
একে অপরের দিকে তাকাই কৌতূহল নিয়ে। একি, ভুল দেখছি না তো! না, ভুল নয়। এত স্বয়ং গান্ধীজি। কিন্তু এ কী করে সম্ভব? হ্যাঁ, ঢাকা মহানগরের বন্ধু সৈয়দ মুনিরকে দেখে এমনটাই বোধ হয়েছিল সবার। যা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছিল জাতীয় বন্ধু সমাবেশের ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতায়। সবার কাছে দৈত্য আতঙ্কের হলেও সেই দৈত্য সেজেই মাদককে ‘না’ বলতে উদ্বুদ্ধ করলেন এক বন্ধু। তিনি সবাইকে শপথ করিয়ে মঞ্চ থেকে বিদায় নিতেই মাদার তেরেসা এসে হাজির। সবার চোখ তো চড়কগাছ। মাদার তেরেসা কোথা থেকে এলেন। মঞ্চে তেরেসার কণ্ঠ শুনে হাসিতে ফেটে পড়লেন সবাই! ছেলেকণ্ঠ এল কোথা থেকে? তাই সবার কৌতূহল ভাঙতে রওশন ভাই প্রমাণ করলেন মাদার তেরেসা সেজেছেন এক ছেলেবন্ধুই।
আবার ঝাঁকড়া চুল নিয়ে কাজী নজরুল সেজেছেন পটুয়াখালীর বন্ধু মালিহা নবনী। কিছুক্ষণ পর বেগম রোকেয়ার সাজে হাজির হলেন রংপুরসভার বন্ধু। এদিকে পাগলবেশে ঝুড়ি হাতে মাঠে পড়ে থাকা কাগজ, উচ্ছিষ্ট জিনিস পরিষ্কার করতে দেখা যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু পঙ্কজকে। এ ছাড়া বন্ধুরা সেজেছিলেন, কচ্ছপ, চার্লি চ্যাপলিনসহ অনেক কিছু।
রাজশাহী বন্ধুসভা