবীন্দ্র–নজরুল স্মরণে স্বরিৎ ললিতকলা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান করেন এক শিল্পী

বাঙালির চিরকালের অনুপ্রেরণা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল স্মরণে ৪ সেপ্টেম্বর নগরে বসে গানের আসর। ‘মেঘ-ভাঙার ক্ষণে’ শিরোনামে সন্ধ্যা সাতটায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বরিৎ ললিতকলা কেন্দ্র।
আয়োজনের শুরুতে ছিল কথামালা। এতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজীব সাহা। এরপর দুই কবির জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার সাঈদ ও চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুজিব রহমান।
কথামালা শেষে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। শুরুতে সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্র ও নজরুলের দুটি গান—‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে’ ও ‘দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য্য হে উদার নাথ’। এরপর আমন্ত্রিত শিল্পীদের একক সংগীত পরিবেশনা। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী প্রদীপ গেয়ে শোনান ‘আমি কান পেতে রই’, ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি’ ও ‘দেখেছি রূপ সাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা’। শিল্পী শেলী মল্লিকের কণ্ঠে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ ও ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে’ গান দুটি আসর জমিয়ে তোলে। এর রেশ না কাটতেই শিল্পী দিবাকর কানুনগো পরিবেশন করেন রাগপ্রধান গান ‘কেন মেঘের ছায়া’, শ্যামাসংগীত ‘শ্যামা নামের লাগল আগুন’ ও ‘কেন আনো ফুলডোর’।
এ ছাড়া গান করেন শিল্পী নন্দন রায়, পূজা সেন, রিটন কুমার ধর ও বিপুল বড়ুয়া। শিল্পী জয়া দত্তের ‘আমার নয়নে নয়ন রাখি’, ‘তুমি আমায় ভালোবাস’ ও ‘তোমার বুকের ফুলদানিতে’ গান পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় আয়োজন। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার এ আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন বাচিকশিল্পী মিশফাক রাসেল। অনুষ্ঠানে তবলায় রণধীর দাশ ও অমিত চৌধুরী, বেহালায় শ্যামল চন্দ্র দাশ ও এসরাজে মদন মোহন ঘোষ শিল্পীদের সহযোগিতা করেন।