
ছোটবেলা থেকেই একটি মুক্ত ও উদার পরিবেশে থেকে বড় হয়েছি। সাত ভাইবোনের মধ্যে ছোট আমি। আমার যখন বয়স বছর দেড়েক, তখন বাবা মারা যান। মানুষ হয়েছি বড় ভাইবোনদের স্নেহ ও মা আসেমা চৌধুরীর সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনায়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ না করলেও মা কলকাতায় ব্রিটিশ গভর্নেসের তত্ত্বাবধানে পড়াশোনা করেছেন। উর্দু, ফারসি ও ইংরেজিতে সুশিক্ষিত ছিলেন। নানা মৌলভি আবদুল হামিদ প্রেসিডেন্সি কলেজের ডিসটিংকশন পাওয়া স্নাতক। কলকাতার তখনকার দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা মুসলিম ক্রনিকল ও উর্দু সাময়িকী হাবলুল মতিন-এর সম্পাদক ছিলেন। বাবাও ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের স্নাতক ও শিক্ষক। এ রকম একটা পরিবেশের প্রেক্ষাপটে মা সব সময়ই পুঁথিগত পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক বিকাশের ওপর জোর দিতেন, যাতে আমাদের মধ্যে কখনো সংকীর্ণতা না আসে। পড়াশোনার চাপের মধ্যেও সৃজনশীলতা চর্চার ওপর জোর ছিল। সে কারণে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ ও গানের ক্লাসেও যেতে হতো সপ্তাহে অন্তত দুই দিন।
লেখাপড়ায় বরাবরই ভালো ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ করার অল্প দিনের মধ্যেই পরীক্ষা দিয়ে আমেরিকার ফুলব্রাইট বৃত্তি পেয়ে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন অর্থনীতি পড়তে যাই। দুই বছরের ক্যাম্পাসজীবনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মেলামেশা আমার দৃষ্টিকে প্রসারিত করে, এক স্বাধীন স্বকীয়তা বোধের জন্ম দেয়।
দেশে ফিরে কিছুদিন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির পর ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করি। প্রথম কিছুদিন মনিটারি ইকোনমিকস পড়ানোর পর আমাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয় কৃষি অর্থনীতি পড়ানোর। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তখন শহরের ২০ মাইল দূরে গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠছে। আশপাশে মূলত ধানখেত ও কৃষক পরিবারের বাস। কৃষি অর্থনীতির তত্ত্ব জানা থাকলেও বাংলাদেশের কৃষি সম্বন্ধে আমার তেমন কোনো প্রত্যক্ষ জ্ঞান ছিল না। তাই প্রায়ই ক্যাম্পাসের আশপাশে গ্রামে ঘুরে ঘুরে কৃষকদের জীবনধারা দেখতে যেতাম। সেই অভিজ্ঞতা আমার দৃষ্টি উন্মোচন করে দেয়। আমার মধ্যে সঞ্চারিত হয় এক নতুন সত্যের। আমি উপলব্ধি করি, নারীরা উদয়াস্ত এভাবে কৃষিসহ বিভিন্ন অর্থকরী কাজে শ্রম দিয়ে চলেছেন, অথচ আমি যে পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করছি তার কোথাও অর্থনৈতিক ক্রিয়াকর্মে তাঁদের অবদানের উল্লেখ নেই। এই সত্যটি আমার মনে সমাজে নারীর প্রতি উদাসীনতা ও বৈষম্যের প্রশ্নটি প্রথমবারের মতো জাগিয়ে তোলে।
তখন উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের উত্তাল সময়। বেশ কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক দেশত্যাগ করায় প্রয়োজনীয় জ্যেষ্ঠতা অর্জন করার আগেই আমাকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিতে হয়। সেই সুবাদে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণের বিষয়াদি কোর্সে অন্তর্ভুক্ত করি। ১৯৭২ সালে মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশ থেকে এলে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব তাঁর ওপর বর্তায়। তিনি বেশ কিছু গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করে বিভাগে নতুন কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামে তাঁর কৃষি উন্নয়ন ও ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি পরে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি নামে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করে। এ প্রকল্প আমাদের মধ্যেও নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন প্রত্যয় জাগিয়ে তোলে।
১৯৭৬ সালে আমি আবার ঢাকায় ফিরে এসে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. নুরুল ইসলামের পরামর্শে পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দিই। সেখানে ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে গিয়ে উপলব্ধি করি, আমাদের পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারীকে শুধু পরিবার পরিকল্পনার টার্গেট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। উন্নয়নের মূলধারায় নারীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ওই সময়ে জেন্ডার পরিকল্পনার ওপর প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা না থাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তিতে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে আমার ডিপ্লোমা করার সুযোগ হয়। এই প্রশিক্ষণ আমার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেয়। ফিরে এসে জাতীয় উন্নয়ন নীতির পরিপ্রেক্ষিতে নারীর অবস্থান, উন্নয়নে নারীর ভূমিকা ও সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আহরণ করে আমি আমার প্রথম বই দ্য ফিফটি পারসেন্ট: উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পলিসি ইন বাংলাদেশ লিখি।
এ বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর নারীর অবদান ও অধিকার নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। তখন পরিকল্পনা কমিশনে চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। নারীকে উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার উপযুক্ত সময় বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিশনে একটি নারী সেল খোলার জন্য অবস্থানপত্র তৈরি করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করলে তা অনুমোদিত হয়। যুগ্ম প্রধান হিসেবে আমাকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে নারী উইংয়ের প্রধান করা হয়। সেটা ছিল উন্নয়নের মূলধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার জন্য আমার এক বিরাট সুযোগ।
১৯৮০ সালের জুলাই মাসে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলনে যোগদানের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের নারী উইংয়ের প্রধান হিসেবে মহিলা মন্ত্রীর দলভুক্ত সদস্য করে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলো। সেখানে প্রথম জাতিসংঘ কর্তৃক সদস্যরাষ্ট্রগুলোর স্বাক্ষর (নীতিগত সম্মতি) ও অনুমোদনের (আইনসিদ্ধ চুক্তি) জন্য সিডও সনদ উপস্থাপিত হয়। সিডওর সঙ্গে সেই আমার প্রথম পরিচয়।
৬৪টি সদস্যরাষ্ট্র সনদে স্বাক্ষর এবং দুটি রাষ্ট্র অনুমোদন দিলেও বাংলাদেশ তখন কিছুই করেনি। ১৯৮১ সালে সিডও কার্যকর হয়। এটিই এযাবৎ জাতিসংঘ প্রণীত নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে কার্যকরী দলিল। দেশে ফিরে আমি সিডও সনদটি অনুমোদনের আন্দোলন শুরু করি। সে আন্দোলনে বেশ কিছু নারী সংগঠনও যুক্ত ছিল। অবশেষে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালের নভেম্বর মাসে তিনটি ধারায় অসম্মতি বজায় রেখে সিডও সনদে অনুমোদন দেয়।
১৯৮৫ সালে নাইরোবিতে তৃতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলনের সুপারিশক্রমে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ বৈশ্বিক পর্যায়ে উন্নয়নে নারীর ভূমিকা এবং নারীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য ও সহিংসতার ওপর বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রণয়ন করে। তাতে নাইরোবি এজেন্ডা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সিডও সনদকে ঘিরে আন্তর্জাতিক কার্যক্রম নিবিড়ভাবে অনুসরণ করায় এবং বাংলাদেশে সিডও সনদ বাস্তবায়ন জোরদার করার অভিপ্রায় থেকে আমার মনে সিডও কমিটির সদস্যপদের জন্য নির্বাচন করার আগ্রহ জন্মায়। আমি পরিকল্পনা কমিশন ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি।
১৯৯২ সালে আমি চার বছর মেয়াদে সিডও কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই। ওই বছরই আমি আমেরিকার বিখ্যাত আইজেন হাওয়ার এক্সচেঞ্জ ফেলোশিপ লাভ করি। তাতে আমার নির্বাচিত বিষয় ছিল বিশ্ব পর্যায়ে নারীর অবস্থান। ফেলোশিপের তিন মাস সময়ে আমি আমেরিকার বিভিন্ন নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও এনজিওগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী উন্নয়নের বিভিন্ন কৌশলের সঙ্গে পরিচিত হই। সিডও কমিটিতে সেটি আমার কাজের সহায়ক হয়।
১৯৯৩ সালের জুন মাসে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলনের প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে নারী ও কন্যাশিশুর অধিকারকে সর্বজনীন মানবাধিকারের ‘অনন্য সমর্পণীয়, অপরিহার্য ও অবিভাজ্য অংশ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সিডও কমিটি প্রতিবেদন পরিবীক্ষণের মান হিসেবে সেটি গ্রহণ করে। তারই ফলে সিডও কমিটি একটি অনুষঙ্গ সনদ বা অপশনাল প্রটোকল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটি অনুভব করে যে, অনেক সময় নারী নানা পর্যায়ে বৈষম্যের শিকার হলেও রাষ্ট্রের কাছে সুবিচার পায় না। সে ক্ষেত্রে নির্যাতিত নারী বা তার পক্ষে কেউ যাতে সিডও কমিটির কাছে নালিশ জানাতে পারে এবং কমিটি-সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে এর সুরাহা করতে পারে, তার জন্য একটি বিকল্প প্রটোকল জরুরি।
১৯৯৪ সালে হল্যান্ডের লিন্ডবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সভায় আমি সিডও কমিটির প্রতিনিধিত্ব করার আগ্রহ জানাই। কাজটি সুসম্পন্ন হওয়ায় সিডও কমিটিতে আমার অবস্থান দৃঢ় হয়। জাতিসংঘে, তথা নারীর মর্যাদাবিষয়ক কমিশনে বেইজিংয়ে তখন চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের জোর আয়োজন চলছে। ইতালির নারীনেত্রী ইভাঙ্কা কর্টি সিডও কমিটির চেয়ারপারসন। বেইজিং সম্মেলনে সিডও সনদের দৃশ্যমানতা দৃষ্টির লক্ষ্যে সম্মেলনের আগেই সনদে সম্মত রাষ্ট্রের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ এল। সদ্য স্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা যাতে বেইজিং সম্মেলনের আগেই সিডও অনুমোদন করে, সে নিয়ে কমিটি তৎপর ছিল। আমার স্বামী ওই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। ইভাঙ্কা কর্টি তাই ম্যান্ডেলা সরকারকে অনুরোধ করার দায়িত্বটি আমাকে দিলেন। এর আগে এ অনুরোধের জবাবে তারা জানিয়েছিল, নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে এতে তাদের মাস ছয়েকের বেশি সময় লাগবে। কিন্তু সে যাত্রায় আমি দক্ষিণ আফ্রিকা ও লিসোথোকে সিডও সনদ অনুমোদন করাতে সমর্থ হই।
কমিটিতে চার বছর মেয়াদ পূর্ণ হলে সহ-সদস্যদের উৎসাহে আমি ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই। ১৯৯৭ সালে চেয়ারপারসনের পদে ইভাঙ্কার মেয়াদ শেষ হলে কমিটির অধিকাংশ সদস্য আমাকে সে পদে প্রার্থী হতে উদ্বুদ্ধ করেন। আমার পক্ষে প্রায় সবাই ভোটে ১৯৯৭ সালে এশিয়া থেকে প্রথম নারী হিসেবে আমি সিডও কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হই।
এ পদে থেকে কমিটির কার্যবিধি প্রণয়নে নেতৃত্ব দেওয়া, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সিডওকে দৃশ্যমান করে তুলতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৫২তম সভা (১৯৯৭) এবং ৫৩তম সভায় (১৯৯৮) নারীর সমতার সপক্ষে ভাষণ দেওয়া আমার জন্য ছিল অনন্য অভিজ্ঞতা।
১৯৯৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশেষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে আমিই ছিলাম একমাত্র নারী বক্তা। সে সময় বিশ্বের বহু গুরুত্বপূর্ণ সভা-সমিতিতে আমার অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়। আমি শাড়ি পরি বলে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাম অনন্যতা পেত। এভাবে তৃতীয় মেয়াদেও আমি সিডও কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই। কমিটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার সৌভাগ্য এ পর্যন্ত হয়েছে আমার ও জার্মানির হান্না বিয়েতের। তৃতীয় মেয়াদে আমার উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল অভিবাসী নারী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় ২৬ নম্বর সুপারিশের খসড়া প্রস্তুতের দায়িত্ব নেওয়া। পরে কমিটি এর অনুমোদন দেয়।
সিডও কমিটির চেয়ারপারসন ও সুদীর্ঘ ১২ বছর কমিটির সদস্য থাকার সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, মিসর, সুইডেন, স্পেন, পাকিস্তান, লিসোথো, মলদোভা, জাম্বিয়া প্রভৃতি দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা। কিন্তু এর চেয়েও বড় পাওয়া ছিল আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ ও এশিয়ার উদ্দীপ্ত নারীনেত্রীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ।
একটি সম-অধিকার-ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে যাঁরা লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম করে চলেছেন, আজও তাঁরা আমার অফুরন্ত কর্মপ্রেরণার উৎস।