বিচিত্র

শিম্পাঞ্জির পাথর-কাগজ-কাঁচি খেলা

নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুসারে জীবনচক্রের প্রতিটি ধাপে প্রতিটি প্রাণী কিছু না কিছু শেখে। শিম্পাঞ্জিও শেখে। তবে গবেষকেরা এখানে বুদ্ধিবৃত্তিক খেলার কথা বলেছেন। এ ক্ষেত্রে হাতের ইশারার মাধ্যমে পাথর-কাগজ-কাঁচি খেলা শিম্পাঞ্জি কত দ্রুত শিখতে পারে, তা নিয়েই গবেষণা করেছেন তাঁরা।

পাথর-কাগজ-কাঁচি খেলায় হাত মুঠিবদ্ধ করলে তা পাথরের প্রতীক হয়। সব কটি আঙুল পরস্পর সংস্পর্শে রেখে হাত মেলে ধরলে তা হয় কাগজের উপস্থাপনা। আর তিন আঙুল মুঠিবদ্ধ করে দুই আঙুল নির্দেশ করার মাধ্যমে কাঁচিকে উপস্থাপন করা হয়। ইংরেজিতে এই খেলার নাম রক-পেপার-সিসরস গেম। চীনে হ্যান রাজবংশের শাসনামলে (খ্রিষ্টপূর্ব ২০৬ থেকে ২২০ খ্রিষ্টাব্দ) এই খেলার প্রচলন ঘটে বলে ধারণা করা হয়।

গবেষণাটি করেছেন জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইমেট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক। এতে বিভিন্ন বয়সের ও লিঙ্গের সাতটি শিম্পাঞ্জি বেছে নেন তাঁরা। এরপর শিম্পাঞ্জিগুলোকে কম্পিউটার টাচ-স্ক্রিনে হাতের ইশারা পছন্দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রথমে তাদের কাগজ-পাথর সমন্বয় শেখানো হয়। এরপর পাথর-কাঁচি এবং সবশেষে কাগজ-কাঁচির সমন্বয় শেখানো হয়। গবেষকদের দাবি, শিম্পাঞ্জিও বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা শিখতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সময় তুলনামূলক বেশি লাগে।

গবেষণা প্রবন্ধ রচনায় নেতৃত্বদানকারী প্রাইমেট ইনস্টিটিউটের জি জাও বলেন, এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল, শিম্পাঞ্জিরা প্রশিক্ষণ দিলে তির্যক বা অনুপ্রস্থ প্যাটার্নের কোনো খেলা আত্মস্থ করতে পারে কি না, তা দেখা। এ ক্ষেত্রে রক-পেপার-সিসরস গেম শেখানো হয়েছে তাদের। গবেষণায় দেখা যায়, শিম্পাঞ্জিরা খেলায় ভুল চাল দেওয়ার পর তুলনামূলক বেশি সময় নেয় সেই ভুল শুধরে নিতে।